করোনায় দুই মৃত্যু

ভয় নয়, মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

Not defined

প্রিন্ট ভার্সন

করোনাকাল শুরু হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আগের ৬৬টি দিনে সারা দেশে এ ভাইরাসে কারোর মৃত্যু ঘটেনি। শুক্রবার একই দিন মারা গেছেন দুজন। এর আগে চলতি বছরের ২৮ মার্চ করোনায় মারা গিয়েছিলেন একজন। শুক্রবার করোনাভাইরাসে দুজনের মৃত্যুর ফলে মহামারিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪৪৮ জন। শুক্রবার নতুন করে ৮৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৫০৬ জন। তবে করোনা আক্রান্তদের প্রকৃত সংখ্যা শনাক্তের চেয়ে যে বহুগুণ বেশি এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণের সুযোগ নেই। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে- সারা দেশে ৮৮৫টি পরীক্ষাগারে ১ হাজার ৫০৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১ হাজার ৫১৫টি। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫.৮৭ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩.২২ শতাংশ। করোনা আক্রান্তদের মধ্য থেকে সেরে উঠেছেন ১২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৬ হাজার ৩১৩ জনে। সুস্থতার হার ৯৮.৩৭ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ সম্পর্কিত সতর্কাবস্থা প্রত্যাহার করে নিলেও চীনসহ বিভিন্ন দেশে থাবা বিস্তার করতে শুরু করেছে এই ভাইরাস। বাংলাদেশ করোনা মহামারি মোকাবিলায় দৃষ্টিগ্রাহ্য সাফল্য অর্জন করলেও অর্থনীতির জন্য যে ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে, তা পূরণ করতে কয়েক বছর লেগে যাবে। এ প্রেক্ষাপটে নতুন করে করোনায় মৃত্যু উদ্বেগজনক। ৮৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলেও প্রকৃত সংখ্যা যে ঢের বেশি তা সহজেই অনুমেয়। আমরা আশা করব, করোনার সব শেষ থাবা ঠেকাতে ভয়ে ভোগা নয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করা হবে। আক্রান্তরা যাতে অন্যদের কাছ থেকে দূরে থাকেন সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিও প্রাসঙ্গিক বিষয়।