শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪ আপডেট:

প্রবীণের সম্মান ও ত্যাগের মর্যাদা কে কবে পাবে?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
প্রবীণের সম্মান ও ত্যাগের মর্যাদা কে কবে পাবে?

মুসলিম জাহানের সবচেয়ে পূতপবিত্র মাস মাহে রমজান। পরম দয়াময় আল্লাহর কাছে কায়মনে প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন আমাদের রমজান কবুল ও মঞ্জুর করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে মুসলিম জাহানের রমজানের সিয়াম সাধনা মঞ্জুর করেন এবং সমগ্র বিশ্ববাসীকে রহমত বরকত দান করেন- আমিন।

মার্চ বাঙালি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাস। মার্চ স্বাধীনতার মাস, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাস, বাংলাদেশের জন্মের মাস, বাংলাদেশের জনকের জন্মের মাস। এককথায় এই ভূখন্ডে মার্চের চেয়ে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ আর দ্বিতীয় কোনো মাস আছে বলে আমার মনে হয় না। মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত বাঙালির চিন্তা-চেতনা-চৈতন্যে সবার আগে ছিল ফেব্রুয়ারি। ফেব্রুয়ারিই ছিল আমাদের মুক্তির মাস, রক্তদানের মাস। মুক্তিযুদ্ধের পর সেটা মার্চে গিয়ে ঠেকেছে। একসময় পাঠকদের বলেছিলাম, এ কে খন্দকার বীরউত্তমের ‘‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে” পরতে পরতে শব্দে শব্দে লিখবা মনে হয় তা আর হয়ে উঠবে না। তাই যতটা পারি এই লেখায় তুলে ধরে বাকিটা একটা বই আকারে ছাপার কথা চিন্তা করছি। কারণ সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে এত পাঠক তাগাদা করেন, পাঠকের ইচ্ছা উপেক্ষা করা যায় না বা উচিত না।

৫ মার্চ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন সমাপ্ত হয়েছে। সংসদ নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনার সমাপনী ভাষণে অনেক কিছু থাকলেও এতদিন ধরে রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ প্রস্তাবে তেমন কারও বক্তব্যে খুব একটা সারবত্তা পাওয়া যায়নি। যদিও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ একেবারে একদলীয়। মাত্র ২-৩ জন স্বতন্ত্র এমপি ছাড়া একজনও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি বা ইচ্ছার বাইরে নন। জাতীয় পার্টির ১২-১৩ জন, তারাও বোনের দয়ার দান। এই সংসদে প্রথম একজন মাননীয় সংসদ সদস্য আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী, তার জন্য নির্ধারিত সময় প্রতিবাদ করে সংসদের বাইরে থেকেছেন মানে ওয়াকআউট করেছেন। কাজটা অত্যন্ত ভালো করেছেন। তিনি একজন প্রবীণ নেতা। আমরা অনেকেই তার হাত ধরে তার প্রেরণায় রাজনীতিতে এসেছিলাম। আমি অকপটে স্বীকার করি, তাকে না পেলে গরুর রাখাল অথবা রিকশাচালকের বেশি হতে পারতাম না। তার রাজনীতি অনুসরণ অনুকরণ করে বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর কারণেই দেশমাতৃকাকে হৃদয়ে ধারণ করতে এবং মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম। নিজের জন্য নয়, মানুষের জন্যই যে আমাদের জন্ম সেটা উপলব্ধি করেছিলাম। তার সঙ্গে আমার অনেক মতের পথের চিন্তার দূরত্ব ছিল, এখনো আছে। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে, পিতার মতো বড় ভাই হিসেবে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় কোনো খাদ নেই। আমি গুরুকে গুরুই মনে করি। গুরুকে কখনো গরু ভাবি না। আমি ঘন ঘন মত, পথ বদলাতে পারি না। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আমি অবুঝ হিসেবে জন্ম দেই। বিশেষ করে মানুষ। মুখে তুলে না দিলে অবুঝ শিশু মায়ের দুধ পান করতে পারে না। অনেককে অল্প আয়ুতে নিয়ে যাই, আবার অনেককে লম্বা জীবন দেই। বয়সকালে উল্টে দেই। একসময় তারা শিশুর মতো অবুঝ হয়ে যায়। নিজে থেকে কিছুই করতে পারে না।’ আমাদের সবার ক্ষেত্রেই তেমনি। লতিফ সিদ্দিকীর ৮৪-৮৫ বছর বয়স, আমার ৭৮। আমি তো আর ২৫ বছরের যুবক হতে পারব না, ৫০ কিলোমিটার হাঁটতে পারব না। আমাদের যদি নবীনরা পদে পদে অপমান অপদস্ত করে, শারীরিকভাবে হয়তো আমরা তেমন এসবের প্রতিকারও করতে পারব না। মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা লতিফ সিদ্দিকীকে সেদিন সংসদে ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল। তিনি খুশি হতে পারেননি, ওয়াকআউট করেছেন। কাজটা তিনি অত্যন্ত ভালো করেছেন। কিন্তু ১০ মিনিট সময় দেওয়ার জন্য যে তিনি কথা না বলে মনঃক্ষুণœ হয়ে ওই ১০ মিনিটের জন্য সংসদের কার্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন কথাটা স্পষ্ট হয়নি। আর এর আগেও তিনি অনেকবার সংসদে অংশ নিতে পারতেন। যেমন কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকান্ডে কত মানুষ পুড়ে ছারখার হয়ে গেল তাদের নিয়ে, আরও অনেকগুলো ঘটনা একের পর এক ঘটে গেছে। প্রবীণ নেতা হিসেবে সেসবের ওপর তিনি পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়াতে পারতেন। স্পিকার সময় না দিলে সে ছিল ভিন্নকথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি তার সারাজীবনের চেতনার ওপর অবিচার করেছেন। বয়স হয়েছে তাই পুরনো কথাই বারবার বলতে ইচ্ছা করে। ’৭৩ সালের ঘটনা। তখন তেজগাঁওয়ে সংসদ ভবনে ২-৪ বার গেছি। বঙ্গবন্ধু সন্তানের মতো দেখতেন এটা তো সবারই জানা। এক দিন দর্শক গ্যালারিতে বসেছিলাম। বঙ্গবন্ধু থেকে কত আর হবে ১৫-২০ ফুট দূরে। অন্যদিকে এক দলের এক নেতা সুরঞ্জিত সেন। সংসদ চলছিল। তিনি বারবার কী যেন বলতে গিয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন। কিন্তু স্পিকার সাড়া দিচ্ছিলেন না। মনে হয় ১০-১২ বার দৃষ্টি আকর্ষণ এবং চেঁচামেচি করলে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। তিনি মাননীয় স্পিকারকে বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য কী বলতে চান হাউসকে শুনতে দিন।’ সুরঞ্জিত সেনকে সময় দেওয়া হয়। সবারই জানা, সুরঞ্জিত সেন তুখোড় বক্তা ছিলেন। তিনি প্রথমেই হাউসকে সম্বোধন করে বলেন, ‘আমি একজন একেবারে ক্ষুদ্র সংসদ সদস্য। আমার বড় দল নেই, শক্তি নেই। আমি আজকে অসংখ্যবার মাননীয় স্পিকার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। দয়া করে সংসদ নেতা আপনাকে না বললে আমি হয়তো দাঁড়াতেও পারতাম না। আমি যে বারবার সময় চেয়ে ব্যর্থ হয়ে অসহায়ের মতো বসে ছিলাম, যদি আজকের হাউসের নেতা দেশের নেতা আমার জায়গায় হতেন তিনি বারবার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যর্থ হতেন আর আমি যদি সংসদের নেতার আসনে থাকতে পারতাম তখন আমাদের এই মহান নেতার মুখটা কেমন বিবর্ণ হতো আমি যদি দেখতে পেতাম তাহলে আমার হৃদয় মন জুড়িয়ে যেত।’ সুরঞ্জিত সেনের কথা শেষ হলে সংসদ নেতা আমাদের পিতা মাননীয় স্পিকারকে বলেছিলেন, ‘শ্রী সুরঞ্জিত সেন এক দলের একজন হোক তাতে কী যায় আসে। তাকে যেন পরিপূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হয়। তিনি যতবার কথা বলতে চাইবেন কার্যপ্রণালি বিধির মধ্যে তাকে সুযোগ দিতে হবে।’ মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে কি তেমন হতে পারত না? বিএনপি আমলে একসময় ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার স্পিকার হিসেবে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আমাকে সময় দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য আপনাকে ২০ মিনিট সময় দেওয়া হলো। এরপরও আপনার যতটুকু সময় দরকার আপনি বলবেন। সেটা যত লম্বা সময়ই হোক আমার বিবেচনায় তাকে ২০ মিনিটই ধরা হবে। আপনি একজন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। আপনার মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা অনেক বড় অনেক গৌরবের।’ এমনটা কিন্তু মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রেও হতে পারত। বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের কথা শুনেছি। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পঙ্কজ দেবনাথের বক্তব্য শুনলাম। তিনি বলেছেন, ‘স্পিকার হয়তো মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীকে আবার সময় দেবেন।’ না, দেননি। ডিপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু তখন মাননীয় স্পিকারের আসনে ছিলেন। মাননীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর যিনি ওস্তাদ তিনি এখনো লতিফ সিদ্দিকীকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেন। প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, অনেকেই মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী। প্রবীণ হিসেবে তাকে সম্মান দিলে সেটা সংসদের সম্মান হতো, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর সম্মান হতো। এসব ইতিহাসের পাতায় একসময় লিপিবদ্ধ হবে। তাই যা চোখের সামনে পড়ে তা না বলে পারি না। আমাদের টাঙ্গাইলের মেয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপার বক্তব্য বেশ ভালো লেগেছে। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী চট্টগ্রামের বিখ্যাত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বক্তব্য আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছে। চরম দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিরোধ যুদ্ধে মহিউদ্দিন চৌধুরী আমার সঙ্গে ছিলেন। একসময় জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের তুলে দেওয়া হয় তখন মহিউদ্দিন চৌধুরীর বদলে আমি আমার ছোট ভাই বাবুল সিদ্দিকীর তালিকা বদলে দিয়েছিলাম। যা নিয়ে পরিবারে অনেক গালমন্দ শুনতে হয়েছে। কিন্তু এখনো মনে করি আমি সেদিন কাজটি সঠিক করেছিলাম।

৯ মার্চ বেগম রওশন এরশাদের সম্মেলনে গিয়েছিলাম। স্বৈরাচার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আমি খুব একটা পছন্দ করতাম না। এখনো স্বৈরাচার অপছন্দ করি। সারা পৃথিবীর কথা বলতে পারব না। এশিয়া মহাদেশে সেনা শাসক হিসেবে রাজনীতিতে আর কেউ ফিরে আসতে পারে নাই, টিকে থাকে নাই। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই একমাত্র ব্যক্তি যার লক্ষ কোটি দোষ থাকার পরও রাজনীতিতে জনগণের প্রিয় মানুষ হয়েছিলেন। প্রথম জেল থেকে পাঁচ আসনে নির্বাচন করেছিলেন, জয়ী হয়েছিলেন। তার ছেড়ে দেওয়া চার আসনে আমরা উপনির্বাচন করতে গিয়েছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনা রংপুরে ছিলেন চার দিন, আমি ছিলাম ২০ দিন। চারটি আসনেই জাতীয় পার্টির লাঙ্গল জিতেছিল। লাঙ্গল যেখানে ১ লাখ ভোট পেয়েছে, সেখানে নৌকা পেয়েছিল ৬০-৭০ হাজার। যেখানে সোয়া লাখ, সেখানে নৌকা তার ২০-২৫ হাজার পেছনে বা নিচে ছিল। ছেড়ে দেওয়া চারটিতেই লাঙ্গল আবার জিতেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার পরও ধানের শীষ ভোট পেয়েছিল সবকটাতে ৩-৪ হাজারের নিচে। দ্বিতীয়বার পাঁচ আসনে, তৃতীয়বার তিন আসনে। অন্যান্যবার নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করার পরও তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এসব নানা কারণে তিনি আমার কাছে অনেক সম্মানের অনেক প্রিয়। নেতৃত্ব কর্তৃত্বে বোনের ওপর দিয়ে বলব না। কিন্তু তার পরই আমার হৃদয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্থান। বেগম রওশন এরশাদ ফোন করেছিলেন। তাই তাকে সম্মান জানাতে সম্মেলনে গিয়েছিলাম। বিপুল লোকসমাগম হয়েছিল। সাধারণ নেতা-কর্মীদের আমার খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু নেতৃত্বের মধ্যে গণচিন্তা খুব একটা দেখিনি। জনাব কাজী ফিরোজ রশীদ আমার খুবই প্রিয় পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ, অন্যদিকে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। আবু হোসেন বাবলা, তিনি আমাকে কতটা জানেন চিনেন জানি না। আমি তাকে খুবই সম্মান করি। আরও অন্যান্যদেরও। দেখলাম শেখ শহীদকে। বড় ভালো বলেছেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কর্মকান্ড তিনিই তুলে ধরেছেন সব থেকে ভালোভাবে। কিন্তু দ্বিধা ত্রিধা জাতীয় পার্টি দেশবাসীর স্বপ্ন নয়। ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি দেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি সম্ভাবনা। জাতীয় পার্টি ইতোমধ্যে ৫-৭ ভাগ না হলে আওয়ামী লীগ বিএনপির বাইরে তারা একটা জাতীয় চেতনার সৃষ্টি করতে পারতেন। বটগাছের নিচে যে অন্য গাছ হয় না এটা স্বাভাবিক নিয়মেই বোঝা যায়। বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টি আর বেগম রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টি একজন আরেকজনকে তীব্র গালাগাল করলেই কোনো ফল হবে আমার তেমন মনে হয়নি। মুখপোড়া মানুষ হিসেবে কথাটি সম্মেলনে বলেছি। মনে হয়, শতকরা ৯০ জন হাত তুলে করতালি দিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টির প্রত্যাশাকে সমর্থন করেছেন। বেগম রওশন এরশাদকেও সে কথাটি বলেছি। আর কাউকে না বললেও প্রবীণ নেতা আমার পরম আত্মীয় কাজী ফিরোজ রশীদের কাছেও সবাই মিলে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করতে অনুরোধ করেছি। এমন একটি সুগঠিত সুশৃঙ্খল দল হলে, রাজনীতি হলে, সেটা যেমন দেশের জন্য মঙ্গল তেমনি সরকারের জন্যও মঙ্গল। জানি না, আমাদের কথা রাজনীতিকরা বিবেচনায় নেবেন কি না। বিশেষ করে আমার মায়ের মতো বোন এ ব্যাপারে মাথা ঘামাবেন কি না।

সেদিন ২৯ ফেব্রুয়ারি। ২৯ ফেব্রুয়ারি চার বছরে একবার আসে। গিয়েছিলাম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ডা. মো. রসুল আমিন শিপনের ঘরে। রসুল আমিন অসাধারণ মানুষ। মনে হয় সহযোগী অধ্যাপক। জীবনে প্রথম তিনি আমার এনজিওগ্রাম করেছিলেন। সবই নাকি ভালো আছে। এনজিওগ্রামের ফুটোর দাগ নেই। কিন্তু তুলো দিয়ে যেখানে ট্যাপ লাগিয়ে ছিলেন সেখানে চামড়া ছিঁড়ে এখনো দাগ হয়ে আছে। তিনি ইসিজি, ইকো করিয়েছেন। বড় ভালো লেগেছে। বিশেষায়িত ভবনে যন্ত্রপাতি অসাধারণ। সেখান থেকে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের কামরায়। মাঝেসাজে সেখানে যাই। আগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলকে বঙ্গবন্ধুর মনে হতো না। আমাদের প্রিয় প্রাণ গোপাল চলে যাওয়ার পর যারাই এসেছেন তারাই তেমন কিছু করেননি। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। দালানকোঠা, ঘরদুয়ার, যন্ত্রপাতি, পয়পরিষ্কার এবং চিকিৎসা এই ভদ্রলোক আসার পর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মনে হয় চারদিকে বঙ্গবন্ধু ঘুরেফিরে রেড়াচ্ছেন আর আমাদের নানাভাবে সতর্ক করছেন। এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে চারদিকে শুধু বঙ্গবন্ধুকেই দেখা যায়। মনে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর প্রেমে মাতোয়ারা ভদ্রলোক যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন স্বপদে থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন যুদ্ধ করে যাবেন। কিন্তু না, সেদিন শুনলাম তার চাকরি শেষ। জানি এমনই হয়। চাটু মারা লোকের তো শেষ নেই। কারা এসব করে জানি না। বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দিলে শাস্তি বা তিরস্কার আর তার পিন্ডি চটকালে পুরস্কার। এইতো এখন চিরাচরিত নিয়ম। রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রপতি রক্ষার দায়িত্ব ছিল কর্নেল জামিলের। ১৪ তারিখ রাতে নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। ১৫ তারিখ সকালে একা একটা লাল জামা গায়ে দুই দরজার গাড়ি নিয়ে আসতে গিয়ে কলাবাগানে গুলি খেয়ে মরেছেন। একটা রিভলবারও কাছে ছিল না। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে যার মরণোত্তর শাস্তি হওয়ার কথা তার পিতার শহীদ পরিবারের সঙ্গে ছবি দেখে হজম করার চেষ্টা করি। কিন্তু কেন যেন বদহজম হয়। এইতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জে মৃণালকে হারতে দেখলাম। ’৯০-এ যখন দেশে ফিরি তখন আবু জাহিদ সেন্টু, মতিউর রহমান সেন্টু, মৃণাল কান্তি দাস, মাহমুদ আনাম সেন্টু, আরিফ আহমেদ দুলাল, বিজন কুমার সাহা, আইনুল, আবদুস সালাম, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পল্টু, নজীব এদের ধানমন্ডি ৩২-এ বোনের ছায়ার মতো দেখেছি। সবাই রাজনৈতিক না। তাই রাজনৈতিক মাঠে অনেকেই এগোতে পারে নাই। কিন্তু মৃণাল কান্তি দাস অনেক দূর এগিয়েছে। একজন অসাম্প্রদায়িক কর্মী। শুনেছি জনাব মহিউদ্দিনের ছেলে তাকে পরাজিত করেছে। দলীয় প্রার্থী হিসেবে যদি মৃণাল কান্তি সত্যিকার ভোটে পরাজিত হয় আমারই তো সব থেকে বেশি খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু তা নয়। জনাব মহিউদ্দিন পুলিশের এসপি পদমর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষী প্রধান ছিলেন। কই ’৭৫-এর ১৪-১৫ আগস্ট বা তার পরও কোনো দিন তাকে দেখিনি। আমরা এত কষ্ট করলাম। একদিনের জন্য তার নামগন্ধ শুনলাম না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় কয়েক শ লোক নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কামরা দখল এবং ছেলের পক্ষে ফলাফল নিয়ে আসা এতো একেবারে দেউলিয়াপনার শামিল। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার দিন ৫০ জন লোক নিয়ে অথবা ৫০টা অস্ত্র নিয়েও যদি প্রতিবাদ করতেন আমি তার চির গোলাম হয়ে থাকতাম। কিন্তু কেন যেন সব ক্ষেত্রে এই ধরনের মারাত্মক অসংগতি। কীভাবে এসব অসংগতি দূর করব কিছুই বুঝতে পারছি না।

এসব অসংগতি এখনো দূর করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ কী যে হবে কিছুই বুঝতে পারছি না। সরকারি দলের ফ্রিস্টাইল কারবারে একসময়ের সুদৃঢ় সামাজিকতা ভেঙে যাচ্ছে। সরকারি লোকজনের সে যে কী বাড়ন্ত অবস্থা ভাবা যায় না। সেদিন আমার সখীপুরে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খুবই ছোট্ট কারণে এক মহিলা তার বাড়িতে বিচার চাইতে গেলে তাকে নিদারুণভাবে অপমান অপদস্ত করেছেন। কয়েকজনে মিলে মারধর করেছে। বেশ কিছুদিন সে হাসপাতালে পড়ে আছে। টাকা খেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কোর্টে মামলা পাঠিয়ে দিয়েছে। লাথি-গুঁতা চড়থাপ্পর মারলেও মহিলার গায়ে নির্যাতনের নানা চিহ্ন সরকারি হাসপাতাল স্বীকার করলেও সেটা নাকি নারী নির্যাতন হয়নি, সম্মানহানি হয়নি। আমার চোখে কোনো মহিলার শরীরে স্পর্শ করা তো দূরের কথা তার শাড়ির আঁচল বা ওড়না স্পর্শ করা হত্যার সমান অপরাধ। টাকার সে যে কী ক্ষমতা। সখীপুরের কাউকে আমি শত্রু মনে করি না। কিন্ত যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও একজন নারী অপমানিত হয়নি, সেখানে বেঁচে থাকতেই নারীর অপমানের প্রতিকার করতে না পারলে বেঁচে থেকে লাভ কী? তাই স্মারকলিপি দিয়েছি যথাযথ বিচারের জন্য। দেখা যাক কী হয়। না হলে রাস্তায় বসার সুযোগ তো আছেই। আর কিছু না হোক থানার সামনে বসে যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ ততক্ষণ তো থাকতে পারি।

 

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
সর্বশেষ খবর
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

১ সেকেন্ড আগে | শোবিজ

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

৩ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

মিস ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের জেসিয়া
মিস ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের জেসিয়া

৭ মিনিট আগে | শোবিজ

ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে
ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ট্রেনে ঢাকা যাতায়াত
মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ট্রেনে ঢাকা যাতায়াত

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি রয়েছে
ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি রয়েছে

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

২৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারের ‘সবচেয়ে কম বয়সী’ বিধায়ক গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর
বিহারের ‘সবচেয়ে কম বয়সী’ বিধায়ক গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর

২৯ মিনিট আগে | শোবিজ

ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি
ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি

৩৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

পঞ্চগড়ে ঝরছে কুয়াশা
পঞ্চগড়ে ঝরছে কুয়াশা

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আইল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো ক্রোয়েশিয়া
আইল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো ক্রোয়েশিয়া

৪২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সাতসকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসে আগুন
সাতসকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসে আগুন

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধামরাইয়ে বাসচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর
ধামরাইয়ে বাসচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর

৫২ মিনিট আগে | নগর জীবন

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

কানাডার মন্ট্রিয়েল মাতালেন কুমার শানু ও সাদনা সারগাম
কানাডার মন্ট্রিয়েল মাতালেন কুমার শানু ও সাদনা সারগাম

৫৯ মিনিট আগে | পরবাস

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জনমতের সঠিক প্রতিফলন না ঘটার আশঙ্কা
জনমতের সঠিক প্রতিফলন না ঘটার আশঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সমেশপুরের সবজি চারায় সবুজ সারাদেশের মাঠ
সমেশপুরের সবজি চারায় সবুজ সারাদেশের মাঠ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন ট্রাম্প
বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহাখালীতে ককটেল বিস্ফোরণ
মহাখালীতে ককটেল বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘স্কুল ফিডিং’ কার্যক্রম শুরু আজ
‘স্কুল ফিডিং’ কার্যক্রম শুরু আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তাইওয়ানে ৩৩ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
তাইওয়ানে ৩৩ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেক্সিকোর কাছে হেরে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ থেকে আর্জেন্টিনার বিদায়
মেক্সিকোর কাছে হেরে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ থেকে আর্জেন্টিনার বিদায়

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর
মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকেও জঙ্গলরাজ খতম করব: নরেন্দ্র মোদী
বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকেও জঙ্গলরাজ খতম করব: নরেন্দ্র মোদী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

১৮ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়
ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’
শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

২২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত
জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

১৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা, জোহানেসবার্গে অবশেষে অবতরণ ১৫৩ ফিলিস্তিনির
১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা, জোহানেসবার্গে অবশেষে অবতরণ ১৫৩ ফিলিস্তিনির

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা