সোমবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশন

কক্সবাজারের চেহারা পাল্টে দেবে

বাংলাদেশও যে পারে সে সত্যটি স্পষ্ট হয়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়কে চমকে দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে। মেট্রোরেল, পাতাল রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, কর্ণফুলী টানেল, গভীর সমুদ্রবন্দর শুধু নয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ এগিয়ে নেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছে বাংলাদেশ। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশনের ছবিটি ইতোমধ্যে তোলপাড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকের জিজ্ঞাসু মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে এটা কি ইউরোপ-আমেরিকার কোনো চকচকে-ঝকঝকে রেলস্টেশন? তবে উৎসুক মানুষ অবশ্য একই সঙ্গে জানতে পারছেন আইকনিক রেলস্টেশনটি দেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের। চট্টগ্রাম থেকে বন-পাহাড় ছুঁয়ে ট্রেন এসে থামবে ঝিনুকের আদলে গড়া সুরম্য এই স্টেশনে। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার প্রায় সবই থাকছে স্টেশনটিতে। স্টেশনটিতে থাকছে লকার বা লাগেজ রাখার সর্বাধুনিক ব্যবস্থা। রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজারে গিয়ে পর্যটকরা লাগেজ, মালামাল স্টেশনে রাখতে পারবেন। এর জন্য অবশ্য ভাড়া দিতে হবে। সারা দিন সমুদ্রসৈকত বা দর্শনীয় স্থান ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরে যেতে পারবেন। রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, রেলস্টেশনটির নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যে এই রেলপথ চালু হলে পর্যটকরা চাইলে হোটেল ভাড়া না করেই কক্সবাজার ভ্রমণ করে ফিরে আসতে পারবেন। এ পর্যন্ত ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে প্রকল্পের কাজ। যার বদৌলতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে সারা দেশের রেল সংযোগ কোনো কল্পকথা নয়, এখন বাস্তবের পথে। দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের অভিমত, চলতি বছরের জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যেই রেলে চেপে কক্সবাজার ভ্রমণে যেতে পারবেন পর্যটকরা। রেল যোগাযোগ চালু হলে পর্যটকদের যাতায়াত সহজ হওয়ার পাশাপাশি স্বল্প সময়ে ও কম খরচে কৃষিপণ্য, মাছ, লবণ পরিবহন করা যাবে। কক্সবাজারের মানুষের জীবন-জীবিকায় ঘটবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। কক্সবাজারের মূল চেহারা ফিরিয়ে আনতে পরিবেশের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী রোহিঙ্গা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কোনো বিকল্প নেই।  এ ব্যাপারে জাতিসংঘ এবং বন্ধু দেশগুলোর সহযোগিতাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর