বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঋণখেলাপির সংস্কৃতি

ওদের অপকর্মের তদন্ত হওয়া উচিত

দেশের অর্থনীতি জিম্মি হয়ে পড়েছে ঋণখেলাপিদের কাছে। দেশে ঋণখেলাপির সংখ্যা ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫ জন। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এ তথ্য প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এর মধ্যে ২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঋণের পরিমাণ ১৯ হাজার ২৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। যার মধ্যে খেলাপি ঋণ ১৬ হাজার ৫৮৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সংসদে দেওয়া মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির শীর্ষে রয়েছে সিএলসি পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। তাদের খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৬৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ১ হাজার ৫২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের খেলাপি ঋণ ১ হাজার ৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। রাইজিং স্টিল কোম্পানি ৯৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স ৯৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। রূপালী কম্পোজিট লেদার ৮৭৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ক্রিসেন্ট লেদার্স ৮৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেমস ৮১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সাদ মুসা ফ্যাব্রিকস ৭৭৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বিআর স্পিনিং মিলস ৭২১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এসএ অয়েল রিফাইনারির খেলাপি ঋণ ৭০৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। মাইশা প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট ৬৬৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইলের ৬৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সামান্নাজ সুপার অয়েলের ৬৫১ কোটি ৭ লাখ টাকা। মানহা প্রিকাস্ট টেকনোলজি লিমিটেডের খেলাপি ঋণ ৬৪৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আশিয়ান এডুকেশন লিমিটেডের ৬৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এসএম স্টিল রি-রোলিং মিলসের ৬৩০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। অ্যাপোলো ইস্পাতের ৬২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এহসান স্টিল রি-রোলিংয়ের ৫৯০ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং সিদ্দিকী ট্রেডার্সের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা। বাংলাদেশে ঋণখেলাপির যে অপসংস্কৃতি গড়ে উঠেছে এর সঙ্গে ব্যাংক পরিচালক ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ওপেন সিক্রেট। ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া অর্থের এক বড় অংশ বিদেশে পাচারের অভিযোগও রয়েছে। যা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর