রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
ইতিহাস

চে গুয়েভারা

ষাট ও সত্তর দশক ছিল স্বাধীনতা ও মুক্তির দশক। ষাটের দশকের শুরুতেই ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে সফল হয় কিউবান বিপ্লব। এ বিপ্লবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন চে গুয়েভারা। তিনি ছিলেন আর্জেন্টিনার অধিবাসী। বিশ্ববিপ্লবে বিশ্বাসী ছিলেন এই তরুণ চিকিৎসক। বিপ্লবের ডাকে তিনি বেছে নেন কঠিন জীবন। বিদেশি তাঁবেদার শাসক বাতিস্তার বিরুদ্ধে ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে কিউবায় যে বিপ্লব হয়, তাতে ছিল চে গুয়েভারার অসামান্য ভূমিকা। ১৯৬০ সালের ১ জানুয়ারি কিউবায় গঠিত হয় বিপ্লবী সরকার। ফিদেল কাস্ত্রো চে গুয়েভারাকে অর্থমন্ত্রী নিয়োগ করেন। কিউবার সমাজতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের সহ-অধিনায়ক হিসেবেই তাঁকে এ মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু পা থেকে মাথা পর্যন্ত নিখাদ বিপ্লবী চে গুয়েভারাকে কিউবান বিপ্লব কিংবা মন্ত্রিত্ব তৃপ্ত করতে পারেনি। তিনি ফিদেল কাস্ত্রোকে ছেড়ে চলে যান লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশ এবং আফ্রিকার নিপীড়ত মানুষের ডাকে। কিউবা ছেড়ে যাওয়ার আগে চে গুয়েভারা সহযোদ্ধা ফিদেল কাস্ত্রোকে যে চিঠি লেখেন তাতে এই মহান বিপ্লবীর মানসিকতা অনুধাবন করা যায়। তিনি কিউবার বিপ্লব রক্ষা ও দেশগড়ার সংগ্রামে ফিদেলের সাফল্য কামনা করেন। তাঁর সাহচর্য ও ভালোবাসার জন্য প্রকাশ করেন কৃতজ্ঞতা। লাতিন আমেরিকাসহ বিশ্বের যেখানেই সাম্রাজ্যবাদের ছোবলে মানুষ শোষিত ও নির্যাতিত সেখানেই তাদের পাশে দাঁড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ পায় সেই চিঠিতে। এই অসামান্য বিপ্লবী তাঁর স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে রেখে যান প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো তথা কিউবার জনগণের জিম্মায়। লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ এবং আফ্রিকার কঙ্গোয় বিপ্লবী মিশন শেষে চে গুয়েভারা বলিভিয়ার বিপ্লবীদের ডাকে সাড়া দেন। শুরু করেন গেরিলা যুদ্ধ। বলিভিয়ায় ১৯৬৭ সালে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গ্রেফতার হন চে গুয়েভারা। গ্রেফতারের পর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় তাঁকে।

জাফর খান

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর