বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পুলিশ হোক জনবান্ধব

মানুষের আস্থা অর্জনে ব্রতী হতে হবে

পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ পুলিশকে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বমানের ‘স্মার্ট পুলিশ’ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন। বলেছেন, সেবার মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে পুলিশ বাহিনীকে। সরকার পুলিশ বাহিনীকে ইতোমধ্যে উল্লেখসংখ্যক যানবাহন সরবরাহ করেছে। পুলিশের গতিশীলতা ত্রিমাত্রিক পর্যায়ে উন্নীতকরণে রাশিয়া থেকে দুটি হেলিকপ্টার ক্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ এভিয়েশন ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। বঙ্গবন্ধু সর্বদা এ দেশের পুলিশকে ‘জনগণের পুলিশ’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনুপ্রাণিত করতেন। আর সে জন্যই আমাদের পুলিশ বাহিনী এখন জনগণের পুলিশ হিসেবেই তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আগে পুলিশের নাম শুনলে মানুষ ভয় পেত। এখন মানুষ জানে পুলিশ সেবা দেয় ও তাদের পাশে দাঁড়ায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের তথা জনগণের আস্থা অর্জন করা যে কোনো বাহিনীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের মনে পুলিশের প্রতি যে আস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেটা যেন অক্ষুণ্ন থাকে সে ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে। পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ এবং দিকনির্দেশনামূলক। পুলিশ বাহিনী রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং সভ্য সমাজব্যবস্থারও অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর বর্তমান কাঠামো গড়ে উঠেছিল ঔপনিবেশিক আমলে। সে সময়ে এবং পাকিস্তানি শাসনামলে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার অশুভ প্রক্রিয়া অনুসৃত হয়েছে। কিন্তু আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে জনগণের কাতারে নেমে আসেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধে রাজারবাগে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই প্রথম হামলার শিকার হন। করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী যে জনবান্ধব ভূমিকা রেখেছে তা বিশ্ব পরিসরেও নজিরবিহীন। আমাদের বিশ্বাস, পুলিশ সদস্যরা সেই ঐতিহ্য ধরে রাখাকে তাদের কর্তব্য বলে ভাববেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের অঙ্গীকার যাতে দেশবাসীর আস্থা অর্জন করে সে ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে পুলিশ বাহিনীকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর