শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪ আপডেট:

প্রবীণের সম্মান ও ত্যাগের মর্যাদা কে কবে পাবে?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
প্রবীণের সম্মান ও ত্যাগের মর্যাদা কে কবে পাবে?

মুসলিম জাহানের সবচেয়ে পূতপবিত্র মাস মাহে রমজান। পরম দয়াময় আল্লাহর কাছে কায়মনে প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন আমাদের রমজান কবুল ও মঞ্জুর করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে মুসলিম জাহানের রমজানের সিয়াম সাধনা মঞ্জুর করেন এবং সমগ্র বিশ্ববাসীকে রহমত বরকত দান করেন- আমিন।

মার্চ বাঙালি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাস। মার্চ স্বাধীনতার মাস, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাস, বাংলাদেশের জন্মের মাস, বাংলাদেশের জনকের জন্মের মাস। এককথায় এই ভূখন্ডে মার্চের চেয়ে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ আর দ্বিতীয় কোনো মাস আছে বলে আমার মনে হয় না। মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত বাঙালির চিন্তা-চেতনা-চৈতন্যে সবার আগে ছিল ফেব্রুয়ারি। ফেব্রুয়ারিই ছিল আমাদের মুক্তির মাস, রক্তদানের মাস। মুক্তিযুদ্ধের পর সেটা মার্চে গিয়ে ঠেকেছে। একসময় পাঠকদের বলেছিলাম, এ কে খন্দকার বীরউত্তমের ‘‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে” পরতে পরতে শব্দে শব্দে লিখবা মনে হয় তা আর হয়ে উঠবে না। তাই যতটা পারি এই লেখায় তুলে ধরে বাকিটা একটা বই আকারে ছাপার কথা চিন্তা করছি। কারণ সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে এত পাঠক তাগাদা করেন, পাঠকের ইচ্ছা উপেক্ষা করা যায় না বা উচিত না।

৫ মার্চ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন সমাপ্ত হয়েছে। সংসদ নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনার সমাপনী ভাষণে অনেক কিছু থাকলেও এতদিন ধরে রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ প্রস্তাবে তেমন কারও বক্তব্যে খুব একটা সারবত্তা পাওয়া যায়নি। যদিও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ একেবারে একদলীয়। মাত্র ২-৩ জন স্বতন্ত্র এমপি ছাড়া একজনও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি বা ইচ্ছার বাইরে নন। জাতীয় পার্টির ১২-১৩ জন, তারাও বোনের দয়ার দান। এই সংসদে প্রথম একজন মাননীয় সংসদ সদস্য আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী, তার জন্য নির্ধারিত সময় প্রতিবাদ করে সংসদের বাইরে থেকেছেন মানে ওয়াকআউট করেছেন। কাজটা অত্যন্ত ভালো করেছেন। তিনি একজন প্রবীণ নেতা। আমরা অনেকেই তার হাত ধরে তার প্রেরণায় রাজনীতিতে এসেছিলাম। আমি অকপটে স্বীকার করি, তাকে না পেলে গরুর রাখাল অথবা রিকশাচালকের বেশি হতে পারতাম না। তার রাজনীতি অনুসরণ অনুকরণ করে বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর কারণেই দেশমাতৃকাকে হৃদয়ে ধারণ করতে এবং মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম। নিজের জন্য নয়, মানুষের জন্যই যে আমাদের জন্ম সেটা উপলব্ধি করেছিলাম। তার সঙ্গে আমার অনেক মতের পথের চিন্তার দূরত্ব ছিল, এখনো আছে। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে, পিতার মতো বড় ভাই হিসেবে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় কোনো খাদ নেই। আমি গুরুকে গুরুই মনে করি। গুরুকে কখনো গরু ভাবি না। আমি ঘন ঘন মত, পথ বদলাতে পারি না। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আমি অবুঝ হিসেবে জন্ম দেই। বিশেষ করে মানুষ। মুখে তুলে না দিলে অবুঝ শিশু মায়ের দুধ পান করতে পারে না। অনেককে অল্প আয়ুতে নিয়ে যাই, আবার অনেককে লম্বা জীবন দেই। বয়সকালে উল্টে দেই। একসময় তারা শিশুর মতো অবুঝ হয়ে যায়। নিজে থেকে কিছুই করতে পারে না।’ আমাদের সবার ক্ষেত্রেই তেমনি। লতিফ সিদ্দিকীর ৮৪-৮৫ বছর বয়স, আমার ৭৮। আমি তো আর ২৫ বছরের যুবক হতে পারব না, ৫০ কিলোমিটার হাঁটতে পারব না। আমাদের যদি নবীনরা পদে পদে অপমান অপদস্ত করে, শারীরিকভাবে হয়তো আমরা তেমন এসবের প্রতিকারও করতে পারব না। মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা লতিফ সিদ্দিকীকে সেদিন সংসদে ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল। তিনি খুশি হতে পারেননি, ওয়াকআউট করেছেন। কাজটা তিনি অত্যন্ত ভালো করেছেন। কিন্তু ১০ মিনিট সময় দেওয়ার জন্য যে তিনি কথা না বলে মনঃক্ষুণœ হয়ে ওই ১০ মিনিটের জন্য সংসদের কার্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন কথাটা স্পষ্ট হয়নি। আর এর আগেও তিনি অনেকবার সংসদে অংশ নিতে পারতেন। যেমন কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকান্ডে কত মানুষ পুড়ে ছারখার হয়ে গেল তাদের নিয়ে, আরও অনেকগুলো ঘটনা একের পর এক ঘটে গেছে। প্রবীণ নেতা হিসেবে সেসবের ওপর তিনি পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়াতে পারতেন। স্পিকার সময় না দিলে সে ছিল ভিন্নকথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি তার সারাজীবনের চেতনার ওপর অবিচার করেছেন। বয়স হয়েছে তাই পুরনো কথাই বারবার বলতে ইচ্ছা করে। ’৭৩ সালের ঘটনা। তখন তেজগাঁওয়ে সংসদ ভবনে ২-৪ বার গেছি। বঙ্গবন্ধু সন্তানের মতো দেখতেন এটা তো সবারই জানা। এক দিন দর্শক গ্যালারিতে বসেছিলাম। বঙ্গবন্ধু থেকে কত আর হবে ১৫-২০ ফুট দূরে। অন্যদিকে এক দলের এক নেতা সুরঞ্জিত সেন। সংসদ চলছিল। তিনি বারবার কী যেন বলতে গিয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন। কিন্তু স্পিকার সাড়া দিচ্ছিলেন না। মনে হয় ১০-১২ বার দৃষ্টি আকর্ষণ এবং চেঁচামেচি করলে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। তিনি মাননীয় স্পিকারকে বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য কী বলতে চান হাউসকে শুনতে দিন।’ সুরঞ্জিত সেনকে সময় দেওয়া হয়। সবারই জানা, সুরঞ্জিত সেন তুখোড় বক্তা ছিলেন। তিনি প্রথমেই হাউসকে সম্বোধন করে বলেন, ‘আমি একজন একেবারে ক্ষুদ্র সংসদ সদস্য। আমার বড় দল নেই, শক্তি নেই। আমি আজকে অসংখ্যবার মাননীয় স্পিকার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। দয়া করে সংসদ নেতা আপনাকে না বললে আমি হয়তো দাঁড়াতেও পারতাম না। আমি যে বারবার সময় চেয়ে ব্যর্থ হয়ে অসহায়ের মতো বসে ছিলাম, যদি আজকের হাউসের নেতা দেশের নেতা আমার জায়গায় হতেন তিনি বারবার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যর্থ হতেন আর আমি যদি সংসদের নেতার আসনে থাকতে পারতাম তখন আমাদের এই মহান নেতার মুখটা কেমন বিবর্ণ হতো আমি যদি দেখতে পেতাম তাহলে আমার হৃদয় মন জুড়িয়ে যেত।’ সুরঞ্জিত সেনের কথা শেষ হলে সংসদ নেতা আমাদের পিতা মাননীয় স্পিকারকে বলেছিলেন, ‘শ্রী সুরঞ্জিত সেন এক দলের একজন হোক তাতে কী যায় আসে। তাকে যেন পরিপূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হয়। তিনি যতবার কথা বলতে চাইবেন কার্যপ্রণালি বিধির মধ্যে তাকে সুযোগ দিতে হবে।’ মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে কি তেমন হতে পারত না? বিএনপি আমলে একসময় ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার স্পিকার হিসেবে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আমাকে সময় দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য আপনাকে ২০ মিনিট সময় দেওয়া হলো। এরপরও আপনার যতটুকু সময় দরকার আপনি বলবেন। সেটা যত লম্বা সময়ই হোক আমার বিবেচনায় তাকে ২০ মিনিটই ধরা হবে। আপনি একজন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। আপনার মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা অনেক বড় অনেক গৌরবের।’ এমনটা কিন্তু মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রেও হতে পারত। বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের কথা শুনেছি। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পঙ্কজ দেবনাথের বক্তব্য শুনলাম। তিনি বলেছেন, ‘স্পিকার হয়তো মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীকে আবার সময় দেবেন।’ না, দেননি। ডিপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু তখন মাননীয় স্পিকারের আসনে ছিলেন। মাননীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর যিনি ওস্তাদ তিনি এখনো লতিফ সিদ্দিকীকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেন। প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, অনেকেই মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী। প্রবীণ হিসেবে তাকে সম্মান দিলে সেটা সংসদের সম্মান হতো, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর সম্মান হতো। এসব ইতিহাসের পাতায় একসময় লিপিবদ্ধ হবে। তাই যা চোখের সামনে পড়ে তা না বলে পারি না। আমাদের টাঙ্গাইলের মেয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপার বক্তব্য বেশ ভালো লেগেছে। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী চট্টগ্রামের বিখ্যাত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বক্তব্য আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছে। চরম দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিরোধ যুদ্ধে মহিউদ্দিন চৌধুরী আমার সঙ্গে ছিলেন। একসময় জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের তুলে দেওয়া হয় তখন মহিউদ্দিন চৌধুরীর বদলে আমি আমার ছোট ভাই বাবুল সিদ্দিকীর তালিকা বদলে দিয়েছিলাম। যা নিয়ে পরিবারে অনেক গালমন্দ শুনতে হয়েছে। কিন্তু এখনো মনে করি আমি সেদিন কাজটি সঠিক করেছিলাম।

৯ মার্চ বেগম রওশন এরশাদের সম্মেলনে গিয়েছিলাম। স্বৈরাচার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আমি খুব একটা পছন্দ করতাম না। এখনো স্বৈরাচার অপছন্দ করি। সারা পৃথিবীর কথা বলতে পারব না। এশিয়া মহাদেশে সেনা শাসক হিসেবে রাজনীতিতে আর কেউ ফিরে আসতে পারে নাই, টিকে থাকে নাই। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই একমাত্র ব্যক্তি যার লক্ষ কোটি দোষ থাকার পরও রাজনীতিতে জনগণের প্রিয় মানুষ হয়েছিলেন। প্রথম জেল থেকে পাঁচ আসনে নির্বাচন করেছিলেন, জয়ী হয়েছিলেন। তার ছেড়ে দেওয়া চার আসনে আমরা উপনির্বাচন করতে গিয়েছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনা রংপুরে ছিলেন চার দিন, আমি ছিলাম ২০ দিন। চারটি আসনেই জাতীয় পার্টির লাঙ্গল জিতেছিল। লাঙ্গল যেখানে ১ লাখ ভোট পেয়েছে, সেখানে নৌকা পেয়েছিল ৬০-৭০ হাজার। যেখানে সোয়া লাখ, সেখানে নৌকা তার ২০-২৫ হাজার পেছনে বা নিচে ছিল। ছেড়ে দেওয়া চারটিতেই লাঙ্গল আবার জিতেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার পরও ধানের শীষ ভোট পেয়েছিল সবকটাতে ৩-৪ হাজারের নিচে। দ্বিতীয়বার পাঁচ আসনে, তৃতীয়বার তিন আসনে। অন্যান্যবার নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করার পরও তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এসব নানা কারণে তিনি আমার কাছে অনেক সম্মানের অনেক প্রিয়। নেতৃত্ব কর্তৃত্বে বোনের ওপর দিয়ে বলব না। কিন্তু তার পরই আমার হৃদয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্থান। বেগম রওশন এরশাদ ফোন করেছিলেন। তাই তাকে সম্মান জানাতে সম্মেলনে গিয়েছিলাম। বিপুল লোকসমাগম হয়েছিল। সাধারণ নেতা-কর্মীদের আমার খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু নেতৃত্বের মধ্যে গণচিন্তা খুব একটা দেখিনি। জনাব কাজী ফিরোজ রশীদ আমার খুবই প্রিয় পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ, অন্যদিকে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। আবু হোসেন বাবলা, তিনি আমাকে কতটা জানেন চিনেন জানি না। আমি তাকে খুবই সম্মান করি। আরও অন্যান্যদেরও। দেখলাম শেখ শহীদকে। বড় ভালো বলেছেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কর্মকান্ড তিনিই তুলে ধরেছেন সব থেকে ভালোভাবে। কিন্তু দ্বিধা ত্রিধা জাতীয় পার্টি দেশবাসীর স্বপ্ন নয়। ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি দেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি সম্ভাবনা। জাতীয় পার্টি ইতোমধ্যে ৫-৭ ভাগ না হলে আওয়ামী লীগ বিএনপির বাইরে তারা একটা জাতীয় চেতনার সৃষ্টি করতে পারতেন। বটগাছের নিচে যে অন্য গাছ হয় না এটা স্বাভাবিক নিয়মেই বোঝা যায়। বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টি আর বেগম রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টি একজন আরেকজনকে তীব্র গালাগাল করলেই কোনো ফল হবে আমার তেমন মনে হয়নি। মুখপোড়া মানুষ হিসেবে কথাটি সম্মেলনে বলেছি। মনে হয়, শতকরা ৯০ জন হাত তুলে করতালি দিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টির প্রত্যাশাকে সমর্থন করেছেন। বেগম রওশন এরশাদকেও সে কথাটি বলেছি। আর কাউকে না বললেও প্রবীণ নেতা আমার পরম আত্মীয় কাজী ফিরোজ রশীদের কাছেও সবাই মিলে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করতে অনুরোধ করেছি। এমন একটি সুগঠিত সুশৃঙ্খল দল হলে, রাজনীতি হলে, সেটা যেমন দেশের জন্য মঙ্গল তেমনি সরকারের জন্যও মঙ্গল। জানি না, আমাদের কথা রাজনীতিকরা বিবেচনায় নেবেন কি না। বিশেষ করে আমার মায়ের মতো বোন এ ব্যাপারে মাথা ঘামাবেন কি না।

সেদিন ২৯ ফেব্রুয়ারি। ২৯ ফেব্রুয়ারি চার বছরে একবার আসে। গিয়েছিলাম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ডা. মো. রসুল আমিন শিপনের ঘরে। রসুল আমিন অসাধারণ মানুষ। মনে হয় সহযোগী অধ্যাপক। জীবনে প্রথম তিনি আমার এনজিওগ্রাম করেছিলেন। সবই নাকি ভালো আছে। এনজিওগ্রামের ফুটোর দাগ নেই। কিন্তু তুলো দিয়ে যেখানে ট্যাপ লাগিয়ে ছিলেন সেখানে চামড়া ছিঁড়ে এখনো দাগ হয়ে আছে। তিনি ইসিজি, ইকো করিয়েছেন। বড় ভালো লেগেছে। বিশেষায়িত ভবনে যন্ত্রপাতি অসাধারণ। সেখান থেকে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের কামরায়। মাঝেসাজে সেখানে যাই। আগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলকে বঙ্গবন্ধুর মনে হতো না। আমাদের প্রিয় প্রাণ গোপাল চলে যাওয়ার পর যারাই এসেছেন তারাই তেমন কিছু করেননি। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। দালানকোঠা, ঘরদুয়ার, যন্ত্রপাতি, পয়পরিষ্কার এবং চিকিৎসা এই ভদ্রলোক আসার পর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মনে হয় চারদিকে বঙ্গবন্ধু ঘুরেফিরে রেড়াচ্ছেন আর আমাদের নানাভাবে সতর্ক করছেন। এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে চারদিকে শুধু বঙ্গবন্ধুকেই দেখা যায়। মনে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর প্রেমে মাতোয়ারা ভদ্রলোক যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন স্বপদে থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন যুদ্ধ করে যাবেন। কিন্তু না, সেদিন শুনলাম তার চাকরি শেষ। জানি এমনই হয়। চাটু মারা লোকের তো শেষ নেই। কারা এসব করে জানি না। বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দিলে শাস্তি বা তিরস্কার আর তার পিন্ডি চটকালে পুরস্কার। এইতো এখন চিরাচরিত নিয়ম। রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রপতি রক্ষার দায়িত্ব ছিল কর্নেল জামিলের। ১৪ তারিখ রাতে নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। ১৫ তারিখ সকালে একা একটা লাল জামা গায়ে দুই দরজার গাড়ি নিয়ে আসতে গিয়ে কলাবাগানে গুলি খেয়ে মরেছেন। একটা রিভলবারও কাছে ছিল না। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে যার মরণোত্তর শাস্তি হওয়ার কথা তার পিতার শহীদ পরিবারের সঙ্গে ছবি দেখে হজম করার চেষ্টা করি। কিন্তু কেন যেন বদহজম হয়। এইতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জে মৃণালকে হারতে দেখলাম। ’৯০-এ যখন দেশে ফিরি তখন আবু জাহিদ সেন্টু, মতিউর রহমান সেন্টু, মৃণাল কান্তি দাস, মাহমুদ আনাম সেন্টু, আরিফ আহমেদ দুলাল, বিজন কুমার সাহা, আইনুল, আবদুস সালাম, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পল্টু, নজীব এদের ধানমন্ডি ৩২-এ বোনের ছায়ার মতো দেখেছি। সবাই রাজনৈতিক না। তাই রাজনৈতিক মাঠে অনেকেই এগোতে পারে নাই। কিন্তু মৃণাল কান্তি দাস অনেক দূর এগিয়েছে। একজন অসাম্প্রদায়িক কর্মী। শুনেছি জনাব মহিউদ্দিনের ছেলে তাকে পরাজিত করেছে। দলীয় প্রার্থী হিসেবে যদি মৃণাল কান্তি সত্যিকার ভোটে পরাজিত হয় আমারই তো সব থেকে বেশি খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু তা নয়। জনাব মহিউদ্দিন পুলিশের এসপি পদমর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষী প্রধান ছিলেন। কই ’৭৫-এর ১৪-১৫ আগস্ট বা তার পরও কোনো দিন তাকে দেখিনি। আমরা এত কষ্ট করলাম। একদিনের জন্য তার নামগন্ধ শুনলাম না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় কয়েক শ লোক নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কামরা দখল এবং ছেলের পক্ষে ফলাফল নিয়ে আসা এতো একেবারে দেউলিয়াপনার শামিল। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার দিন ৫০ জন লোক নিয়ে অথবা ৫০টা অস্ত্র নিয়েও যদি প্রতিবাদ করতেন আমি তার চির গোলাম হয়ে থাকতাম। কিন্তু কেন যেন সব ক্ষেত্রে এই ধরনের মারাত্মক অসংগতি। কীভাবে এসব অসংগতি দূর করব কিছুই বুঝতে পারছি না।

এসব অসংগতি এখনো দূর করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ কী যে হবে কিছুই বুঝতে পারছি না। সরকারি দলের ফ্রিস্টাইল কারবারে একসময়ের সুদৃঢ় সামাজিকতা ভেঙে যাচ্ছে। সরকারি লোকজনের সে যে কী বাড়ন্ত অবস্থা ভাবা যায় না। সেদিন আমার সখীপুরে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খুবই ছোট্ট কারণে এক মহিলা তার বাড়িতে বিচার চাইতে গেলে তাকে নিদারুণভাবে অপমান অপদস্ত করেছেন। কয়েকজনে মিলে মারধর করেছে। বেশ কিছুদিন সে হাসপাতালে পড়ে আছে। টাকা খেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কোর্টে মামলা পাঠিয়ে দিয়েছে। লাথি-গুঁতা চড়থাপ্পর মারলেও মহিলার গায়ে নির্যাতনের নানা চিহ্ন সরকারি হাসপাতাল স্বীকার করলেও সেটা নাকি নারী নির্যাতন হয়নি, সম্মানহানি হয়নি। আমার চোখে কোনো মহিলার শরীরে স্পর্শ করা তো দূরের কথা তার শাড়ির আঁচল বা ওড়না স্পর্শ করা হত্যার সমান অপরাধ। টাকার সে যে কী ক্ষমতা। সখীপুরের কাউকে আমি শত্রু মনে করি না। কিন্ত যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও একজন নারী অপমানিত হয়নি, সেখানে বেঁচে থাকতেই নারীর অপমানের প্রতিকার করতে না পারলে বেঁচে থেকে লাভ কী? তাই স্মারকলিপি দিয়েছি যথাযথ বিচারের জন্য। দেখা যাক কী হয়। না হলে রাস্তায় বসার সুযোগ তো আছেই। আর কিছু না হোক থানার সামনে বসে যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ ততক্ষণ তো থাকতে পারি।

 

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
স্ত্রীসহ মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
স্ত্রীসহ মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

নায়িকাকে জড়িয়ে ধরায় কারাদণ্ড
নায়িকাকে জড়িয়ে ধরায় কারাদণ্ড

২ মিনিট আগে | শোবিজ

পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৫
পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৫

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর শান্ত, কড়া পাহারায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর শান্ত, কড়া পাহারায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৩৯৫ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৩৯৫ মামলা

৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

পাচারের অভিযোগ, ভারতীয় নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশ বন্ধ করল ইরান
পাচারের অভিযোগ, ভারতীয় নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশ বন্ধ করল ইরান

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রশক্তির ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেল ঘোষণা, কে কোন পদে লড়ছেন
ছাত্রশক্তির ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেল ঘোষণা, কে কোন পদে লড়ছেন

৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মেলবোর্নে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনীতে ১২ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান
মেলবোর্নে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনীতে ১২ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান

১৪ মিনিট আগে | পরবাস

গোপালগঞ্জে বিষ প্রয়োগে পেঁয়াজের এক বিঘা বীজতলা নষ্টের অভিযোগ
গোপালগঞ্জে বিষ প্রয়োগে পেঁয়াজের এক বিঘা বীজতলা নষ্টের অভিযোগ

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে অস্ত্র-মাদকসহ একটি চক্রের সবাই গ্রেফতার: ডিবি
রাজধানীতে অস্ত্র-মাদকসহ একটি চক্রের সবাই গ্রেফতার: ডিবি

২১ মিনিট আগে | নগর জীবন

নোয়াখালীতে নতুন জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামের দায়িত্ব গ্রহণ
নোয়াখালীতে নতুন জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামের দায়িত্ব গ্রহণ

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা জবি ছাত্রশিবিরের
‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা জবি ছাত্রশিবিরের

৩০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কূটনৈতিক উত্তেজনা, জাপানে যাওয়ার প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট বাতিল করেছে চীন
কূটনৈতিক উত্তেজনা, জাপানে যাওয়ার প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট বাতিল করেছে চীন

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিনাজপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মনজুরুল ইসলামের গণসংযোগ
দিনাজপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মনজুরুল ইসলামের গণসংযোগ

৩৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং : ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা
৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং : ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

দুই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক
দুই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক

৪৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে কুইজ প্রতিযোগিতা
পঞ্চগড়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে কুইজ প্রতিযোগিতা

৫৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সহজ জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে নেদারল্যান্ডস
সহজ জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে নেদারল্যান্ডস

৫৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ধানের শীষকে বিজয়ী করতে বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির পাঁচ নেতার ঐক্য
ধানের শীষকে বিজয়ী করতে বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির পাঁচ নেতার ঐক্য

৫৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

৫৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

যে কারণে নিকারাগুয়ার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
যে কারণে নিকারাগুয়ার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ
সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও কঠোর নিরাপত্তা
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও কঠোর নিরাপত্তা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় কাঁচামাল বোঝাই পিকআপে আগুন
আশুলিয়ায় কাঁচামাল বোঝাই পিকআপে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিংড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে সাহিত্য আসর
সিংড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে সাহিত্য আসর

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বড় জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো জার্মানি
বড় জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো জার্মানি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতিসংঘের গাজা প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণে ব্যর্থ : হামাস
জাতিসংঘের গাজা প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণে ব্যর্থ : হামাস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে ইয়াবার বিশাল চালান জব্দ
সিলেটে ইয়াবার বিশাল চালান জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কবে আসছে এফ-৪৭?
কবে আসছে এফ-৪৭?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!
সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব
শেখ হাসিনার রায়কে ‘তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ বললেন আ স ম রব

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ