বুধবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য

ডলারের বিকল্প খুঁজতে হবে

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে ডলারের পরিবর্তে বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের কথা ভাবছে উভয় দেশ। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ খুবই বড়সড়, প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার। এ পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রায় ৫৫ শতাংশের বেশি। দুই দেশের বাণিজ্যে ডলারের চাপ এড়াতে রুপিতে বাণিজ্যের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ভারতের পক্ষ থেকে। সে প্রস্তাবের বিপরীতে টাকায় বাণিজ্যের প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা। এ প্রস্তাব নিয়ে এখন কাজ করছে দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। দুই মাস আগে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৩ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। মাত্র দুই মাসের দায় পরিশোধে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় হয়েছে। এ দায়ের প্রায় সবটাই ভারত থেকে আমদানি ব্যয়। অল্প কিছু পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ইরান ও মালদ্বীপের। বাংলাদেশসহ এই দেশগুলো আকুর সদস্য। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভে থাকা মার্কিন ডলার ও ইউরোয় আকুর দায় পরিশোধ করে। ভারতের সঙ্গে যদি রুপি-টাকায় লেনদেন হয়, তবে আকুর পেমেন্ট বাবদ দুই মাস পরপর ডলার ও ইউরোয় যে এক থেকে দেড় বিলিয়ন ডলার দায় পরিশোধ হয়, তা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে। এ বিষয়ে সমঝোতা হলে ডলার সংকট নিয়ে যে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তা থেকে আপাতত কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি বিনিময়যোগ্য মুদ্রা হিসেবে ভারতীয় রুপির গ্রহণযোগ্যতা ও অবস্থান শক্তিশালী হবে। দুই দেশের বাণিজ্য আরও সম্প্র্রসারিত হবে বিনিময় মুদ্রা হিসেবে রুপি ও টাকা ব্যবহারে সমঝোতা হলে। তবে এ ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা রয়েছে তা আগেভাগে বিবেচনায় এনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্যে পাল্লা ভারতের দিকে ভারী। বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানি করে ১৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য পক্ষান্তরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যায় মাত্র ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ফলে ১৪ বিলিয়ন ডলার কীভাবে পরিশোধ হবে সে বিষয়ে গ্রহণযোগ্য সমঝোতায় আসতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর