বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভয়াবহ ভূমিকম্প

তুরস্ক ও সিরিয়ায় মানবিক বিপর্যয়

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আহতের সংখ্যাও বিশাল। মাত্র ৪০ সেকেন্ডের ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে আড়াই হাজারের বেশি ভবন ও স্থাপনা মুহূর্তেই ধসে পড়ে। সোমবার ভোরে সংঘটিত এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নিচে হাজার হাজার মানুষ চাপা পড়েছে। পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও লোকবলের অভাবে প্রচ- শীতে উদ্ধার তৎপরতা চালানো কঠিন হয়ে উঠেছে। সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহর। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। প্রায় ৮৪ বছর পর এমন শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। পরে দুপুরবেলা আরও একটি ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে একই এলাকার আশপাশে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, তুরস্কের ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় ভারী বৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাপমাত্রাও নামতে পারে ৩-৪ ডিগ্রিতে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ভূমিকম্পে প্রায় দেড় হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে আলেপ্পো, হামা, লাতাকিয়া ও তারতুসের মতো শহরগুলো। এ ছাড়া সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ভূমিকম্পে ৫ শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে। এখনো অনেক পরিবার ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে। আশার কথা, তুরস্কে মানবিক তৎপরতা চালাতে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ৪৫টি দেশ সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে তাদের তৎপরতা শুরু করেছে। ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশে ভূমিকম্পে বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি দুনিয়ার সব দেশের মানুষের জন্য শিক্ষণীয়। বাংলাদেশসহ সব দেশে ভূমিকম্প-উত্তর উদ্ধারকাজ পরিচালনায় প্রস্তুতির তাগিদ সৃষ্টি করেছে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর