সমাজব্যবস্থায় অস্থিরতা সৃষ্টি করছে মাদকাসক্তির অভিশাপ। সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে মাদকের আগ্রাসনে। এ দেশের একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির সন্তান সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় তরুণ বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন মাদকাসক্তির কারণে। অতি অভিজাত পরিবারের সন্তান থেকে হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী সন্তান সবাইকে কেড়ে নিচ্ছে মাদকাসক্তির প্রবণতা। পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনেও তা সৃষ্টি করছে অকাম্য আঘাত। মাদক আগ্রাসন সমাজব্যবস্থায় অস্থিরতা সৃষ্টি করলেও এই দৈত্যকে প্রতিহত করার কার্যকর উদ্যোগ নেই বললেই চলে। এটি প্রতিহত করার দায়িত্ব যাদের, তাদের যোগসাজশেই চলছে এ ঘৃণ্য ব্যবসা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এমনকি মাদক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানেন কোথায় কোথায় মাদক বিক্রি হয়। জানেন কোন রুট দিয়ে মাদক পাচার হয়। এসব রোধের দায়িত্ব যাদের তারা তাদের বিবেককে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বন্ধক রাখায় মাদকাসক্তির নোংরা দৈত্যকে কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না। দেশে যত খুন-খারাবি, হাইজ্যাক ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে তার অন্তত ৮০ শতাংশের সঙ্গে মাদকের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। আশির দশকে এ দেশে হেরোইনের আগ্রাসন ঘটে। এই দশকের শেষের দিকে ফেনসিডিল মাদক রাজ্যের পরিচালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। নব্বই দশকের শেষ দিকে ইয়াবার আগমন ঘটে। প্রথমদিকে এ আগ্রাসনকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এখন ইয়াবার থাবায় আক্রান্ত দেশের প্রায় প্রতিটি এলাকা। রাজধানীর অভিজাত তরুণ-তরুণীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ইয়াবায় আসক্ত। এ নেশার অর্থ জোগাতে তারা জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে রাজধানীসহ সারা দেশের বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণী। অভিজাত এলাকার ক্লাব, রেস্তোরাঁ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাদকের নেটওয়ার্ক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ইয়াবার নেশায় তাৎক্ষণিকভাবে হƒদস্পন্দন, রক্তচাপ ও শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্কের কিছু কোষের অপমৃত্যু ঘটে। এভাবেই হƒৎপি- এবং ফুসফুস ও কিডনি বিকলের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে ইয়াবা আসক্তরা। এ মরণনেশা প্রতিরোধে সীমান্তে কড়াকড়ি প্রহরা দরকার। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে তাদের মধ্যে ভয় ঢোকাতে হবে। মাদকাসক্তদের সুচিকিৎসার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে হবে এর থাবা থেকে।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে