রবিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

কী করণীয় জমিদার পুত্রদের

আলম রায়হান

কী করণীয় জমিদার পুত্রদের

রাষ্ট্রদূত কথাটি শুনলে চিত্তপটে ভেসে উঠে স্যুটেড-বুটেড মহাদুরস্থ একজনের অবয়ব। কেতাবের বর্ণনা অনুসারে একজন রাষ্ট্রদূত নিজ রাষ্ট্রের প্রতিনিধি। তার দায়িত্ব বিশেষ, মর্যাদাও বিশেষ। মর্যাদা অতি উঁচুতে। পাশাপাশি বিদেশে কর্মরত থাকাকালে বেতনের বাইরে তাদের যে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়, তা ধনী রাষ্ট্রগুলোর সমপর্যায়ের না হলেও বাংলাদেশের আর্থিক সামর্থ্যরে বিবেচনায় বেশ নাদুস-নুদুস। আর তাদের এই প্রাপ্তি অন্য মন্ত্রণালয়ে কেবল নয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আছেন, তাঁদের তুলনায়ও ঈর্ষণীয়। বেতনের বাইরে শুধু বিদেশ ভাতা নয়, আকর্ষণীয় হারে ভ্রমণভাতা, মোটা অঙ্কের টাকা ভাড়ায় সজ্জিত বাসভবন, আপ্যায়ন ভাতা, পরিবারের চিকিৎসার সব ব্যয়, চালক ও জ্বালানিসহ গাড়ি, সন্তানের পড়াশোনার খরচের একটি বড় অংশ ছাড়াও দুজন গৃহকর্মীর জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে মজুরি পান। কাজের বুয়া হিসেবে সমধিক পরিচিত গৃহকর্মীদের বেতন এতই বেশি যে কেউ কেউ স্বজনদের কাজের বুয়া পরিচয়ে সঙ্গে নেন। এত কিছু প্রাপ্তদের প্রধান কাজ হচ্ছে, নিজ দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দেশের সঙ্গে দেন দরবার করা এবং উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা। দূতাবাসগুলোর এত দিনের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে স্বীকৃত ছিল, নিয়োগপ্রাপ্ত দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করা ও এ ধরনের কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে বা কোনো নেতিবাচক ইঙ্গিত পেলে তা সরকারকে জানান। বাণিজ্যের প্রসার এবং ওই সব দেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের সুবিধা-অসুবিধার দিকে নজর রেখে সমাধান করার চেষ্টা করা। এ ব্যাপারে সম্প্রতি দূতাবাসগুলোর করণীয় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক একটি পত্র প্রমাণ করেছে দূতাবাসগুলো ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে না। সংবেদনশীল বিষয়ে বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে নির্দেশনা দেওয়ার ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি বলে জানা গেছে। এ ছাড়া যে নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে তা আসলে দূতাবাসগুলোর দায়িত্বেরই অংশ। কিন্তু আমাদের দূতাবাসগুলো আসলে কী করে তা তো আর অজানা বিষয় নয়। আজকের এ তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ায় এই জানার বিষয়টি আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। সবাই জানেন, বাংলাদেশ আসলে চলে প্রবাসী শ্রমিকদের পরিশ্রম-রক্ত-ঘামের বিনিময়ে আয় করা রেমিট্যান্সে। এই প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুবিধা-অসুবিধার দিকে নজর রাখা হচ্ছে আমাদের দেশের দূতাবাসগুলো প্রধান কাজের তালিকার শীর্ষে। কেননা মূলত এই প্রবাসীদের টাকায়ই যে দেশ চলে তা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গেছে চলমান মন্দাকালে। নিজের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে রেখে জীবন-যৌবনের বিনিময়ে যারা বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠান তাদের ব্যাপারেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের দূতাবাসগুলো প্রত্যাশিত দায়িত্ব পালন করে না। অথবা এই দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা বা মানসিকতা তাদের নেই। তারা তো রাষ্ট্রের টাকায় বিদেশে একরকম জমিদার পুত্র!

অথচ এমনটি হওয়ার কথা ছিল না। বরং রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব হচ্ছে নিজের দেশ-জনগণের বিষয়টি মাথায় রেখে নিয়োগকৃত দেশের সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থার দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। এ বিবেচনায় নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষা কিংবা সমস্যা দূর করার জন্য নিয়োগকৃত দেশের সদা তৎপর থাকার কথা। বাংলাদেশি নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া, প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান। কিন্তু বাস্তবে কি এমনটা ঘটে? পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জিজ্ঞেস করলে এর উত্তর পাওয়া যাবে। যতটুকু জানা যায়, যে সব দেশে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেশি সে সব দেশে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ঢিলেমি ও দুর্নীতির বেশি খবর আসে। বোঝাই যাচ্ছে, কাকের মাংসের দিকেই কাকের লোভ বেশি। শোনা যায়, এসব দূতাবাসে আছে বিশাল সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র। কোনো সেবাই ঘুষ ছাড়া মেলে না। সঙ্গে হয়রানি তো আছেই। সেরের ওপর সোয়া সের যেমন।

রাষ্ট্রের প্রত্যাশা, রাষ্ট্রদূতরা নিজ রাষ্ট্রের মর্যাদা ও স্বার্থ সদা সমুন্নত রাখবেন। হয়তো কেউ কেউ তা করছেনও। কিন্তু অনেকেরই অবস্থান প্রত্যাশার বিপরীত মেরুতে। এমনকি আমাদের কতিপয় রাষ্ট্রদূত তাদের কর্মস্থলে যে আচরণ করেন তাতে মনে হয়, তারা তাদের উঁচু মর্যাদার পাশাপাশি নিজ দেশটির মর্যাদার কথা বিস্মৃত হয়েছেন। নিশ্চিতভাবেই তারা আমাদের দেশ ও জনগণের মর্যাদাকে খাটো করেছেন। শুধু তাই নয়, এদের অনেকের ব্যাপারে আরও অনেক কেচ্ছাকাহিনি গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রকাশিত হচ্ছে। আমাদের একটি নেতিবাচক ভাবমূর্তি সারা বিশ্বে এখনো বিরাজমান। আবার আমাদের দেশে ভালো কিছু ঘটলে তার তেমন কোনো প্রচারণা নেই বাইরে। আবার অনেক ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই নেতিবাচক ভাবমূর্তিকে ছড়িয়ে দিই। বর্তমানে আমাদের রাষ্ট্রদূতদের কেউ কেউ রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত। কেউ আবার সামরিক বা বেসামরিক চাকরি থেকে পেষণে নিয়োজিত। তবে সিংহভাগই পেশাদার কূটনীতিক বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের সদস্য। তবে যে স্তরের কর্মকর্তাই হোন আর তার নিয়োগের উৎস যেটাই হোক, স্বাগতিক দেশে তারা বিশেষ মর্যাদার স্তরে থাকেন। অতি উঁচু এই মর্যাদা। কারণ তারা বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু কেতাব এবং বাস্তবতার মাঝে ফারাক বিস্তর। এই বাস্তবতায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পত্র প্রেরণের বিষয়টি অনেকের বিবেচনায় এটি পিলে চমকানোর মতো খবর। কারও কাছে আবার চরম বিরক্তির। অনেকেরই প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে, ‘কী করণীয় জমিদার পুত্রদের?’ বিরাজমান হতাশাজনক বাস্তবতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে ধরা যাক, বিভিন্ন দেশে আমাদের দূতাবাসগুলোতে নিয়োজিত ব্যক্তিরা খুবই আন্তরিক এবং স্বদেশের কল্যাণে ওষ্ঠাগত জীবন নিয়ে গলদঘর্ম হয়ে বিদেশের মাটিতে ছোটাছুটি করছেন। অলীক এ বিষয়টি বাস্তব বলে ধরে নিলেও বোধগম্য কারণেই দূতাবাসের প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পত্রে নির্দেশনা জারি করে সুবিধা পাওয়া সম্ভাবনা একবারেই ক্ষীণ। কারণ বিশ্ববাস্তবতায় এ বিষয়টি এখন রাষ্ট্রদূতদের ধরাছোঁয়ার বাইরের বিষয় এবং এ ব্যাপারে আসলে হাত দেওয়ার উপায় নেই রাষ্ট্রদূতদের। এ ব্যাপারে এখন আল মাহমুদের কবিতার বাস্তবতা বিরাজমান, ‘হাত দিও না শরীর ভরা বোয়াল মাছে।’

প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলোচিত পত্রটির আসলে মাজেজা কী? উদোরপিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর কৌশলী পথে হাঁটছে কেউ? পরিস্থিতি যেখানে বিরাজমান তাতে তো স্যাংশনের বিষয়ে কাজ করতে হবে দেশের ভিতর থেকে, সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে। আর বিষয়টি ছোটাছুটি অথবা বাগাড়ম্বরের নয়। সমস্যা সমাধানের প্রাণভোমরা লুকায়িত আছে বিশ্ববাস্তবতার গভীরতা অনুধাবন এবং এর আলোকে পদক্ষেপ নেওয়ার ভিতর। এ ক্ষেত্রে সহজ করণীয় হচ্ছে, যে বিষয়গুলো বলে স্যাংশন দেওয়া হয়েছে সেগুলো দূর করার চেষ্টা করা।

সবারই জানা, তথ্য-প্রযুক্তির কারণে বর্তমান পৃথিবীতে সংবাদ, খবরাখবর অবাধভাবে যাতায়াত রয়েছে। সেখানে দেশের অভ্যন্তরীণ ও দেশের বাইরের কার্যক্ষেত্রের একটা সম্পর্ক থাকে। অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ না থাকলে শুধু দূতাবাসের ওপর দায়িত্ব দিয়ে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া বিষয়টি সোনার পাথরবাটি হয়ে থাকার আশঙ্কাই বেশি। ফলে আমাদের দেশের ভিতরে এমন কিছু করা উচিত নয় যেটার জন্য বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। এ বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। আর একটি বিষয়ও বিবেচনায় রাখা জরুরি। তা হচ্ছে দূতাবাসে কাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। বিদেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত এবং এ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার অথবা মিশন প্রধানদের নিয়োগ প্রদান করেন সরকার প্রধান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাধারণত রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার পদে ব্যক্তির নাম সুপারিশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয় এবং তার অনুমোদনের পরই এ নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী মিশন প্রধানের ৭০ ভাগ পেশাজীবী কূটনীতিকদের মধ্য থেকে এবং বাকি ৩০ ভাগ সরকার প্রধানের বিবেচনায় অকূটনীতিক ব্যক্তিদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

আবার এমন উদাহরণও আছে, দূতাবাসে এমন সব ব্যক্তিকেও নিয়োগ দেওয়া হয় যাদের অনেকেই কূটনীতি ও বিশ্বব্যবস্থা তো দূরের কথা বিশ্ব মানচিত্র সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখেন না। বলা হয়, এ ধারার সূচনা হয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর। কে না জানে, ১৫ আগস্টের খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। নিয়োগের এই ভয়ংকর ধারার কখনো থেমে থাকেনি। বরং জেনারেল জিয়া এবং জেনারেল এরশাদ সামরিক বাহিনীর যে বড় কর্তাকে হুমকি মনে করেছেন তাকেই বিদেশে দূতাবাসে নিয়োগ দিয়েছেন। জেনারেল এরশাদের সময় তো সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক সামরিক কর্মকর্তাকে বিশেষ বিবেচনায় মাফ করে দিয়ে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশে। এই রাষ্ট্রদূত একজন নিগ্রো ছিনতাইকারীকে দৌড়ে গিয়ে ধরার কাণ্ডও ঘটিয়েছিলেন এবং এ জন্য তিনি সেই দেশের তিরস্কার পত্র পেয়েছেন। এই হচ্ছে একটি নমুনা। সামরিক সরকারগুলো বিদেশে দূতাবাসগুলোকে ডাম্পিং পোস্টিংয়ের উদার জমিন বানিয়ে ফেলেছিল। এ ধারা অবসান হয়নি। এ ক্ষেত্রে সামরিক সরকারের সময় প্রাধান্য পেতেন সামরিক ব্যক্তি, গণতান্ত্রিক সরকারের সময় প্রাধান্য পায় সিভিল আমলা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যে কারণে সিভিল আমলা অবসরের পর রাষ্ট্রদূত করার একটি ধারা বেশ প্রতিষ্ঠিত। ভাবখানা এই, দেশের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছ বাপধন, এবার বিদেশের মাটিতে একটু হাওয়া বদল করে এসো বাছা! এমনকি আইজি পদ থেকে সরিয়ে ছয় মাস বসিয়ে রেখে রাষ্ট্রদূত করার দৃষ্টান্তও আছে। সৌদি আরবের মতো দেশে রাষ্ট্রদূত করা হয়েছিল জাতীয় পার্টির তৃতীয় সারির এক নেতাকে। এ ক্ষেত্রে খালেদা সরকারও মোটেই কম ছিল না। রাজনৈতিক বিবেচনায় এসব নিয়োগের পাশাপাশি পেশাদার কূটনীতিকদের পোস্টিংও কতটা দক্ষতার বিবেচনায় দেওয়া হয় তাও তো বিবেচনা করা প্রয়োজন। কে না জানে, সারা দেশেই সরকারি পোস্টিং অনেক ক্ষেত্রে গ্রাস করেছে বাণিজ্যের কালো হাত। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, দেশের ভিতরে কী ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর কাছে বেশি গুরুত্ব বহন করে। অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ ও নৈতিক অবস্থান সঠিক থাকলে আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর সমর্থন পেতে তদবির করার প্রয়োজন হয় না। এ ক্ষেত্রে লবিস্ট নিয়োগ হচ্ছে রাষ্ট্রের টাকা জলে ফেলা। পাশাপাশি বিবেচনায় রাখতে হবে, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আলোকে আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ যে গভীর সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে তার সঙ্গে অন্য কোনো কিছুর তুলনা হওয়ার নয়। নানান অভিযোগ তোলার আসলে কারণ অনেক গভীরে। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পকার্ড আগামী সংসদ নির্বাচন। সৃষ্টি হতে পারে নেকড়ের অজুহাতের আর একটি গল্প।

লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক।

সর্বশেষ খবর