শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪ আপডেট:

প্রবীণের সম্মান ও ত্যাগের মর্যাদা কে কবে পাবে?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
প্রবীণের সম্মান ও ত্যাগের মর্যাদা কে কবে পাবে?

মুসলিম জাহানের সবচেয়ে পূতপবিত্র মাস মাহে রমজান। পরম দয়াময় আল্লাহর কাছে কায়মনে প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন আমাদের রমজান কবুল ও মঞ্জুর করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে মুসলিম জাহানের রমজানের সিয়াম সাধনা মঞ্জুর করেন এবং সমগ্র বিশ্ববাসীকে রহমত বরকত দান করেন- আমিন।

মার্চ বাঙালি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাস। মার্চ স্বাধীনতার মাস, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাস, বাংলাদেশের জন্মের মাস, বাংলাদেশের জনকের জন্মের মাস। এককথায় এই ভূখন্ডে মার্চের চেয়ে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ আর দ্বিতীয় কোনো মাস আছে বলে আমার মনে হয় না। মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত বাঙালির চিন্তা-চেতনা-চৈতন্যে সবার আগে ছিল ফেব্রুয়ারি। ফেব্রুয়ারিই ছিল আমাদের মুক্তির মাস, রক্তদানের মাস। মুক্তিযুদ্ধের পর সেটা মার্চে গিয়ে ঠেকেছে। একসময় পাঠকদের বলেছিলাম, এ কে খন্দকার বীরউত্তমের ‘‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে” পরতে পরতে শব্দে শব্দে লিখবা মনে হয় তা আর হয়ে উঠবে না। তাই যতটা পারি এই লেখায় তুলে ধরে বাকিটা একটা বই আকারে ছাপার কথা চিন্তা করছি। কারণ সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে এত পাঠক তাগাদা করেন, পাঠকের ইচ্ছা উপেক্ষা করা যায় না বা উচিত না।

৫ মার্চ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন সমাপ্ত হয়েছে। সংসদ নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনার সমাপনী ভাষণে অনেক কিছু থাকলেও এতদিন ধরে রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ প্রস্তাবে তেমন কারও বক্তব্যে খুব একটা সারবত্তা পাওয়া যায়নি। যদিও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ একেবারে একদলীয়। মাত্র ২-৩ জন স্বতন্ত্র এমপি ছাড়া একজনও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি বা ইচ্ছার বাইরে নন। জাতীয় পার্টির ১২-১৩ জন, তারাও বোনের দয়ার দান। এই সংসদে প্রথম একজন মাননীয় সংসদ সদস্য আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী, তার জন্য নির্ধারিত সময় প্রতিবাদ করে সংসদের বাইরে থেকেছেন মানে ওয়াকআউট করেছেন। কাজটা অত্যন্ত ভালো করেছেন। তিনি একজন প্রবীণ নেতা। আমরা অনেকেই তার হাত ধরে তার প্রেরণায় রাজনীতিতে এসেছিলাম। আমি অকপটে স্বীকার করি, তাকে না পেলে গরুর রাখাল অথবা রিকশাচালকের বেশি হতে পারতাম না। তার রাজনীতি অনুসরণ অনুকরণ করে বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর কারণেই দেশমাতৃকাকে হৃদয়ে ধারণ করতে এবং মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম। নিজের জন্য নয়, মানুষের জন্যই যে আমাদের জন্ম সেটা উপলব্ধি করেছিলাম। তার সঙ্গে আমার অনেক মতের পথের চিন্তার দূরত্ব ছিল, এখনো আছে। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে, পিতার মতো বড় ভাই হিসেবে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় কোনো খাদ নেই। আমি গুরুকে গুরুই মনে করি। গুরুকে কখনো গরু ভাবি না। আমি ঘন ঘন মত, পথ বদলাতে পারি না। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আমি অবুঝ হিসেবে জন্ম দেই। বিশেষ করে মানুষ। মুখে তুলে না দিলে অবুঝ শিশু মায়ের দুধ পান করতে পারে না। অনেককে অল্প আয়ুতে নিয়ে যাই, আবার অনেককে লম্বা জীবন দেই। বয়সকালে উল্টে দেই। একসময় তারা শিশুর মতো অবুঝ হয়ে যায়। নিজে থেকে কিছুই করতে পারে না।’ আমাদের সবার ক্ষেত্রেই তেমনি। লতিফ সিদ্দিকীর ৮৪-৮৫ বছর বয়স, আমার ৭৮। আমি তো আর ২৫ বছরের যুবক হতে পারব না, ৫০ কিলোমিটার হাঁটতে পারব না। আমাদের যদি নবীনরা পদে পদে অপমান অপদস্ত করে, শারীরিকভাবে হয়তো আমরা তেমন এসবের প্রতিকারও করতে পারব না। মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা লতিফ সিদ্দিকীকে সেদিন সংসদে ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল। তিনি খুশি হতে পারেননি, ওয়াকআউট করেছেন। কাজটা তিনি অত্যন্ত ভালো করেছেন। কিন্তু ১০ মিনিট সময় দেওয়ার জন্য যে তিনি কথা না বলে মনঃক্ষুণœ হয়ে ওই ১০ মিনিটের জন্য সংসদের কার্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন কথাটা স্পষ্ট হয়নি। আর এর আগেও তিনি অনেকবার সংসদে অংশ নিতে পারতেন। যেমন কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকান্ডে কত মানুষ পুড়ে ছারখার হয়ে গেল তাদের নিয়ে, আরও অনেকগুলো ঘটনা একের পর এক ঘটে গেছে। প্রবীণ নেতা হিসেবে সেসবের ওপর তিনি পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়াতে পারতেন। স্পিকার সময় না দিলে সে ছিল ভিন্নকথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি তার সারাজীবনের চেতনার ওপর অবিচার করেছেন। বয়স হয়েছে তাই পুরনো কথাই বারবার বলতে ইচ্ছা করে। ’৭৩ সালের ঘটনা। তখন তেজগাঁওয়ে সংসদ ভবনে ২-৪ বার গেছি। বঙ্গবন্ধু সন্তানের মতো দেখতেন এটা তো সবারই জানা। এক দিন দর্শক গ্যালারিতে বসেছিলাম। বঙ্গবন্ধু থেকে কত আর হবে ১৫-২০ ফুট দূরে। অন্যদিকে এক দলের এক নেতা সুরঞ্জিত সেন। সংসদ চলছিল। তিনি বারবার কী যেন বলতে গিয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন। কিন্তু স্পিকার সাড়া দিচ্ছিলেন না। মনে হয় ১০-১২ বার দৃষ্টি আকর্ষণ এবং চেঁচামেচি করলে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। তিনি মাননীয় স্পিকারকে বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য কী বলতে চান হাউসকে শুনতে দিন।’ সুরঞ্জিত সেনকে সময় দেওয়া হয়। সবারই জানা, সুরঞ্জিত সেন তুখোড় বক্তা ছিলেন। তিনি প্রথমেই হাউসকে সম্বোধন করে বলেন, ‘আমি একজন একেবারে ক্ষুদ্র সংসদ সদস্য। আমার বড় দল নেই, শক্তি নেই। আমি আজকে অসংখ্যবার মাননীয় স্পিকার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। দয়া করে সংসদ নেতা আপনাকে না বললে আমি হয়তো দাঁড়াতেও পারতাম না। আমি যে বারবার সময় চেয়ে ব্যর্থ হয়ে অসহায়ের মতো বসে ছিলাম, যদি আজকের হাউসের নেতা দেশের নেতা আমার জায়গায় হতেন তিনি বারবার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যর্থ হতেন আর আমি যদি সংসদের নেতার আসনে থাকতে পারতাম তখন আমাদের এই মহান নেতার মুখটা কেমন বিবর্ণ হতো আমি যদি দেখতে পেতাম তাহলে আমার হৃদয় মন জুড়িয়ে যেত।’ সুরঞ্জিত সেনের কথা শেষ হলে সংসদ নেতা আমাদের পিতা মাননীয় স্পিকারকে বলেছিলেন, ‘শ্রী সুরঞ্জিত সেন এক দলের একজন হোক তাতে কী যায় আসে। তাকে যেন পরিপূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হয়। তিনি যতবার কথা বলতে চাইবেন কার্যপ্রণালি বিধির মধ্যে তাকে সুযোগ দিতে হবে।’ মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে কি তেমন হতে পারত না? বিএনপি আমলে একসময় ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার স্পিকার হিসেবে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আমাকে সময় দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য আপনাকে ২০ মিনিট সময় দেওয়া হলো। এরপরও আপনার যতটুকু সময় দরকার আপনি বলবেন। সেটা যত লম্বা সময়ই হোক আমার বিবেচনায় তাকে ২০ মিনিটই ধরা হবে। আপনি একজন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। আপনার মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা অনেক বড় অনেক গৌরবের।’ এমনটা কিন্তু মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রেও হতে পারত। বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের কথা শুনেছি। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পঙ্কজ দেবনাথের বক্তব্য শুনলাম। তিনি বলেছেন, ‘স্পিকার হয়তো মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীকে আবার সময় দেবেন।’ না, দেননি। ডিপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু তখন মাননীয় স্পিকারের আসনে ছিলেন। মাননীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর যিনি ওস্তাদ তিনি এখনো লতিফ সিদ্দিকীকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেন। প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, অনেকেই মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী। প্রবীণ হিসেবে তাকে সম্মান দিলে সেটা সংসদের সম্মান হতো, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর সম্মান হতো। এসব ইতিহাসের পাতায় একসময় লিপিবদ্ধ হবে। তাই যা চোখের সামনে পড়ে তা না বলে পারি না। আমাদের টাঙ্গাইলের মেয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপার বক্তব্য বেশ ভালো লেগেছে। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী চট্টগ্রামের বিখ্যাত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বক্তব্য আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছে। চরম দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিরোধ যুদ্ধে মহিউদ্দিন চৌধুরী আমার সঙ্গে ছিলেন। একসময় জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের তুলে দেওয়া হয় তখন মহিউদ্দিন চৌধুরীর বদলে আমি আমার ছোট ভাই বাবুল সিদ্দিকীর তালিকা বদলে দিয়েছিলাম। যা নিয়ে পরিবারে অনেক গালমন্দ শুনতে হয়েছে। কিন্তু এখনো মনে করি আমি সেদিন কাজটি সঠিক করেছিলাম।

৯ মার্চ বেগম রওশন এরশাদের সম্মেলনে গিয়েছিলাম। স্বৈরাচার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আমি খুব একটা পছন্দ করতাম না। এখনো স্বৈরাচার অপছন্দ করি। সারা পৃথিবীর কথা বলতে পারব না। এশিয়া মহাদেশে সেনা শাসক হিসেবে রাজনীতিতে আর কেউ ফিরে আসতে পারে নাই, টিকে থাকে নাই। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই একমাত্র ব্যক্তি যার লক্ষ কোটি দোষ থাকার পরও রাজনীতিতে জনগণের প্রিয় মানুষ হয়েছিলেন। প্রথম জেল থেকে পাঁচ আসনে নির্বাচন করেছিলেন, জয়ী হয়েছিলেন। তার ছেড়ে দেওয়া চার আসনে আমরা উপনির্বাচন করতে গিয়েছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনা রংপুরে ছিলেন চার দিন, আমি ছিলাম ২০ দিন। চারটি আসনেই জাতীয় পার্টির লাঙ্গল জিতেছিল। লাঙ্গল যেখানে ১ লাখ ভোট পেয়েছে, সেখানে নৌকা পেয়েছিল ৬০-৭০ হাজার। যেখানে সোয়া লাখ, সেখানে নৌকা তার ২০-২৫ হাজার পেছনে বা নিচে ছিল। ছেড়ে দেওয়া চারটিতেই লাঙ্গল আবার জিতেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার পরও ধানের শীষ ভোট পেয়েছিল সবকটাতে ৩-৪ হাজারের নিচে। দ্বিতীয়বার পাঁচ আসনে, তৃতীয়বার তিন আসনে। অন্যান্যবার নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করার পরও তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এসব নানা কারণে তিনি আমার কাছে অনেক সম্মানের অনেক প্রিয়। নেতৃত্ব কর্তৃত্বে বোনের ওপর দিয়ে বলব না। কিন্তু তার পরই আমার হৃদয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্থান। বেগম রওশন এরশাদ ফোন করেছিলেন। তাই তাকে সম্মান জানাতে সম্মেলনে গিয়েছিলাম। বিপুল লোকসমাগম হয়েছিল। সাধারণ নেতা-কর্মীদের আমার খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু নেতৃত্বের মধ্যে গণচিন্তা খুব একটা দেখিনি। জনাব কাজী ফিরোজ রশীদ আমার খুবই প্রিয় পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ, অন্যদিকে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। আবু হোসেন বাবলা, তিনি আমাকে কতটা জানেন চিনেন জানি না। আমি তাকে খুবই সম্মান করি। আরও অন্যান্যদেরও। দেখলাম শেখ শহীদকে। বড় ভালো বলেছেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কর্মকান্ড তিনিই তুলে ধরেছেন সব থেকে ভালোভাবে। কিন্তু দ্বিধা ত্রিধা জাতীয় পার্টি দেশবাসীর স্বপ্ন নয়। ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি দেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি সম্ভাবনা। জাতীয় পার্টি ইতোমধ্যে ৫-৭ ভাগ না হলে আওয়ামী লীগ বিএনপির বাইরে তারা একটা জাতীয় চেতনার সৃষ্টি করতে পারতেন। বটগাছের নিচে যে অন্য গাছ হয় না এটা স্বাভাবিক নিয়মেই বোঝা যায়। বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টি আর বেগম রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টি একজন আরেকজনকে তীব্র গালাগাল করলেই কোনো ফল হবে আমার তেমন মনে হয়নি। মুখপোড়া মানুষ হিসেবে কথাটি সম্মেলনে বলেছি। মনে হয়, শতকরা ৯০ জন হাত তুলে করতালি দিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টির প্রত্যাশাকে সমর্থন করেছেন। বেগম রওশন এরশাদকেও সে কথাটি বলেছি। আর কাউকে না বললেও প্রবীণ নেতা আমার পরম আত্মীয় কাজী ফিরোজ রশীদের কাছেও সবাই মিলে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করতে অনুরোধ করেছি। এমন একটি সুগঠিত সুশৃঙ্খল দল হলে, রাজনীতি হলে, সেটা যেমন দেশের জন্য মঙ্গল তেমনি সরকারের জন্যও মঙ্গল। জানি না, আমাদের কথা রাজনীতিকরা বিবেচনায় নেবেন কি না। বিশেষ করে আমার মায়ের মতো বোন এ ব্যাপারে মাথা ঘামাবেন কি না।

সেদিন ২৯ ফেব্রুয়ারি। ২৯ ফেব্রুয়ারি চার বছরে একবার আসে। গিয়েছিলাম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ডা. মো. রসুল আমিন শিপনের ঘরে। রসুল আমিন অসাধারণ মানুষ। মনে হয় সহযোগী অধ্যাপক। জীবনে প্রথম তিনি আমার এনজিওগ্রাম করেছিলেন। সবই নাকি ভালো আছে। এনজিওগ্রামের ফুটোর দাগ নেই। কিন্তু তুলো দিয়ে যেখানে ট্যাপ লাগিয়ে ছিলেন সেখানে চামড়া ছিঁড়ে এখনো দাগ হয়ে আছে। তিনি ইসিজি, ইকো করিয়েছেন। বড় ভালো লেগেছে। বিশেষায়িত ভবনে যন্ত্রপাতি অসাধারণ। সেখান থেকে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের কামরায়। মাঝেসাজে সেখানে যাই। আগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলকে বঙ্গবন্ধুর মনে হতো না। আমাদের প্রিয় প্রাণ গোপাল চলে যাওয়ার পর যারাই এসেছেন তারাই তেমন কিছু করেননি। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। দালানকোঠা, ঘরদুয়ার, যন্ত্রপাতি, পয়পরিষ্কার এবং চিকিৎসা এই ভদ্রলোক আসার পর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মনে হয় চারদিকে বঙ্গবন্ধু ঘুরেফিরে রেড়াচ্ছেন আর আমাদের নানাভাবে সতর্ক করছেন। এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে চারদিকে শুধু বঙ্গবন্ধুকেই দেখা যায়। মনে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর প্রেমে মাতোয়ারা ভদ্রলোক যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন স্বপদে থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন যুদ্ধ করে যাবেন। কিন্তু না, সেদিন শুনলাম তার চাকরি শেষ। জানি এমনই হয়। চাটু মারা লোকের তো শেষ নেই। কারা এসব করে জানি না। বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দিলে শাস্তি বা তিরস্কার আর তার পিন্ডি চটকালে পুরস্কার। এইতো এখন চিরাচরিত নিয়ম। রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রপতি রক্ষার দায়িত্ব ছিল কর্নেল জামিলের। ১৪ তারিখ রাতে নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। ১৫ তারিখ সকালে একা একটা লাল জামা গায়ে দুই দরজার গাড়ি নিয়ে আসতে গিয়ে কলাবাগানে গুলি খেয়ে মরেছেন। একটা রিভলবারও কাছে ছিল না। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে যার মরণোত্তর শাস্তি হওয়ার কথা তার পিতার শহীদ পরিবারের সঙ্গে ছবি দেখে হজম করার চেষ্টা করি। কিন্তু কেন যেন বদহজম হয়। এইতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জে মৃণালকে হারতে দেখলাম। ’৯০-এ যখন দেশে ফিরি তখন আবু জাহিদ সেন্টু, মতিউর রহমান সেন্টু, মৃণাল কান্তি দাস, মাহমুদ আনাম সেন্টু, আরিফ আহমেদ দুলাল, বিজন কুমার সাহা, আইনুল, আবদুস সালাম, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পল্টু, নজীব এদের ধানমন্ডি ৩২-এ বোনের ছায়ার মতো দেখেছি। সবাই রাজনৈতিক না। তাই রাজনৈতিক মাঠে অনেকেই এগোতে পারে নাই। কিন্তু মৃণাল কান্তি দাস অনেক দূর এগিয়েছে। একজন অসাম্প্রদায়িক কর্মী। শুনেছি জনাব মহিউদ্দিনের ছেলে তাকে পরাজিত করেছে। দলীয় প্রার্থী হিসেবে যদি মৃণাল কান্তি সত্যিকার ভোটে পরাজিত হয় আমারই তো সব থেকে বেশি খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু তা নয়। জনাব মহিউদ্দিন পুলিশের এসপি পদমর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষী প্রধান ছিলেন। কই ’৭৫-এর ১৪-১৫ আগস্ট বা তার পরও কোনো দিন তাকে দেখিনি। আমরা এত কষ্ট করলাম। একদিনের জন্য তার নামগন্ধ শুনলাম না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় কয়েক শ লোক নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কামরা দখল এবং ছেলের পক্ষে ফলাফল নিয়ে আসা এতো একেবারে দেউলিয়াপনার শামিল। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার দিন ৫০ জন লোক নিয়ে অথবা ৫০টা অস্ত্র নিয়েও যদি প্রতিবাদ করতেন আমি তার চির গোলাম হয়ে থাকতাম। কিন্তু কেন যেন সব ক্ষেত্রে এই ধরনের মারাত্মক অসংগতি। কীভাবে এসব অসংগতি দূর করব কিছুই বুঝতে পারছি না।

এসব অসংগতি এখনো দূর করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ কী যে হবে কিছুই বুঝতে পারছি না। সরকারি দলের ফ্রিস্টাইল কারবারে একসময়ের সুদৃঢ় সামাজিকতা ভেঙে যাচ্ছে। সরকারি লোকজনের সে যে কী বাড়ন্ত অবস্থা ভাবা যায় না। সেদিন আমার সখীপুরে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খুবই ছোট্ট কারণে এক মহিলা তার বাড়িতে বিচার চাইতে গেলে তাকে নিদারুণভাবে অপমান অপদস্ত করেছেন। কয়েকজনে মিলে মারধর করেছে। বেশ কিছুদিন সে হাসপাতালে পড়ে আছে। টাকা খেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কোর্টে মামলা পাঠিয়ে দিয়েছে। লাথি-গুঁতা চড়থাপ্পর মারলেও মহিলার গায়ে নির্যাতনের নানা চিহ্ন সরকারি হাসপাতাল স্বীকার করলেও সেটা নাকি নারী নির্যাতন হয়নি, সম্মানহানি হয়নি। আমার চোখে কোনো মহিলার শরীরে স্পর্শ করা তো দূরের কথা তার শাড়ির আঁচল বা ওড়না স্পর্শ করা হত্যার সমান অপরাধ। টাকার সে যে কী ক্ষমতা। সখীপুরের কাউকে আমি শত্রু মনে করি না। কিন্ত যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও একজন নারী অপমানিত হয়নি, সেখানে বেঁচে থাকতেই নারীর অপমানের প্রতিকার করতে না পারলে বেঁচে থেকে লাভ কী? তাই স্মারকলিপি দিয়েছি যথাযথ বিচারের জন্য। দেখা যাক কী হয়। না হলে রাস্তায় বসার সুযোগ তো আছেই। আর কিছু না হোক থানার সামনে বসে যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ ততক্ষণ তো থাকতে পারি।

 

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
গাজর
গাজর
ভোটের প্রস্তুতি
ভোটের প্রস্তুতি
রাজনীতিবিদদের ঐক্য
রাজনীতিবিদদের ঐক্য
ধর্মের বাতি জ্বলে ওয়াজের মাঠে
ধর্মের বাতি জ্বলে ওয়াজের মাঠে
সেনাবাহিনীকে নয়, অপরাধীকে দায়ী করুন
সেনাবাহিনীকে নয়, অপরাধীকে দায়ী করুন
পাকিস্তানে তালেবান সাপের ছোবল
পাকিস্তানে তালেবান সাপের ছোবল
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
পাসপোর্টের মান
পাসপোর্টের মান
কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড
কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড
টক-মিষ্টি আমড়া
টক-মিষ্টি আমড়া
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
সর্বশেষ খবর
সোনারগাঁয়ে বিএনপির মহিলা সমাবেশ ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
সোনারগাঁয়ে বিএনপির মহিলা সমাবেশ ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে পালিয়ে যাওয়া ছিনতাইকারী গ্রেফতার
চট্টগ্রামে পালিয়ে যাওয়া ছিনতাইকারী গ্রেফতার

৫৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাটোরে সড়ক দিবসে মহাসড়ক সংস্কারের দাবি
নাটোরে সড়ক দিবসে মহাসড়ক সংস্কারের দাবি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫
নাটোরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে পৃথক স্থান থেকে ২ লাশ উদ্ধার
সিলেটে পৃথক স্থান থেকে ২ লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার অর্থ কি, ইউক্রেনের সামনে ঘোর বিপদ?
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার অর্থ কি, ইউক্রেনের সামনে ঘোর বিপদ?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুড়িগ্রামে টিকাদান ক্যাম্পেইনে সভা
কুড়িগ্রামে টিকাদান ক্যাম্পেইনে সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একটি মার্কায় বেহেশতের গ্যারান্টি, প্রতারণা ছাড়া কিছু নয় : আমান উল্লাহ
একটি মার্কায় বেহেশতের গ্যারান্টি, প্রতারণা ছাড়া কিছু নয় : আমান উল্লাহ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ইসিজি মেশিন হস্তান্তর
টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ইসিজি মেশিন হস্তান্তর

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাঝ আকাশে জ্বালানি লিক, ইন্ডিগো বিমানের জরুরি অবতরণ
মাঝ আকাশে জ্বালানি লিক, ইন্ডিগো বিমানের জরুরি অবতরণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

লালমনিরহাটে ধানের ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক
লালমনিরহাটে ধানের ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৬৫৮ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৬৫৮ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বন্দর অভিমুখে শ্রমিক-কর্মচারীর মিছিলে বাধা
বন্দর অভিমুখে শ্রমিক-কর্মচারীর মিছিলে বাধা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কুড়িগ্রামে জমি দখলের অভিযোগে যুবদ‌লের ২ নেতা ব‌হিষ্কার
কুড়িগ্রামে জমি দখলের অভিযোগে যুবদ‌লের ২ নেতা ব‌হিষ্কার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শ্রমিকদের স্বার্থে আইএলওর তিন কনভেনশনে সই করল সরকার
শ্রমিকদের স্বার্থে আইএলওর তিন কনভেনশনে সই করল সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নয়া-পুরাতন দোসরদের সমন্বয়ে চক্রান্ত আলোর মুখ দেখবে না : প্রিন্স
নয়া-পুরাতন দোসরদের সমন্বয়ে চক্রান্ত আলোর মুখ দেখবে না : প্রিন্স

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হ্রদে ভাসছে নিথর গোলাপি হাতি শাবক, তিন দিন ধরে পাহারায় শোকগ্রস্ত মা!
হ্রদে ভাসছে নিথর গোলাপি হাতি শাবক, তিন দিন ধরে পাহারায় শোকগ্রস্ত মা!

২ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত
নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল পেরু, রাজধানীতে জরুরি অবস্থা
জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল পেরু, রাজধানীতে জরুরি অবস্থা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃহস্পতিবার সিইসির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি
বৃহস্পতিবার সিইসির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফগানিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানে হারালো জিম্বাবুয়ে
আফগানিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানে হারালো জিম্বাবুয়ে

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অক্টোবরের ২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৮৫ কোটি ডলার
অক্টোবরের ২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৮৫ কোটি ডলার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সভা
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সভা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জমাদিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি
জমাদিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফেনীতে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
ফেনীতে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডিএসইর লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে সামান্য
ডিএসইর লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে সামান্য

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাবাই আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক: দীঘি
বাবাই আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক: দীঘি

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি নিয়োগ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন স্থগিত
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি নিয়োগ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন স্থগিত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জামায়াতের রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, বিক্ষোভ ঢাবিতেও
মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, বিক্ষোভ ঢাবিতেও

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতীয় পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১৫-১৬ শতাংশ করছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট
ভারতীয় পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১৫-১৬ শতাংশ করছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে’
‘ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে’

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৪ বলে ৩৯ রান, তবু সুপার ওভারে নেই রিশাদ! প্রতিপক্ষও অবাক
১৪ বলে ৩৯ রান, তবু সুপার ওভারে নেই রিশাদ! প্রতিপক্ষও অবাক

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পরমাণু ইস্যুতে খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
পরমাণু ইস্যুতে খামেনির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাস নির্মূলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, দাবি ট্রাম্পের
হামাস নির্মূলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, দাবি ট্রাম্পের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা
বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টিকটকে আশ্লীলতা, আদালতের নির্দেশে বিয়ে করতে হচ্ছে দুই নাইজেরিয়ান ইনফ্লুয়েন্সারকে
টিকটকে আশ্লীলতা, আদালতের নির্দেশে বিয়ে করতে হচ্ছে দুই নাইজেরিয়ান ইনফ্লুয়েন্সারকে

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ রাসায়নিক কারখানায় হামলা
স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ রাসায়নিক কারখানায় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়লেও দিতে হবে ১০০ টাকা
স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়লেও দিতে হবে ১০০ টাকা

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিল করা তিন তরুণী খালাস পেলেন
সিঙ্গাপুরে ফিলিস্তিনপন্থী মিছিল করা তিন তরুণী খালাস পেলেন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক : তানজিন তিশা
গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক : তানজিন তিশা

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে
সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সেনাবাহিনীকে নয়, দায়ী করুন অপরাধীকে
সেনাবাহিনীকে নয়, দায়ী করুন অপরাধীকে

১৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

পিচ দেখে ভেবেছিলাম আমার টিভি নষ্ট: আকিল
পিচ দেখে ভেবেছিলাম আমার টিভি নষ্ট: আকিল

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ সাজানোর অভিযোগ
জোবায়েদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ সাজানোর অভিযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ অক্টোবর)

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের
পাকিস্তান ইস্যুতে মোদিকে স্পষ্ট নির্দেশনা ট্রাম্পের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে এনসিপির নেতৃত্বে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ কার্যালয় দখল
চট্টগ্রামে এনসিপির নেতৃত্বে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ কার্যালয় দখল

২২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাব-জেলের বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবেন : আইজি প্রিজন
সাব-জেলের বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকবেন : আইজি প্রিজন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা-রণবীরের কন্যা
প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা-রণবীরের কন্যা

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা
সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বৈত নিয়ন্ত্রণে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা: ড. ফাহমিদা খাতুন
দ্বৈত নিয়ন্ত্রণে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা: ড. ফাহমিদা খাতুন

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অর্থনীতির সর্বনাশ : দুর্নীতির পৌষ মাস
অর্থনীতির সর্বনাশ : দুর্নীতির পৌষ মাস

১৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রিন্ট সর্বাধিক
আরামের আড়ালে মারণফাঁদ
আরামের আড়ালে মারণফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

চলতি মাসেই ২০০ প্রার্থী চূড়ান্ত বিএনপির
চলতি মাসেই ২০০ প্রার্থী চূড়ান্ত বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

শতাধিক আসনে বিশেষ গুরুত্ব জামায়াতের
শতাধিক আসনে বিশেষ গুরুত্ব জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলিয়াস কাঞ্চনের পরিবার
ইলিয়াস কাঞ্চনের পরিবার

শোবিজ

প্রশাসনের প্রশ্রয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে এ কে আজাদ
প্রশাসনের প্রশ্রয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে এ কে আজাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নারী, দখল, চাঁদাবাজি হারুনের যত কেলেঙ্কারি
নারী, দখল, চাঁদাবাজি হারুনের যত কেলেঙ্কারি

প্রথম পৃষ্ঠা

সিআইডির নজর মাফিয়া চক্রের ৯৬ অ্যাকাউন্টে
সিআইডির নজর মাফিয়া চক্রের ৯৬ অ্যাকাউন্টে

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হেরে গেল বাংলাদেশ
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হেরে গেল বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গৌরীকে শাহরুখের বিশেষ বার্তা
গৌরীকে শাহরুখের বিশেষ বার্তা

শোবিজ

ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকল মিরপুর
ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকল মিরপুর

মাঠে ময়দানে

ঝুঁকি নিয়েই ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ‘মিথানল’
ঝুঁকি নিয়েই ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ‘মিথানল’

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপিতে এখনো শুরু হয়নি প্রার্থী বাছাই
এনসিপিতে এখনো শুরু হয়নি প্রার্থী বাছাই

প্রথম পৃষ্ঠা

২৪ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা
২৪ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

হিন্দু ভোটার টানতে তৎপর বিএনপি জামায়াত
হিন্দু ভোটার টানতে তৎপর বিএনপি জামায়াত

নগর জীবন

ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম ফ্লাইওভার
ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম ফ্লাইওভার

পেছনের পৃষ্ঠা

ত্রিভুজ প্রেমের বলি জবি ছাত্র জোবায়েদ
ত্রিভুজ প্রেমের বলি জবি ছাত্র জোবায়েদ

প্রথম পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী হবে তত্ত্বাবধায়ক
অন্তর্বর্তী হবে তত্ত্বাবধায়ক

প্রথম পৃষ্ঠা

এ তুফান ভারী দিতে হবে পাড়ি
এ তুফান ভারী দিতে হবে পাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে ক্ষতি ৪ হাজার কোটি
ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে ক্ষতি ৪ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

সহপাঠীদের পিটুনিতে মৃত্যু শিক্ষার্থীর
সহপাঠীদের পিটুনিতে মৃত্যু শিক্ষার্থীর

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকায় ‘শাম-ই-নুসরাত’
ঢাকায় ‘শাম-ই-নুসরাত’

শোবিজ

উচ্ছ্বসিত কেন ঐশী
উচ্ছ্বসিত কেন ঐশী

শোবিজ

মারা গেছে রাঙামাটির বিরল গোলাপি হাতি
মারা গেছে রাঙামাটির বিরল গোলাপি হাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

গলফার সামিরের আকাশছোঁয়া স্বপ্ন
গলফার সামিরের আকাশছোঁয়া স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

দাবি পূরণ, আজ ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা
দাবি পূরণ, আজ ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

আসরানির শেষ পোস্ট
আসরানির শেষ পোস্ট

শোবিজ

সাঁতারে দিনটি ছিল রাফির
সাঁতারে দিনটি ছিল রাফির

মাঠে ময়দানে

নারী হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন গ্রেপ্তার ৩
নারী হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন গ্রেপ্তার ৩

পেছনের পৃষ্ঠা

আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু কিংস অ্যারিনা
আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু কিংস অ্যারিনা

মাঠে ময়দানে