শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বীর নিবাসের চাবি

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বীর নিবাসের চাবি

আজ ভাষা আন্দোলনের রক্তস্নাত একটি দিন। ১৭৫৭ সালে পলাশীতে আমরা স্বাধীনতা হারিয়েছিলাম। ইংরেজ হয়েছিল দেশের শাসক। নবাবি আমলে রাষ্ট্রভাষা ছিল ফারসি। হিন্দুরা তেমন ফারসি জানত না, মুসলমানরা জানত। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা দখল করে নেওয়ার পর হিন্দুরা ইংরেজি স্কুল-কলেজে পড়ে ইংরেজি শিখে নেয়। যেহেতু ইংরেজরা মুসলমানদের হাত থেকে শাসনক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল, সেহেতু তারা ইংরেজদের সংস্পর্শে যেত না। প্রথম দিকে তেমন কিছু বোঝা যায়নি। কিন্তু ধীরে ধীরে দেখা যায়, সব চাকরি-বাকরি, অফিস-আদালতে হিন্দু সম্প্রদায় কাজ করছে। মুসলিম সম্প্রদায় একেবারে পেছনে। প্রায় ১০০ বছর এটা চলেছে। তারপর যে কোনোভাবে মুসলিমরাও লেখাপড়া শিখতে শুরু করে, সেই সঙ্গে ইংরেজিও। কিন্তু প্রথম প্রথম যে ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গিয়েছিল। আমরা চেয়েছিলাম স্বাধীনতা। আদতে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করিনি। ভারত উপমহাদেশ ভাগ করে ইংরেজ চলে যায়। একদিকে পাকিস্তান, আরেক দিকে ভারত। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পূর্ববঙ্গে এসেই বলে বসলেন, Urdu and Urdu will be the state language of Pakistan. আবার সেই ফারসি থেকে ইংরেজির মতো। রাষ্ট্রভাষা উর্দু হলে আমরা বাঙালিরা শতকরা ১০০ জন মূর্খ হয়ে যেতাম। কারণ আমরা উর্দু জানতাম না। আর প্রকৃত অর্থে উর্দু কোনো দেশের বা জাতির মাতৃভাষা নয়। উর্দু ছিল ছাউনির ভাষা। বিশেষ করে এটা মিলিটারিরা ব্যবহার করত। পশ্চিম পাকিস্তানেও পাঞ্জাবি, পশতু, সিন্ধি, বেলুচি নানাজনের নানান ভাষা। কিন্তু উর্দু কারও মাতৃভাষা নয়। সেটাই আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাঙালি ছাত্র-যুবক, সাধারণ মানুষ সেটা মেনে নেয়নি। তাই ১৯৪৮-এ শুরু হওয়া ভাষা আন্দোলন ’৫২ তে এসে সফল পরিণতি পায়। হুজুর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জননেতা শামসুল হক ভাষা আন্দোলনের প্রধান নেতা ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে তখন শেখ মুজিবও ছিলেন ছায়ার মতো। রাজপথে আর কারাগারে যেখানেই থাকুন তিনি ছিলেন। এজন্য তিনি অত বড় নেতা হয়েছিলেন। কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পার্লামেন্টে বাংলা ভাষার পক্ষে প্রথম দাঁড়িয়েছিলেন। আজ আমাদের যে উন্নতি, আজ আমাদের যে প্রসিদ্ধি, বিশ্বজোড়া যে ব্যাপ্তি তার প্রায় সবই ভাষা অবলম্বন করে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপিত হয় ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। পরম সৌভাগ্য এই মহান দিনে আমার লেখার সুযোগ হয়েছে। ভাষার প্রতি মমত্ব না থাকলে, দেশের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা না থাকলে মায়ের প্রতিও ভালোবাসা থাকে না। আমরা আরও শ্বাশত বাঙালি হই, বাংলা ভাষাকে বুকে লালন করি, সর্বত্র ব্যবহার করি এই হোক মহান দিনের শপথ।

আসলে আমার চারদিকে বিপদ। কতজন কত কিছু মনে করে। মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্রে অনেকে আমাকে সবকিছু মনে করে। তাদের ধারণা আমি ইচ্ছা করলেই সব পারি। আমি বললেই সবকিছু হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ আমাকে নিয়ে তাদের মতো করে ভাবে। গত পরশু একজন ফোন করেছিল। তার মারাত্মক গলার জোর। কোনো বিনয় নেই, কথাবার্তায় রুচির লেশমাত্র নেই। হঠাৎই ফোন করে বললেন, ‘বঙ্গবীর বলছেন? কাদের সিদ্দিকী?’ আমি যেভাবে কথা বলি, যেভাবে অভ্যাস হয়েছে সেভাবেই বলেছিলাম, হ্যাঁ বলছি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বললেন, ‘আমি একটা বই লিখছি। মাটিকাটা যুদ্ধে আপনাদের কত সৈন্য ছিল? কয়জন ছিল?’ সংখ্যা বলার আগেই উনি বললেন, ‘জাহাজমারা যুদ্ধে আপনারা কয়জন পাকিস্তানি হত্যা করেছেন? কত অস্ত্র লুট করেছেন?’ আমি খুব অবাক হয়েছিলাম লেখকের চিন্তাভাবনা, কথাবার্তা শুনে। তাকে বলেছিলাম, আমরা তো একটা অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করিনি। আমরা একজন মিলিটারিকেও হত্যা করিনি। আর কয়জন যোদ্ধা ছিল এটা তো গুনে বলা যাবে না। কিন্তু কয়েকটা কোম্পানি সম্মিলিতভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করেছে, যুদ্ধ করেছে তা বলা যাবে। আমরা লুট করতে যাব কেন? আমরা জয় করেছি, দখল করেছি। তিনি বললেন, ‘না না। হ্যাঁ, আমার একটু ভুল হয়েছে।’ যে স্বতঃস্ফূর্ততায় তিনি কয়টা মিলিটারি হত্যা করেছি, কয়টা অস্ত্র লুট করেছি বলেছিলেন সে রকম স্বতঃস্ফূর্ততায় ভুল হয়েছে বলায় ছিল না। ফোন ছেড়ে দিয়েছিলাম। ইদানীং অনেক কটুকথাই আমার খারাপ লাগে না। এটা সেই ছোটকাল থেকেই ট্রেনিং পেয়ে এসেছিলাম। তবু ফোন ছেড়ে দিয়েছিলাম। ফোন নম্বরটা খেয়াল করে রেখেছিলাম। চিন্তা ছিল অযথা ওই ফোন আর ধরব না। কয়েক মিনিট পর আরেকটা ফোন ধরতেই বুঝলাম সেই ভদ্রলোক। তার আরও ফোন নম্বর আছে। তিনি আবার বললেন, তিনি বই লিখবেন তাই তার দরকার। তখন বলেছিলাম, বই পড়ে দেখবেন, কাদেরিয়া বাহিনীর বই। কে প্রকাশ করেছে? কী নাম তার? কেন যেন বলেছিলাম, অনন্যা প্রকাশনী বইয়ের নাম ‘স্বাধীনতা ’৭১’। ১৬ বছর নির্বাসনে কাটিয়ে দেশে ফেরার পর বঙ্গবন্ধু প্রকাশনী নাম দিয়ে নিজেরা কয়েক হাজার বই ছেপেছিলাম। সেখানে তখনকার বিরোধী দলের নেতা হিসেবে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনা কয়েক লাখ টাকা দিয়েছিলেন বইটা ছাপার জন্য। সেই বই ‘স্বাধীনতা ’৭১’। অনন্যা প্রকাশনী ছেপেছে। দেদার বিক্রি করছে। সেই বইয়ের কথা বলেছিলাম। ভদ্রলোকের ফোনের পর সারাটা দিন অস্বস্তিতে গেছে। যতই শান্ত হওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। একজন একটা বই লিখবেন নিশ্চয়ই মোটামুটি শিক্ষিত মানুষ। তার চিন্তা-চেতনা-চৈতন্য যদি এমন হয় আমরা হত্যা করেছি। যুদ্ধ ক্ষেত্রে কেউ কাউকে হত্যা করে না। যুদ্ধ শেষে কেউ যদি ধরা পড়ে তা-ও তিনি অপরাধী হলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়, হত্যা করা হয় না। হত্যা আর শাস্তি দেওয়ার মধ্যে কত পার্থক্য একজন লেখক যদি তা বুঝতে না পারেন তাহলে তিনি কী লিখবেন? আসলে এমন চেতনার মানুষের জন্য আমাদের দুর্ভাগ্য। লুটেরারা লুট করে। যুদ্ধ জয় করে কোনো কিছু দখল করা হয়, জয় করা হয়। তাকে যদি ভদ্রলোক লুট ভাবেন তাহলে উত্তর কী? এমনিতেই চোখের সামনে দেখছি শত শত লেখক, রেডিও-টেলিভিশনের প্রতিবেদক, উপস্থাপক অবলীলায় ‘পাক বাহিনী, পাক বাহিনী’ বলে চলেছেন, লিখে চলেছেন। এত ঘরদুয়ার জ্বালাও-পোড়াওকারী, মা-বোনের সম্মান-সম্ভ্রম নষ্টকারী, লাখো মানুষ হত্যাকারী যদি ‘পাক’ বাহিনী হয়, তাহলে কদিন পর মুক্তিবাহিনী তো নাপাক বাহিনীতে পরিণত হবে। কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিবাহিনীকে বলবে নাপাক বাহিনী আর হানাদার পাকিস্তানি জল্লাদদের এত নাপাক কাজের পরও যদি পাক বাহিনী বলা হয় এই জ্বালা থেকে কবে মুক্তি পাব, জীবিতকালে পাব কি না বুঝে উঠতে পারছি না। ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে সত্যিই আমরা রণাঙ্গনে পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজিত করেছিলাম। ৯৬ হাজার সেনা সদস্য ও অন্যান্যকে ধরে পাকিস্তান পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু তাদের পক্ষের দালালদের আমরা স্পর্শ করতে বা হাত দিতে পারিনি। তাদের পক্ষের যে লেখক বুদ্ধিজীবী ছিল তারা পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ হওয়ায় একই অবস্থানে ছিল। বরং টাকাপয়সা, সাহায্য-সামগ্রী আগের চাইতে বেশি পেত। পাকিস্তানি যেসব ব্যবসায়ী ছিল পাকিস্তানের পক্ষে অর্থ জোগান দিত তারা আগের চাইতেও ভালো ছিল। অন্যান্য ক্ষেত্রেও পাকিস্তানিদের যে কাঠামো সেখানে আমরা হাতও দিইনি, দিতে পারিনি। এমনকি পাকিস্তানের অনেক দালাল আমাদের মধ্যে ঢুকে বাংলাদেশের প্রকৃত ভক্তের চাইতে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল। আমাকে ফোন করা ভদ্রলোককে দালাল বলতে চাই না। কিন্তু তার চেতনার বড় বেশি অভাব। চেতনার অভাবের কারণে ধীরে ধীরে আমরা কেমন যেন বড় বেশি ম্রিয়মাণ হয়ে পড়ছি।

কিছুদিন আগে দিনাজপুরের এক ভদ্রলোক তার ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন। তার এখন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার প্রবল ইচ্ছা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কালিহাতী উপজেলার রতনগঞ্জ বাজারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক উপকেন্দ্রে থাকতেন। খুব সম্ভবত স্টোরকিপার। আইয়ুব খানের আমল থেকে পানি সেচের জন্য, ডিজেল, পোকামাকড় মারার জন্য ওষুধ এবং সামান্য কিছু যন্ত্রপাতি উপকেন্দ্রে পাওয়া যেত। এমন একটা ছিল রতনগঞ্জ কেন্দ্র। যুদ্ধ শুরু হলে চাকরিবাকরি ছেড়ে তিনি বাড়ি পালিয়ে গিয়েছিলেন। দুই মাস পর আবার এসে চাকরিতে যোগদান করেন। যেহেতু রতনগঞ্জ ছিল আমাদের দখলে সেহেতু তার আর রতনগঞ্জ আসতে হয়নি, কালিহাতীতে থেকেছেন। মাসে মাসে বেতন নিয়েছেন। দেশ স্বাধীন হলে আবার সব ঠিকঠাক। এখন তার মনে হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের নিয়মিত বেতন খেয়েও তিনি মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন, আমি একটা সার্টিফিকেট দিলেই সবকিছু হয়ে যায়। তার মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার ইচ্ছা জাগার প্রধান কারণ তার বাড়ির আশপাশে অনেকেই নাকি মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। অথচ তারা কেউ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। ভদ্রলোক বুঝলেন কী করে আমি তা বুঝতে পারিনি। কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কালিহাতী ছিলেন। সীমান্তের এত কাছে তার বাড়ির দিকে কে মুক্তিযোদ্ধা ছিল কে ছিল না এটা তো তার জানার কথা নয়। কিন্তু তার মনে হয়েছে তার বাড়ির কাছে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় যারা আছেন তারা সবাই ভুল। কেউ তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন। তারা যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হতে পারেন, তাহলে তিনি কী দোষ করেছেন? অথচ তিনি পাকিস্তান সরকারের চাকরি করেছেন। দেশ স্বাধীন হলে যদি তাদের চাকরি চলে যেত, পাকিস্তানে চাকরি করার জন্য যদি বছর দশেক জেল হতো তাহলে এদের মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সাধ জাগত না। আমরা যারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি তাদের চাইতে যারা যুদ্ধের নয় মাস পাকিস্তান সরকারের নানা চাকরিবাকরিতে বহাল ছিলেন, স্বাধীনতার পর তাদের চাকরিবাকরি বহাল থাকায় এমনকি সরকারি সুযোগ-সুবিধা বেশি পাওয়ায় তারা অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে গেছেন। যুদ্ধের নয় মাস যারা অমানবিক জীবনযাপন করেছেন, না খেয়ে কষ্ট করেছেন, মাথা গোঁজার ঠাঁই পাননি তাদের চাইতে পাকিস্তানি দালালরা স্বাধীনতার অনেক ফসল ভোগ করেছেন বা করছেন।

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনো জীবিত উদ্ধার হচ্ছে। এ আল্লাহর এক অপরিসীম ক্যারিশমা। ১৩-১৪ দিন পরও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিত থাকা এক অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিধস একটু অন্যরকম। কোনো কোনো জায়গায় পুরো ভবন ধসে পড়েছে। অনেকটা দেবে গেছে। তাতে অনেক ঘরদুয়ার মাটির নিচে গেলেও অক্ষত আছে। এ কারণেই হয়তো শিশুসহ অনেককে জীবিত উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে। আল্লাহর দয়ার শেষ নেই। এ উদ্ধার অভিযানে আমাদের সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা কাজ করছে। তাদের সুনামে বুক ভরে যায়, গর্ববোধ হয়। স্বাধীনতার পর থেকে দেখছি আমাদের লোকজন যেখানেই যায় সেখানেই সম্মান বৃদ্ধি করে, দেশের গৌরব বাড়ায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারাই অনেকে দেশের সম্মানিত নাগরিকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে না, সম্মান দেখায় না। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক-সিরিয়ার মানুষকে হেফাজত করেন। তাদের ওপর থেকে সব বালামুসিবত সরিয়ে নেন, তুলে নেন। তারা যেন আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

বহুদিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি ওসমানী মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর নিবাস’ প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। মুক্তিযোদ্ধাদের অসচ্ছল না বলে বীরযোদ্ধা বললেই হতো। ২৫-৩০ মিনিট দেরিতে পৌঁছে লজ্জাবোধ করছিলাম। কিন্তু হলে ঢুকে বুঝলাম আমার দেরি হয়নি। কারণ প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান উদ্বোধনের কথা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি তিনি উদ্বোধন করবেন। রাস্তায় যানজট থাকায় আমার একটু দেরি হয়েছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস প্রদানের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছিলেন। তাই তাঁকে না বলতে পারিনি। কদিন আগে ২৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র জমা দেওয়ার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় তিনি টাঙ্গাইলে গিয়েছিলেন এবং চমৎকার বলেছেন। আদতে আ ক ম মোজাম্মেল হক ছিলেন লতিফ ভাইয়ের একেবারে একনিষ্ঠ ঘনিষ্ঠ কর্মী। তাই আ ক ম মোজাম্মেল হকের অনুরোধ ফেলতে পারিনি। গিয়েছিলাম তাঁর অনুষ্ঠানে। সামনে দুটো সিট খালি রাখা ছিল না খালি ছিল, জানি না। স্টিকার ছিল মন্ত্রীর পদমর্যাদার। কিন্তু পাশেই দেখলাম কাদেরিয়া বাহিনীর আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বীরপ্রতীক, মিরপুরের আমির হোসেন মোল্লা বসে আছে। ডান পাশে ছিলেন দুজন সচিব। সেখানেই বসেছিলাম। সঙ্গে ছিল আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক। ওকে পাশে নিয়েই বসেছিলাম। আবদুল্লাহ লেখাপড়া জানে না। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে আমি আবদুল্লাহর সমান সাহসী যোদ্ধা দ্বিতীয় কাউকে দেখিনি। আবদুস সবুর বীরবিক্রম আমার চোখে সবচাইতে সাহসী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। তার পরই হয়তো স্থান হবে ফজলুল হক বীরপ্রতীকের। যে মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর আমার দেহরক্ষী বাহিনীর নেতৃত্ব করেছে। হলে যাওয়ার পর ৪০-৫০ মিনিট বসেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকায় তিনি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছিলেন না। তিনি যখন ভার্চুয়ালি ক্যামেরার সামনে আসেন তখন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যথাযথ সম্মানে তিনি চমৎকারভাবে অনুষ্ঠান সূচনা করেন। ভাষণ দেন মুক্তিযদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব। অনুষ্ঠানের সভাপতি মুক্তিযদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তার পরই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তাঁর মূল্যবান বক্তব্য দেন। টেলিভিশনে অনেক অনুষ্ঠানই শুনি, দেখি। কিন্তু ওসমানী মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাসের চাবি প্রদানের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই ভালো বলেছেন। সরাসরি কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলা ইন্টারনেটে যুক্ত ছিল। সময়ের অভাবে নড়াইলের একজনকে বীর নিবাসের চাবি দেওয়া হয়েছে এবং চাবি পেয়ে তিনি কিছু কথা বলেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা আমার ভালো লেগেছে। ওখানে কয়েকটি বিষয় কেমন যেন খাপছাড়া মনে হয়েছে। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা না বলে বীরযোদ্ধার হাতে বীর নিবাসের চাবি প্রদান বললে অনুষ্ঠানের কোনো হানি হতো না। অন্যদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলার কোনো মানেই হয় না। এর আগে কোথাও শুনেছি কি না মনে পড়ে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনা জাতির পিতা মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা এ-ই যথেষ্ট। এর জন্য জ্যেষ্ঠ-কনিষ্ঠের কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। বীর নিবাস প্রদান সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অনেক কিছুই আমার ধারণায় নেই। তবে ২ কাঠা জমির ওপর বীর নিবাস আমার কাছে খুব সঠিক মনে হয়নি। বীর নিবাস প্রদান উদ্যোগটা খুবই প্রশংসনীয়। কিন্তু ৭৩২ স্কয়ার ফুটের বীর নিবাসের জন্য খরচ ১৪ লাখ কয়েক হাজার। এই খরচে মানসম্পন্ন কোনো ইট-বালুর গাঁথুনির কাজ কখনো সুন্দর, মানসম্পন্ন হতে পারে না। এখন সিমেন্টের ঘরবাড়ি তৈরিতে সর্বনিম্নœ প্রাক্কলন ২৭০০-২৮০০ টাকা। সে ক্ষেত্রে বীর নিবাস মানসম্পন্ন করে তৈরি করতে হলে হাজার পনের শ-দুই হাজারের নিচে মোটেই সম্ভব নয়। অন্যদিকে ৭৩২ স্কয়ার ফুট ১ কাঠার ১২ স্কয়ার ফুট বেশি। ৭২০ স্কয়ার ফুটে ১ কাঠা। ৭৩২ স্কয়ার ফুটের দুই কামরা, বারান্দা এবং বৈঠকখানা না করে ২ কাঠার ১৪৪০ স্কয়ার ফুট, জেলায় ৫ কাঠার ওপর ২ কাঠা বাড়ি, ৩ কাঠা আঙিনা। উপজেলায় ১০ কাঠায় ২ কাঠা বাড়ি, ৮ কাঠা আঙিনা। ইউনিয়ন বা গ্রাম পর্যায়ে ২০ কাঠায় ২ কাঠা বাড়ি, ১৮ কাঠা আঙিনা এমন একটা প্রজেক্ট নিলে ভালো হতো। জানি না, কেন ২ কাঠার এ পরিকল্পনা করা হয়েছে। রাজধানীতে ২ কাঠা হলে হয়তো কোনো আপত্তি থাকত না। কিন্তু গ্রাম পর্যায় থেকে জেলা পর্যায় পর্যন্ত নালা-ডোবায় ২ কাঠা জমির ওপর ১ কাঠার বাড়ি ভাবীকালে খুব একটা প্রশংসা পাবে না। তাই পরিকল্পনাগুলো একটু তলিয়ে দেখতে, একটু ভেবে দেখতে একজন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এবং সবার আগে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে অস্ত্র বিছিয়ে দিয়েছিলাম, সেই অধিকারে আমার এই সামান্য পরামর্শ। ভেবে দেখলেও দেখতে পারেন।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
যুদ্ধবিরতি
যুদ্ধবিরতি
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
গরমে অস্থির জনজীবন ইসলামের নির্দেশনা
গরমে অস্থির জনজীবন ইসলামের নির্দেশনা
অল্প দেখা আমেরিকা
অল্প দেখা আমেরিকা
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
সর্বশেষ খবর
করলার তেতো ভাব কমানোর কৌশল
করলার তেতো ভাব কমানোর কৌশল

৩ মিনিট আগে | জীবন ধারা

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিতর্কে এনসিপির অবস্থান
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিতর্কে এনসিপির অবস্থান

১১ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

১৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিশেষ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিশেষ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে দলগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান আলী রীয়াজের
জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে দলগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান আলী রীয়াজের

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

পিলখানা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার
পিলখানা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

২২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৩ বছর বয়সেই মোবাইল-ট্যাব হাতে পাচ্ছে আবুধাবির শিশুরা
৩ বছর বয়সেই মোবাইল-ট্যাব হাতে পাচ্ছে আবুধাবির শিশুরা

২২ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ওষুধের দাম কমানোর লক্ষ্যে আদেশে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প
ওষুধের দাম কমানোর লক্ষ্যে আদেশে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিচেল-কারেনকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন রিশাদ
মিচেল-কারেনকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন রিশাদ

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সড়ক অবরোধ করে যানজট সৃষ্টি না করার অনুরোধ ডিএমপির
সড়ক অবরোধ করে যানজট সৃষ্টি না করার অনুরোধ ডিএমপির

৩৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

১৬ মে শুরু হতে পারে আইপিএল
১৬ মে শুরু হতে পারে আইপিএল

৪৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

তাপপ্রবাহ : জরুরি ৯ নির্দেশনা দিল স্বাস্থ্য অধিদফতর
তাপপ্রবাহ : জরুরি ৯ নির্দেশনা দিল স্বাস্থ্য অধিদফতর

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

২১ অঞ্চলে বজ্রঝড়ের আশঙ্কা, আবহাওয়া অফিসের সতর্কতা
২১ অঞ্চলে বজ্রঝড়ের আশঙ্কা, আবহাওয়া অফিসের সতর্কতা

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাম্পকে বিলাসবহুল জেট ‘উপহার’ দিচ্ছে কাতার? ঘনীভূত হচ্ছে বিতর্ক
ট্রাম্পকে বিলাসবহুল জেট ‘উপহার’ দিচ্ছে কাতার? ঘনীভূত হচ্ছে বিতর্ক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই গণহত্যা মামলা : হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা
জুলাই গণহত্যা মামলা : হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

দুই গোলে এগিয়েও জয় পেল না চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
দুই গোলে এগিয়েও জয় পেল না চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইপিএল বাতিল হলে হাজার হাজার কোটি রুপি লোকসান
আইপিএল বাতিল হলে হাজার হাজার কোটি রুপি লোকসান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ এসেছে ভারতের পক্ষ থেকে’
‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ এসেছে ভারতের পক্ষ থেকে’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘সংঘাতের কৌশল’ না নিতে ইউরোপীয় শক্তিগুলোকে ইরানের হুঁশিয়ারি
‌‘সংঘাতের কৌশল’ না নিতে ইউরোপীয় শক্তিগুলোকে ইরানের হুঁশিয়ারি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ২৩
নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ২৩

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াতের নিবন্ধন প্রশ্নে আপিল শুনানি মঙ্গলবার
জামায়াতের নিবন্ধন প্রশ্নে আপিল শুনানি মঙ্গলবার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৩৮ হাজার ৫৭০ বাংলাদেশি
সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৩৮ হাজার ৫৭০ বাংলাদেশি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রিয়ালের হতাশার রাতে তিন দশকের রেকর্ড ভাঙলেন এমবাপ্পে
রিয়ালের হতাশার রাতে তিন দশকের রেকর্ড ভাঙলেন এমবাপ্পে

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছত্তিশগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
ছত্তিশগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হইচইয়ে আসছে মোশাররফ করিমের ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’
হইচইয়ে আসছে মোশাররফ করিমের ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেফতার
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তিব্বত
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তিব্বত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
সৌদিতে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবরে নিউ ইয়র্কে মিষ্টি বিতরণ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবরে নিউ ইয়র্কে মিষ্টি বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

সর্বাধিক পঠিত
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক
পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’
‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভীতিকর’ গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে জেডি ভ্যান্সের ফোনে থামে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ
‘ভীতিকর’ গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে জেডি ভ্যান্সের ফোনে থামে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সব পাইলট নিরাপদে ফিরেছে, দাবি ভারতের
সব পাইলট নিরাপদে ফিরেছে, দাবি ভারতের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ
দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের এক হুঁশিয়ারিতে কাবু জেলেনস্কি, পুতিনের সাথে আলোচনায় রাজি
ট্রাম্পের এক হুঁশিয়ারিতে কাবু জেলেনস্কি, পুতিনের সাথে আলোচনায় রাজি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়
তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’
‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ২৬ সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ২৬ সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি পাকিস্তানের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ এসেছে ভারতের পক্ষ থেকে’
‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ এসেছে ভারতের পক্ষ থেকে’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেন পোপ
যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেন পোপ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করে এমবাপ্পের নতুন রেকর্ড
এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করে এমবাপ্পের নতুন রেকর্ড

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো'
'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো'

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি
আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোমবার সরাসরি আলোচনায় বসছে ভারত-পাকিস্তান
সোমবার সরাসরি আলোচনায় বসছে ভারত-পাকিস্তান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ বন্ধ ভারতের মাওবাদী নিধন অভিযান!
অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ বন্ধ ভারতের মাওবাদী নিধন অভিযান!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখবে যে খাবার
গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখবে যে খাবার

২১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিল গেটসের ২০০ বিলিয়ন ডলার দানের ঘোষণায় যা বললেন সাবেক স্ত্রী
বিল গেটসের ২০০ বিলিয়ন ডলার দানের ঘোষণায় যা বললেন সাবেক স্ত্রী

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে করণীয়
হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

২১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

ট্রাম্পকে বিলাসবহুল জেট ‘উপহার’ দিচ্ছে কাতার? ঘনীভূত হচ্ছে বিতর্ক
ট্রাম্পকে বিলাসবহুল জেট ‘উপহার’ দিচ্ছে কাতার? ঘনীভূত হচ্ছে বিতর্ক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামিন মেলেনি সাবেক এমপি শামীমার, কারাগারে প্রেরণ
জামিন মেলেনি সাবেক এমপি শামীমার, কারাগারে প্রেরণ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তাপপ্রবাহের পর রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
তাপপ্রবাহের পর রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাতে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে
রাতে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
তামিমকে ঘিরে তোলপাড় চট্টগ্রামের রাজনীতি
তামিমকে ঘিরে তোলপাড় চট্টগ্রামের রাজনীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

গরু আসার নতুন রুট
গরু আসার নতুন রুট

পেছনের পৃষ্ঠা

সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!

সম্পাদকীয়

আলুর কেজি ৬ টাকা কৃষকের মাথায় হাত
আলুর কেজি ৬ টাকা কৃষকের মাথায় হাত

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুমিয়েই পার ২৫ বছর
ঘুমিয়েই পার ২৫ বছর

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সাধুবাদ জানিয়েছে সব দল
সাধুবাদ জানিয়েছে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

এক পিস ডাব ২০০ টাকা
এক পিস ডাব ২০০ টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

পুঁজিবাজার নিয়ে পাঁচ নির্দেশনা
পুঁজিবাজার নিয়ে পাঁচ নির্দেশনা

প্রথম পৃষ্ঠা

একদিকে গরম অন্যদিকে বজ্র
একদিকে গরম অন্যদিকে বজ্র

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে ইস্পাতশিল্পের উত্থান
বাংলাদেশে ইস্পাতশিল্পের উত্থান

বিশেষ আয়োজন

টরন্টোতে ফুলেল শুভেচ্ছায় কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিন
টরন্টোতে ফুলেল শুভেচ্ছায় কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিন

শোবিজ

বিপজ্জনক গোয়েন্দা তথ্যেই থামল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ!
বিপজ্জনক গোয়েন্দা তথ্যেই থামল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ!

প্রথম পৃষ্ঠা

বাদলের মাঠেই মোহামেডানের উৎসব?
বাদলের মাঠেই মোহামেডানের উৎসব?

মাঠে ময়দানে

এবার বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন
এবার বাতিল হচ্ছে নিবন্ধন

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যাম্পিয়ন জিমন্যাস্ট শাহিনের কথা কেউ মনে রাখেনি
চ্যাম্পিয়ন জিমন্যাস্ট শাহিনের কথা কেউ মনে রাখেনি

মাঠে ময়দানে

মহীয়সী মায়ের শিক্ষায় শিশুর ভবিষ্যৎ
মহীয়সী মায়ের শিক্ষায় শিশুর ভবিষ্যৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের গান-স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত কুমার বিশ্বজিৎ
ফের গান-স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত কুমার বিশ্বজিৎ

শোবিজ

লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় মামলা
লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাই ছবিতে যা কিছু প্রথম
ঢাকাই ছবিতে যা কিছু প্রথম

শোবিজ

রিয়ালকে হারিয়ে শিরোপার কাছে বার্সা
রিয়ালকে হারিয়ে শিরোপার কাছে বার্সা

মাঠে ময়দানে

প্রথম ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে উরুগুয়ে-আর্জেন্টিনা
প্রথম ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে উরুগুয়ে-আর্জেন্টিনা

মাঠে ময়দানে

অল্প দেখা আমেরিকা
অল্প দেখা আমেরিকা

সম্পাদকীয়

ভুটানকে হারিয়ে সেমিতে বাংলাদেশ
ভুটানকে হারিয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

তুষির রঙ্গমালা
তুষির রঙ্গমালা

শোবিজ

অ্যাডামসের বিদায়ঘণ্টা
অ্যাডামসের বিদায়ঘণ্টা

মাঠে ময়দানে

১৮ ক্যাটাগরিতে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড
১৮ ক্যাটাগরিতে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড

শোবিজ

এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন
এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন

মাঠে ময়দানে

সারা দেশে আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরণ
সারা দেশে আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে চাচা-ই বাবা
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে চাচা-ই বাবা

প্রথম পৃষ্ঠা