শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন, ২০২৩ আপডেট:

সেই জাহাজে ছিলাম আমিও

ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
সেই জাহাজে ছিলাম আমিও

১৯ জানুয়ারি, শনিবার, ১৯৮১ সাল, আমার জীবনের একটি অভাবনীয় দিন। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে অপেক্ষমাণ বিশাল একটি জাহাজ। জাহাজে ওঠার লাইনের তিন-চতুর্থাংশ পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। একের পর এক সিঁড়ি বেয়ে জাহাজে উঠতেই নাবিকরা নির্দেশ দিতে থাকল কোন পথে আমাদের জন্য নির্ধারিত কামরাগুলো। দাওয়াত পেয়েছিলাম মেধাবীদের ছাত্র তালিকায়, তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, সেই সঙ্গে ছাত্রদল থেকে ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের প্রথমবারের মতো নির্বাচিত ভিপি।  কামরাটি খুঁজে বের করে আমার কাঁধের ব্যাগটি রেখেই প্রেসিডেন্ট জিয়াকে দেখার উদ্দেশে সিঁড়ির কাছে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলাম। কিছুক্ষণ পরেই আর্মির বিউগলের শব্দ শুনতে পেলাম। চোখে কালো সানগ্লাস, সুদর্শন-স্মার্ট প্রেসিডেন্ট জেটিতে গার্ড অব অনার নিয়ে অন্য একটি পথে লাল গালিচার মধ্য দিয়ে জাহাজে উঠে গেলেন।

রাজকীয় এক হুইসেলের মধ্য দিয়ে জাহাজটি আস্তে আস্তে যাত্রা শুরু করল। তখন প্রায় দুপুর ২টা। ধীরগতিতে খরস্রোতা সমুদ্র মোহনার কর্ণফুলী নদী দিয়ে হিজবুল বাহার এগিয়ে চলছে। একটু দূরেই দেখতে পেলাম কয়েকটি গান বোট। দুটি জাহাজের পেছনে এবং দুটি জাহাজের সামনে, সমান্তরাল গতিতে এগিয়ে চলছে। কিছু দূর যাওয়ার পরেই কর্ণফুলীর ডান তীরে সুসজ্জিত মেরিন একাডেমির ক্যাডেটরা, নৌবাহিনীর সৈনিকরা উচ্চৈঃস্বরে বিউগল বাজিয়ে লাল সবুজের পতাকাবাহী জাহাজে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে সামরিক কায়দায় সম্মান জানায়। উজ্জ্বল সূর্যের বিচ্ছুরিত আলোক রশ্মি শান্ত শীতল নীল জলরাশির ওপর এক অপরূপ জলকেলি করছিল। দেখতে না দেখতেই বিকাল গড়িয়ে সূর্যাস্তের সময় হলো। কী সুন্দর এই পৃথিবী, বিশাল জলরাশির মধ্যে লাল জ্বলন্ত সূর্যটি অগ্নিকুন্ডের মতো আস্তে আস্তে ডুবে যাচ্ছিল। রক্তিম মায়াবি আভা এসে ঠিকরে পড়ছিল জাহাজের ডেকে। আমি একা নই, এ দেশের অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, গবেষক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, রাজনীতিবিদ ও সংস্কৃতিমনা সব শ্রেণি থেকে দুই হাজারের ওপর অতিথিকে নিয়ে তিনি এ শিক্ষা সফরে বের হন। মূলত হিজবুল বাহারে হাজিরা সৌদি আরব যেতেন পবিত্র হজব্রত পালন করার জন্য। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা যাতায়াত করত। এরপরও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের বিরাট অঙ্কের লোকসান গুনতে হতো।

সেই কখন যে খেয়েছি তা ভুলেই গিয়েছিলাম। এরই মধ্যে ডাইনিং রুমে সারিবদ্ধভাবে ¯œ্যাকস রাখা হয়েছিল, সেদিকে কারও নজর ছিল না। সন্ধ্যা ৭টায় জাহাজের তৃতীয় তলার পেছনের দিকে সুইমিং পুলের পার্শ্বে সবাই জমায়েত হন। আমরা সবাই বসে আছি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। হঠাৎ দেখতে পেলাম নিরাপত্তারক্ষীদের কর্ডন ভেদ করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এগিয়ে আসছেন। পাশে উপবিষ্ট বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। রাষ্ট্রপতির সামনে মাইকটি এগিয়ে দিলেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর স্বভাব সুলভ সৌজন্য প্রকাশ করে তাঁর চশমা ঢাকা চোখ দুটি দিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের অবলোকন করলেন। বললেন, ‘শোন ছেলে-মেয়েরা, আমি তোমাদের বাংলাদেশের ডাঙা থেকে উত্তাল বঙ্গোপসাগরের মধ্যখানে নিয়ে এসেছি।’ একটু আবেগময় কণ্ঠে রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্য শুরু করলেন, মুহূর্তের মধ্যে সব ফিসফাঁস স্তব্ধ হয়ে গেল। বন্ধ হলো না সাগরের তরঙ্গের উচ্ছ্বাস, জাহাজের পেছন দিক হওয়াতে ইঞ্জিনের ধাতব গিগি শব্দ ভেসে আসছে। তিনি বলতে শুরু করলেন, ‘সমুদ্র হলো অন্তহীন পানির বিস্তার ও উদ্দাম বাতাসের লীলা ক্ষেত্র। এখানে এলে মানুষের হৃদয় একই সঙ্গে উদার ও উদ্যমী সাহসী হয়ে ওঠে। তোমরা আমার বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের সংকীর্ণতা ও কূপমূ-কতাকে পরিহার করে সমুদ্রের মতো উদার ও ঝড়ো হাওয়ার মতো সাহসী হতে হবে।’

‘আমি তোমাদের কাছে এখন যে কথা বলব তা আমাদের জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক তাগিদ। এই তাগিদকে স্মরণীয় করার জন্য আমি একটা পরিবেশ খুঁজছিলাম। হঠাৎ বঙ্গোপসাগরের কথা মনে পড়ল। এই উপসাগরেই রয়েছে দশ কোটি মানুষের উদরপূর্তির জন্য প্রয়োজনেরও অতিরিক্ত আহার্য ও মূলভূমি ভেঙে আসা বিপুল পলিমাটির বিশাল দ্বীপদেশ যা আগামী দু-তিন প্রজন্মের মধ্যেই ভেসে উঠবে। যা বাংলাদেশের মানচিত্রে নতুন বিন্দু সংযোজনের তাগিদ দেবে। মনে রেখো, আমাদের বর্তমান দরিদ্রতা, ক্ষুধা ও অসহায়তা আমাদের উদ্যমহীনতারই আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি মাত্র। এর জন্য অন্যের চেয়ে আমরাই দায়ী বেশি।’ ‘আমাদের ভিটা ভাঙা পলি যেখানেই জমুক, তা তালপট্টি কিংবা নিঝুম দ্বীপ এই মাটি আমাদের। দশ কোটি মানুষ সাহসী হলে আমাদের মাটি ও সমুদ্র-তরঙ্গে কোনো ষড়যন্ত্রকারী নিশান উড়িয়ে পাড়ি জমাতে জাহাজ ভাসাবে না।’ ‘মনে রেখো, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা দশ কোটি মানুষ যথেষ্ট সাহসী নই বলে শত্রুরা, পররাজ্য লোলুপ রাক্ষসেরা আমাদের পূর্বপুরুষদের এই স্বাধীন জলাধিকারে আনাগোনা শুরু করেছে। তোমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী ছেলেমেয়ে, দেশের দরিদ্র পিতামাতার সর্বশেষ আশার প্রাণকণা, যাদের ওপর ভরসা করে আছে সারা দেশ, সারা জাতি। তোমরাই বাংলাদেশের হাজার বছরের পরাধীনতার কলঙ্ক মোচনকারী প্রত্যাশার আনন্দ-নিঃশ্বাস। ইতিহাসের ধারায় দৃষ্টিপাত করলেও তোমরা জানবে এই সমুদ্র ছিল আমাদের আদিমতম পূর্বপুরুষদের নৌশক্তির স্বাধীন বিচরণভূমি। এমনকি বৌদ্ধযুগে পাল রাজাদের অদম্য রণপোতগুলো এই জলাধিকারে কাউকেই অনধিকার প্রবেশ করতে দেননি। সন্দেহ নেই আমাদের সেসব পূর্বপুরুষরা ছিলেন যথার্থই শৌর্যবীর্যের অধিকারী। তখন আমাদের সেসব পূর্বপুরুষ ছিলেন নগণ্য। কিন্তু আমরা সারাটা উপমহাদেশ, সমুদ্রমেখলা দ্বীপগুলো আর অসমুদ্র হিমাচল শাসন করেছি। বলো, করিনি কি?’

তিনি আরও বললেন, ‘আমাদের রয়েছে যোজন যোজন উর্বরা জমি। একটু আয়েসের ফলেই ফসলে ঘর ভরে যেতে পারে। অর্থের অভাবে শুধু কোনো বৈজ্ঞানিক চাষের উদ্যম নেওয়া যাচ্ছে না। কে আমাদের বিনা স্বার্থে এই উদ্যমে সহায়তা করবে? কেউ করবে না। অথচ যে সম্পদের বিনিময়ে অর্থের প্রাচুর্য ঘটে তা আমাদের দেশের পেটের ভিতরেই জমা আছে। আমরা তুলতে পারছি না।’ তিনি তখন বলতে শুরু করলেন, ‘আমাদের রয়েছে সাত রাজার ধন-তেল, গ্যাস, কয়লা, চুনা পাথর আরও অনেক কিছু। আমরা তো আমাদের গ্যাস মাত্র খানিকটা তুলেছি, তিতাস, বাখরাবাদের মতো অসংখ্য গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্র দরকার।’ তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে আরও বললেন, ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য আমাদের দেশে বাণিজ্যিকভাবে তেল উত্তোলন করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, পাশে দন্ডায়মান এডিসিকে তেলের শিশিটি দিতে বললেন। আমরা সবাই বিস্ময়ের সঙ্গে তাকিয়ে রইলাম। তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে শান্ত কণ্ঠে বললেন, ‘আমার জীবনকালে সম্ভবপর না হলে, তোমরা আমার ছেলেমেয়েরা, এই তেল তুলবে।’ তিনি আরও বললেন, ‘শোন ছেলেমেয়েরা, আমি তোমাদের সান্নিধ্য পেয়ে খুবই খুশি। তিনটি দিন ও তিনটি রাত আমরা এই দরিয়ায় নোনা বাতাসে দম ফেলতে এসেছি। এখন এই জাহাজটিই হলো বাংলাদেশ। আর আমি হলাম তোমাদের ক্যাপ্টেন।’

সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো রাষ্ট্রপতির কথা শুনছিলাম। সবার চোখে মনে হচ্ছিল কী যেন বিশাল প্রাপ্তির তৃপ্ত চাহনি। আমরা শুধু জাহাজের ওপর আছড়ে পড়া সমুদ্রের ঢেউগুলোর শব্দই শুনতে পাচ্ছিলাম। এরই মধ্যে শিল্পীরা রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিয়ে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত গান, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট, ভেঙে ফেল কররে লোপাট...’ গানটি গাইতে শুরু করল। প্রথম রাতে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে জাহাজের বাংকারের বিছানায় নিশ্চিন্ত মনে গভীর সুখ নিদ্রায় রাত পার করলাম।

‘সকাল সাড়ে ৭টায় নাশতা সেরে জাহাজের ডেকের ওপর গিয়ে দেখি পাশে আরেকটি ছোট জাহাজ আটকানো আছে আমাদের এই বিশাল জাহাজটির সঙ্গে। সেই জাহাজটিতে সামুদ্রিক জীব-বিজ্ঞানীরা এসেছিলেন আমাদের এই সমুদ্রসীমার ভিতরে অমূল্য জীববৈচিত্র্যসম্পন্ন সম্পদ রয়েছে তার প্রতিপাদন দেখাতে। ঠিক তেমনিভাবে আরেকটি জাহাজে ভূতত্ত্ব বিজ্ঞানীরা রাষ্ট্রপতিকে তাদের আহরিত খনিজ সম্পদের প্রতিপাদন দেখালেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সব শিক্ষার্থীকে নিয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে সীমানা, খনিজসম্পদ, মৎস্য সম্পদ ও সমুদ্র গহ্বরে অবারিত জলজ ও ঔষধি উদ্ভিদ সম্পদ একের পর এক দেখালেন। দ্বিতীয় দিন দুপুরে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, বিমান বাহিনীর জেট বিমানগুলো কীভাবে আকাশ পাহারা দেয়, সেই মহড়া দেখাচ্ছিল। সেই সঙ্গে যুদ্ধজাহাজ ওমর ফারুখ থেকে বিমান বিধ্বংসী কামান গর্জে উঠল। বিকাল বেলায় আবারও যুদ্ধজাহাজ থেকে কীভাবে টর্পেডো ছুড়ে সাবমেরিন ধ্বংস করে সেই মহড়াও দেখানো হলো।

বিকালে ডেকের ওপরে ওনার সঙ্গে আমরা কয়েকজন ছাত্র কথা বলতেই তিনি বললেন, পত্রিকায় রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে নৌবিহারে যাওয়ার সমালোচনা করেছে। তিনি বললেন, ‘সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে দেখ, দিগন্ত মেলে কত দূরে এই আকাশটি মিলে গেছে পানির সঙ্গে, তোমাদের মনটিকে এই বিশাল সমুদ্রের মতো আকাশ সমান উচ্চতা নিয়ে বড় করতে হবে।’

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পূর্ব মুহূর্তে আজ সবাই রুম থেকে বেরিয়ে এলেন সমুদ্র বক্ষে সূর্যাস্ত দেখার জন্য। যখন চারদিকে আঁধার নেমে এলো, সংকেত পেয়ে সবাই উঠে এলাম জাহাজের ছাদে। বিচ্ছুরিত হলো বিশাল এক আলোর ক-ুলী আকাশে, গিয়ে পড়ল বহু দূরে। আমরা শুধু শুনতে পেলাম গানবোট থেকে বিকট গুলির শব্দ। এ ছাড়া এন্টি-এয়ারক্রাফট, যুদ্ধবিমান এফ-৬, মিগ-২১ এর নানা রকম কসরত যেমন : নাইট ফ্লেয়ার, স্মোক ডিসপ্লে ইত্যাদি চলছিল। আকাশে বিমান বাহিনীর মহড়া পাশাপাশি সমুদ্রে নৌমহড়া। প্রাণজুড়ে আমারা সবাই দেখলাম।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাহাজে অবস্থানরত প্রত্যেক শ্রেণি-পেশা, গোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে সকালের নাশতা কিংবা দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারের সময়ে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করলেন। আমরা শিক্ষার্থীদের সৌভাগ্য হয়েছিল মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নৈশভোজ করার। প্রতিদিন রাতে সব অতিথির সঙ্গে আলাপচারিতা শেষ করে, হিজবুল বাহারে তিনি তাঁর রাষ্ট্রপতির ভ্রাম্যমাণ কার্যালয়ে বসে রাষ্ট্রপতির দৈনন্দিন কার্যাবলি সম্পাদন করতেন। শুনেছিলাম, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের লোকসান গোনা হিজবুল বাহার হস্তান্তর করেছিলেন নৌবাহিনীতে।

তৃতীয় দিনের প্রত্যুষে সূর্য ওঠার আগে কোনো এক সময় রাষ্ট্রপতি আবার চলে এলেন আমাদের হাতছানি দিয়ে তাঁর কর্ম ব্যস্ততার জীবনে। আমাদের জাহাজখানি সুন্দরবন, হিরণ পয়েন্ট হয়ে গভীর সমুদ্রে যায়। ফেরার সময় দিগন্তহীন সমুদ্রের দিকে আনমনে তাকিয়ে ছিলাম আর ভাবছিলাম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কথা। আমি রাষ্ট্রপতির কথা বলার সময় মাঝে মাঝে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেধাবী শিক্ষার্থীদের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, মনে হচ্ছিল, আমারা সবাই যেন রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের সেই সাত রাজার ধন পেয়েছি। মনে হচ্ছিল, আল্লাহ বোধ হয় তাঁর অবারিত সব অমূল্য সম্পদ আমাদের দিয়েছেন। মনে মনে, সেই দিন আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলাম তিনি যেন আমাদের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দীর্ঘজীবী করেন। নিজেকে বাংলা মায়ের সন্তান হিসেবে গর্ববোধ করছিলাম। কী নেই আমাদের এই দেশে। মনে হলো কবির দুটি পঙ্ক্তি কথা- ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার ...’

একজন সৈনিকের জীবনে সবচেয়ে মহান ব্রত হলো দেশ ও মাতৃকার সেবায় জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করা। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন রণাঙ্গনে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে প্রিয় দেশকে স্বাধীন করে তাঁর সামরিক জীবন স্বার্থক করেছেন। ১৯৭১ সালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একজন মেজর হিসেবে সেনাবাহিনীর আইনকানুন উপেক্ষা করে নির্ঘাত কোর্ট মার্শাল হবে জেনেও তিনি বলেছিলেন, উই রিভোল্ট। জান্তার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে ঘোষণা দিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। একজন সামরিক অফিসারের আজীবন স্বপ্নের সর্বোচ্চ আসনে আসীন হয়েছিলেন তিনি, হয়েছিলেন সেনাপ্রধান।

তাঁর মেধা, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা, দার্শনিক চিন্তাভাবনা, তাকে সুদূরপ্রসারী চিন্তাবিদ বানিয়েছিলেন। যা আমরা সাধারণত দেখতে পাই গামাল আবদুল নাসের, ফিদেল ক্যাস্ত্রো, ডানিয়েল ওর্তেগা, মার্শাল টিটো, কামাল পাশা প্রমুখ রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে। তাঁর চিন্তাভাবনার প্রসারতা ও গভীরতার ভিত্তি এত শক্ত ছিল যে, তিনি সব ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, পাত্র, কাল ভেদে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার মূলমন্ত্র বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হয়েছিলেন। আমরা দেখেছি পাক-ভারত উপমহাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো দর্শনভিত্তিক হয়নি বলে এভারেস্টচুম্বী জনপ্রিয় হয়েও অনেক দল বরফগলা পানির মতো বিলীন হয়ে গেছে।

নবীন ছাত্র হিসেবে যে বক্তব্য শুনেছিলাম শহীদ জিয়ার কণ্ঠে, জলেভাসা আমাদের ভিটে মাটি ওই বঙ্গোপসাগরের আঙিনায় গিয়ে বিন্দু বিন্দু করে জমে আমাদের ভৌগোলিক সীমানার পরিবর্তন আনবে। তাই তো আমরা আজ পেয়েছি নিঝুম দ্বীপ। ব্রিটিশ নাগরিক রেডক্লিভের অঙ্কিত সীমানা হাড়িয়া ভাঙ্গা নদীর পাড়ে বঙ্গোপসাগরে ভেসে ওঠা তালপট্টি হবে আমাদের আস্তানা। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া বলেছিলেন, আমাদের দেশে আছে অমূল্য সম্পদ তেল, গ্যাস, কয়লা, চুনাপাথর ইত্যাদি। হিজবুল বহরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেধাবী শিক্ষার্থীদের তিনি আরও বলেছিলেন, আমার সময়ে যদি এ মহামূল্যবান খনিজসম্পদ উত্তোলন নাও করতে পারি, তোমরা তা করবে।

আজ ৩০ মে, ২০২৩ সাল, শহীদ জিয়ার ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকীতে মনে করিয়ে দেয় ১৯৮১ সালের জানুয়ারিতে হিজবুল বাহারে ওনার অমর উক্তিগুলো। আজ আমরা সত্যিই ঐতিহাসিকভাবে দৃশ্যমান প্রমাণ পেয়েছি, দক্ষিণ বঙ্গে সবমিলিয়ে ২০২১ সালে দেশের ভূখন্ডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে ২৫০ বর্গকিলোমিটার।  শহীদ জিয়া আরও দেখিয়েছিলেন, সমুদ্রবক্ষ থেকে আহরিত খনিজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদ ও সমুদ্র গহ্বরে অবারিত জলজ ও ঔষধি উদ্ভিদ সম্পদ। যাকে আজকের দিনে বলা হয় সুনীল অর্থনীতি (ব্লু-ইকোনমি) যে ধারণাটি দিয়েছিলেন, অধ্যাপক গুন্টার পাউলি ১৯৯৪ সালে। আর ২০১৪ সালে এসে আজকের বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্লু ইকোনমির কথা বলছে। যা বলে গিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আজ থেকে ৪০ বছর আগে। তাহলে শহীদ জিয়ার উক্তিই আজ সত্য হলো।

                লেখক : সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

                চেয়ারম্যান এডুকেশন রিফর্ম ইনেশিয়েটিভ (ইআরআই)

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১০ মিনিট আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

৪৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

৪৮ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

৪৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

৫১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

৫২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন
দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু
ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ
গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর
মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর
ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নন্দীগ্রামে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন
নন্দীগ্রামে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমান তৃণমূলকে ধানের শীষ উপহার দিয়েছেন: সরওয়ার আলমগীর
তারেক রহমান তৃণমূলকে ধানের শীষ উপহার দিয়েছেন: সরওয়ার আলমগীর

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মুন্সীগঞ্জে অটিজম শিশুদের জন্য সুবর্ণ স্কুল
মুন্সীগঞ্জে অটিজম শিশুদের জন্য সুবর্ণ স্কুল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রূপগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৪
রূপগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৪

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার কতবার ফাঁসি হবে তা কেউ বলতে পারবে না : আমান
শেখ হাসিনার কতবার ফাঁসি হবে তা কেউ বলতে পারবে না : আমান

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

চুয়েটে নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মশালা
চুয়েটে নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুয়াকাটা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস থকে জাটকা জব্দ
কুয়াকাটা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস থকে জাটকা জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পটুয়াখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পটুয়াখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

৯ ঘণ্টা আগে | টক শো

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন