শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সংঘাত নয় সমঝোতা

সব পক্ষের দায়িত্বশীলতা কাম্য

গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সভা-সমাবেশ করা সাংবিধানিক অধিকার। তবে অধিকার মানে যা ইচ্ছা তাই করা নয়। গণতন্ত্র একটি দায়িত্বশীল আচরণের নাম। তাই যারা সভা-সমাবেশের আয়োজক তাদেরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। সভা-সমাবেশের নামে অন্য মানুষের চলাচলের অধিকার যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। স্বীকার করতেই হবে আমাদের এই রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করার জায়গা নেই বললেই চলে। যেখানেই সমাবেশ হোক জনদুর্ভোগ অনুষঙ্গ হয়ে দেখা দেবেই। সে সত্যকে মেনে নিয়েই নাগরিকদের সভা-সমাবেশের আয়োজনে সহায়তা করতে হবে প্রশাসনকে। অন্যদিকে যারা সভা-সমাবেশ করবেন তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে অন্য মানুষের অধিকারের বিষয়ে। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সম্পন্ন করা শুধু প্রশাসনের দায় নয়, আয়োজকদেরও। বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানি শাসনামলে দুই যুগে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র অভিমুখী রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য সে পথে আমরা যথাযথভাবে এগিয়ে যেতে পারিনি। গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বারবার ব্যাহত হয়েছে হঠকারিতা ও সামরিকতন্ত্রের কোপানলে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাও বিঘ্নিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সেনাপতি শাসক ও তাদের অনুচরদের অপশাসনে। ২০০৯ সালের পর থেকে নিরবচ্ছিন্ন স্থিতিশীল শাসনব্যবস্থা জাতির জন্য উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করেছে। দেশের মানুষ চায় উন্নয়নমুখী এই অভিযাত্রা কোনোভাবে যাতে বিঘ্নিত না হয়। তা নিশ্চিত করতে সরকার ও বিরোধী দল সব পক্ষকে সুবুদ্ধি ও সুবিবেচনার পরিচয় দিতে হবে। বিদ্যমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোথাও কোনো সীমাবদ্ধতা থাকলে তা কাটিয়ে উঠতে সব পক্ষকে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পথে এগিয়ে যেতে হবে। পারস্পরিক মতপার্থক্য যাতে সংঘাতে রূপ না নেয় সে ব্যাপারে সব পক্ষের দায়িত্বশীলতা কাম্য। আমাদের বুঝতে হবে গণতন্ত্র মানেই সহনশীলতা, সেখানে যেন কোনো ব্যত্যয় না ঘটে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর