বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

ছাত্রী নির্যাতন

ভিডিও উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের এক নবীন ছাত্রী নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ ছাত্রীর আবাসিকতা বাতিল করেছে হল কর্তৃপক্ষ। নির্যাতনকারী ছাত্রনেত্রী নামধারীদের ইতোমধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে পৈশাচিক নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটিও অন্তরা এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে। তবে ভুক্তভোগী ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও ধারণের অভিযোগ ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটির কাছে স্বীকার করেননি নির্যাতনকারী ছাত্রনেত্রী নামধারীরা। বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ইতোমধ্যে হাই কোর্টেও প্রেরণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রী তার ওপর নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে হল কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, এতে তার সন্তোষ-অসন্তোষের কোনো বিষয় নেই। অভিযুক্তরা তাদের প্রাপ্য পেতে শুরু করেছে। আরও কিছু প্রাপ্য থাকলে তারা সেটিও পাবে। তারা তাদের অপকর্মের মাধ্যমে এমন যোগ্যতাই অর্জন করেছে। নির্যাতনের মূল হোতা অন্তরার সহযোগীরা বলেছেন, অন্তরা ভুক্তভোগী নবীন ছাত্রীর ওপর নির্যাতন চালাতে তাদের বাধ্য করেছেন। তিনি এ জন্য ভয়ভীতিও দেখিয়েছেন। ভুক্তভোগী ছাত্রীও বলেছেন, ছাত্রনেত্রী নামধারী অন্তরাই তাকে তার সহযোগীদের কাছে তুলে দিয়েছেন নির্যাতনের জন্য। নির্যাতনকারীরা নির্যাতনের সময় বলেছে তারা তো ভুক্তভোগীকে চেনেই না। অন্তরার কথামতো নির্যাতন চালাতে হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কথিত ছাত্রনেত্রী এবং তার সহযোগীদের দ্বারা ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় হল কর্তৃপক্ষ দ্রুত নির্যাতনকারীদের হল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে সক্ষমতা দেখিয়েছে তা প্রশংসার যোগ্য। আমরা আশা করব অভিযুক্তদের ছাত্রত্ব বাতিলসহ তাদের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হবে। নির্যাতনের ভিডিও উদ্ধার করাও সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব হওয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট হলের সিসি ক্যামেরার ধারণকৃত চিত্র না পাওয়ার পেছনে যাদের কারসাজি জড়িত তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর