শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪ আপডেট:

প্রবীণের সম্মান ও ত্যাগের মর্যাদা কে কবে পাবে?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
প্রবীণের সম্মান ও ত্যাগের মর্যাদা কে কবে পাবে?

মুসলিম জাহানের সবচেয়ে পূতপবিত্র মাস মাহে রমজান। পরম দয়াময় আল্লাহর কাছে কায়মনে প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন আমাদের রমজান কবুল ও মঞ্জুর করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে মুসলিম জাহানের রমজানের সিয়াম সাধনা মঞ্জুর করেন এবং সমগ্র বিশ্ববাসীকে রহমত বরকত দান করেন- আমিন।

মার্চ বাঙালি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাস। মার্চ স্বাধীনতার মাস, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাস, বাংলাদেশের জন্মের মাস, বাংলাদেশের জনকের জন্মের মাস। এককথায় এই ভূখন্ডে মার্চের চেয়ে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ আর দ্বিতীয় কোনো মাস আছে বলে আমার মনে হয় না। মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত বাঙালির চিন্তা-চেতনা-চৈতন্যে সবার আগে ছিল ফেব্রুয়ারি। ফেব্রুয়ারিই ছিল আমাদের মুক্তির মাস, রক্তদানের মাস। মুক্তিযুদ্ধের পর সেটা মার্চে গিয়ে ঠেকেছে। একসময় পাঠকদের বলেছিলাম, এ কে খন্দকার বীরউত্তমের ‘‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে” পরতে পরতে শব্দে শব্দে লিখবা মনে হয় তা আর হয়ে উঠবে না। তাই যতটা পারি এই লেখায় তুলে ধরে বাকিটা একটা বই আকারে ছাপার কথা চিন্তা করছি। কারণ সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে এত পাঠক তাগাদা করেন, পাঠকের ইচ্ছা উপেক্ষা করা যায় না বা উচিত না।

৫ মার্চ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন সমাপ্ত হয়েছে। সংসদ নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনার সমাপনী ভাষণে অনেক কিছু থাকলেও এতদিন ধরে রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ প্রস্তাবে তেমন কারও বক্তব্যে খুব একটা সারবত্তা পাওয়া যায়নি। যদিও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ একেবারে একদলীয়। মাত্র ২-৩ জন স্বতন্ত্র এমপি ছাড়া একজনও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি বা ইচ্ছার বাইরে নন। জাতীয় পার্টির ১২-১৩ জন, তারাও বোনের দয়ার দান। এই সংসদে প্রথম একজন মাননীয় সংসদ সদস্য আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী, তার জন্য নির্ধারিত সময় প্রতিবাদ করে সংসদের বাইরে থেকেছেন মানে ওয়াকআউট করেছেন। কাজটা অত্যন্ত ভালো করেছেন। তিনি একজন প্রবীণ নেতা। আমরা অনেকেই তার হাত ধরে তার প্রেরণায় রাজনীতিতে এসেছিলাম। আমি অকপটে স্বীকার করি, তাকে না পেলে গরুর রাখাল অথবা রিকশাচালকের বেশি হতে পারতাম না। তার রাজনীতি অনুসরণ অনুকরণ করে বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর কারণেই দেশমাতৃকাকে হৃদয়ে ধারণ করতে এবং মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম। নিজের জন্য নয়, মানুষের জন্যই যে আমাদের জন্ম সেটা উপলব্ধি করেছিলাম। তার সঙ্গে আমার অনেক মতের পথের চিন্তার দূরত্ব ছিল, এখনো আছে। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে, পিতার মতো বড় ভাই হিসেবে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় কোনো খাদ নেই। আমি গুরুকে গুরুই মনে করি। গুরুকে কখনো গরু ভাবি না। আমি ঘন ঘন মত, পথ বদলাতে পারি না। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আমি অবুঝ হিসেবে জন্ম দেই। বিশেষ করে মানুষ। মুখে তুলে না দিলে অবুঝ শিশু মায়ের দুধ পান করতে পারে না। অনেককে অল্প আয়ুতে নিয়ে যাই, আবার অনেককে লম্বা জীবন দেই। বয়সকালে উল্টে দেই। একসময় তারা শিশুর মতো অবুঝ হয়ে যায়। নিজে থেকে কিছুই করতে পারে না।’ আমাদের সবার ক্ষেত্রেই তেমনি। লতিফ সিদ্দিকীর ৮৪-৮৫ বছর বয়স, আমার ৭৮। আমি তো আর ২৫ বছরের যুবক হতে পারব না, ৫০ কিলোমিটার হাঁটতে পারব না। আমাদের যদি নবীনরা পদে পদে অপমান অপদস্ত করে, শারীরিকভাবে হয়তো আমরা তেমন এসবের প্রতিকারও করতে পারব না। মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা লতিফ সিদ্দিকীকে সেদিন সংসদে ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল। তিনি খুশি হতে পারেননি, ওয়াকআউট করেছেন। কাজটা তিনি অত্যন্ত ভালো করেছেন। কিন্তু ১০ মিনিট সময় দেওয়ার জন্য যে তিনি কথা না বলে মনঃক্ষুণœ হয়ে ওই ১০ মিনিটের জন্য সংসদের কার্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন কথাটা স্পষ্ট হয়নি। আর এর আগেও তিনি অনেকবার সংসদে অংশ নিতে পারতেন। যেমন কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকান্ডে কত মানুষ পুড়ে ছারখার হয়ে গেল তাদের নিয়ে, আরও অনেকগুলো ঘটনা একের পর এক ঘটে গেছে। প্রবীণ নেতা হিসেবে সেসবের ওপর তিনি পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়াতে পারতেন। স্পিকার সময় না দিলে সে ছিল ভিন্নকথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি তার সারাজীবনের চেতনার ওপর অবিচার করেছেন। বয়স হয়েছে তাই পুরনো কথাই বারবার বলতে ইচ্ছা করে। ’৭৩ সালের ঘটনা। তখন তেজগাঁওয়ে সংসদ ভবনে ২-৪ বার গেছি। বঙ্গবন্ধু সন্তানের মতো দেখতেন এটা তো সবারই জানা। এক দিন দর্শক গ্যালারিতে বসেছিলাম। বঙ্গবন্ধু থেকে কত আর হবে ১৫-২০ ফুট দূরে। অন্যদিকে এক দলের এক নেতা সুরঞ্জিত সেন। সংসদ চলছিল। তিনি বারবার কী যেন বলতে গিয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন। কিন্তু স্পিকার সাড়া দিচ্ছিলেন না। মনে হয় ১০-১২ বার দৃষ্টি আকর্ষণ এবং চেঁচামেচি করলে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। তিনি মাননীয় স্পিকারকে বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য কী বলতে চান হাউসকে শুনতে দিন।’ সুরঞ্জিত সেনকে সময় দেওয়া হয়। সবারই জানা, সুরঞ্জিত সেন তুখোড় বক্তা ছিলেন। তিনি প্রথমেই হাউসকে সম্বোধন করে বলেন, ‘আমি একজন একেবারে ক্ষুদ্র সংসদ সদস্য। আমার বড় দল নেই, শক্তি নেই। আমি আজকে অসংখ্যবার মাননীয় স্পিকার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। দয়া করে সংসদ নেতা আপনাকে না বললে আমি হয়তো দাঁড়াতেও পারতাম না। আমি যে বারবার সময় চেয়ে ব্যর্থ হয়ে অসহায়ের মতো বসে ছিলাম, যদি আজকের হাউসের নেতা দেশের নেতা আমার জায়গায় হতেন তিনি বারবার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যর্থ হতেন আর আমি যদি সংসদের নেতার আসনে থাকতে পারতাম তখন আমাদের এই মহান নেতার মুখটা কেমন বিবর্ণ হতো আমি যদি দেখতে পেতাম তাহলে আমার হৃদয় মন জুড়িয়ে যেত।’ সুরঞ্জিত সেনের কথা শেষ হলে সংসদ নেতা আমাদের পিতা মাননীয় স্পিকারকে বলেছিলেন, ‘শ্রী সুরঞ্জিত সেন এক দলের একজন হোক তাতে কী যায় আসে। তাকে যেন পরিপূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হয়। তিনি যতবার কথা বলতে চাইবেন কার্যপ্রণালি বিধির মধ্যে তাকে সুযোগ দিতে হবে।’ মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে কি তেমন হতে পারত না? বিএনপি আমলে একসময় ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার স্পিকার হিসেবে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আমাকে সময় দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য আপনাকে ২০ মিনিট সময় দেওয়া হলো। এরপরও আপনার যতটুকু সময় দরকার আপনি বলবেন। সেটা যত লম্বা সময়ই হোক আমার বিবেচনায় তাকে ২০ মিনিটই ধরা হবে। আপনি একজন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। আপনার মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা অনেক বড় অনেক গৌরবের।’ এমনটা কিন্তু মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রেও হতে পারত। বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের কথা শুনেছি। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পঙ্কজ দেবনাথের বক্তব্য শুনলাম। তিনি বলেছেন, ‘স্পিকার হয়তো মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীকে আবার সময় দেবেন।’ না, দেননি। ডিপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু তখন মাননীয় স্পিকারের আসনে ছিলেন। মাননীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর যিনি ওস্তাদ তিনি এখনো লতিফ সিদ্দিকীকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেন। প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, অনেকেই মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী। প্রবীণ হিসেবে তাকে সম্মান দিলে সেটা সংসদের সম্মান হতো, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর সম্মান হতো। এসব ইতিহাসের পাতায় একসময় লিপিবদ্ধ হবে। তাই যা চোখের সামনে পড়ে তা না বলে পারি না। আমাদের টাঙ্গাইলের মেয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপার বক্তব্য বেশ ভালো লেগেছে। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী চট্টগ্রামের বিখ্যাত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বক্তব্য আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছে। চরম দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিরোধ যুদ্ধে মহিউদ্দিন চৌধুরী আমার সঙ্গে ছিলেন। একসময় জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের তুলে দেওয়া হয় তখন মহিউদ্দিন চৌধুরীর বদলে আমি আমার ছোট ভাই বাবুল সিদ্দিকীর তালিকা বদলে দিয়েছিলাম। যা নিয়ে পরিবারে অনেক গালমন্দ শুনতে হয়েছে। কিন্তু এখনো মনে করি আমি সেদিন কাজটি সঠিক করেছিলাম।

৯ মার্চ বেগম রওশন এরশাদের সম্মেলনে গিয়েছিলাম। স্বৈরাচার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আমি খুব একটা পছন্দ করতাম না। এখনো স্বৈরাচার অপছন্দ করি। সারা পৃথিবীর কথা বলতে পারব না। এশিয়া মহাদেশে সেনা শাসক হিসেবে রাজনীতিতে আর কেউ ফিরে আসতে পারে নাই, টিকে থাকে নাই। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই একমাত্র ব্যক্তি যার লক্ষ কোটি দোষ থাকার পরও রাজনীতিতে জনগণের প্রিয় মানুষ হয়েছিলেন। প্রথম জেল থেকে পাঁচ আসনে নির্বাচন করেছিলেন, জয়ী হয়েছিলেন। তার ছেড়ে দেওয়া চার আসনে আমরা উপনির্বাচন করতে গিয়েছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনা রংপুরে ছিলেন চার দিন, আমি ছিলাম ২০ দিন। চারটি আসনেই জাতীয় পার্টির লাঙ্গল জিতেছিল। লাঙ্গল যেখানে ১ লাখ ভোট পেয়েছে, সেখানে নৌকা পেয়েছিল ৬০-৭০ হাজার। যেখানে সোয়া লাখ, সেখানে নৌকা তার ২০-২৫ হাজার পেছনে বা নিচে ছিল। ছেড়ে দেওয়া চারটিতেই লাঙ্গল আবার জিতেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার পরও ধানের শীষ ভোট পেয়েছিল সবকটাতে ৩-৪ হাজারের নিচে। দ্বিতীয়বার পাঁচ আসনে, তৃতীয়বার তিন আসনে। অন্যান্যবার নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করার পরও তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এসব নানা কারণে তিনি আমার কাছে অনেক সম্মানের অনেক প্রিয়। নেতৃত্ব কর্তৃত্বে বোনের ওপর দিয়ে বলব না। কিন্তু তার পরই আমার হৃদয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্থান। বেগম রওশন এরশাদ ফোন করেছিলেন। তাই তাকে সম্মান জানাতে সম্মেলনে গিয়েছিলাম। বিপুল লোকসমাগম হয়েছিল। সাধারণ নেতা-কর্মীদের আমার খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু নেতৃত্বের মধ্যে গণচিন্তা খুব একটা দেখিনি। জনাব কাজী ফিরোজ রশীদ আমার খুবই প্রিয় পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ, অন্যদিকে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। আবু হোসেন বাবলা, তিনি আমাকে কতটা জানেন চিনেন জানি না। আমি তাকে খুবই সম্মান করি। আরও অন্যান্যদেরও। দেখলাম শেখ শহীদকে। বড় ভালো বলেছেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কর্মকান্ড তিনিই তুলে ধরেছেন সব থেকে ভালোভাবে। কিন্তু দ্বিধা ত্রিধা জাতীয় পার্টি দেশবাসীর স্বপ্ন নয়। ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি দেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি সম্ভাবনা। জাতীয় পার্টি ইতোমধ্যে ৫-৭ ভাগ না হলে আওয়ামী লীগ বিএনপির বাইরে তারা একটা জাতীয় চেতনার সৃষ্টি করতে পারতেন। বটগাছের নিচে যে অন্য গাছ হয় না এটা স্বাভাবিক নিয়মেই বোঝা যায়। বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টি আর বেগম রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টি একজন আরেকজনকে তীব্র গালাগাল করলেই কোনো ফল হবে আমার তেমন মনে হয়নি। মুখপোড়া মানুষ হিসেবে কথাটি সম্মেলনে বলেছি। মনে হয়, শতকরা ৯০ জন হাত তুলে করতালি দিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টির প্রত্যাশাকে সমর্থন করেছেন। বেগম রওশন এরশাদকেও সে কথাটি বলেছি। আর কাউকে না বললেও প্রবীণ নেতা আমার পরম আত্মীয় কাজী ফিরোজ রশীদের কাছেও সবাই মিলে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করতে অনুরোধ করেছি। এমন একটি সুগঠিত সুশৃঙ্খল দল হলে, রাজনীতি হলে, সেটা যেমন দেশের জন্য মঙ্গল তেমনি সরকারের জন্যও মঙ্গল। জানি না, আমাদের কথা রাজনীতিকরা বিবেচনায় নেবেন কি না। বিশেষ করে আমার মায়ের মতো বোন এ ব্যাপারে মাথা ঘামাবেন কি না।

সেদিন ২৯ ফেব্রুয়ারি। ২৯ ফেব্রুয়ারি চার বছরে একবার আসে। গিয়েছিলাম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ডা. মো. রসুল আমিন শিপনের ঘরে। রসুল আমিন অসাধারণ মানুষ। মনে হয় সহযোগী অধ্যাপক। জীবনে প্রথম তিনি আমার এনজিওগ্রাম করেছিলেন। সবই নাকি ভালো আছে। এনজিওগ্রামের ফুটোর দাগ নেই। কিন্তু তুলো দিয়ে যেখানে ট্যাপ লাগিয়ে ছিলেন সেখানে চামড়া ছিঁড়ে এখনো দাগ হয়ে আছে। তিনি ইসিজি, ইকো করিয়েছেন। বড় ভালো লেগেছে। বিশেষায়িত ভবনে যন্ত্রপাতি অসাধারণ। সেখান থেকে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের কামরায়। মাঝেসাজে সেখানে যাই। আগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলকে বঙ্গবন্ধুর মনে হতো না। আমাদের প্রিয় প্রাণ গোপাল চলে যাওয়ার পর যারাই এসেছেন তারাই তেমন কিছু করেননি। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। দালানকোঠা, ঘরদুয়ার, যন্ত্রপাতি, পয়পরিষ্কার এবং চিকিৎসা এই ভদ্রলোক আসার পর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মনে হয় চারদিকে বঙ্গবন্ধু ঘুরেফিরে রেড়াচ্ছেন আর আমাদের নানাভাবে সতর্ক করছেন। এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে চারদিকে শুধু বঙ্গবন্ধুকেই দেখা যায়। মনে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর প্রেমে মাতোয়ারা ভদ্রলোক যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন স্বপদে থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন যুদ্ধ করে যাবেন। কিন্তু না, সেদিন শুনলাম তার চাকরি শেষ। জানি এমনই হয়। চাটু মারা লোকের তো শেষ নেই। কারা এসব করে জানি না। বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দিলে শাস্তি বা তিরস্কার আর তার পিন্ডি চটকালে পুরস্কার। এইতো এখন চিরাচরিত নিয়ম। রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রপতি রক্ষার দায়িত্ব ছিল কর্নেল জামিলের। ১৪ তারিখ রাতে নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। ১৫ তারিখ সকালে একা একটা লাল জামা গায়ে দুই দরজার গাড়ি নিয়ে আসতে গিয়ে কলাবাগানে গুলি খেয়ে মরেছেন। একটা রিভলবারও কাছে ছিল না। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে যার মরণোত্তর শাস্তি হওয়ার কথা তার পিতার শহীদ পরিবারের সঙ্গে ছবি দেখে হজম করার চেষ্টা করি। কিন্তু কেন যেন বদহজম হয়। এইতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জে মৃণালকে হারতে দেখলাম। ’৯০-এ যখন দেশে ফিরি তখন আবু জাহিদ সেন্টু, মতিউর রহমান সেন্টু, মৃণাল কান্তি দাস, মাহমুদ আনাম সেন্টু, আরিফ আহমেদ দুলাল, বিজন কুমার সাহা, আইনুল, আবদুস সালাম, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পল্টু, নজীব এদের ধানমন্ডি ৩২-এ বোনের ছায়ার মতো দেখেছি। সবাই রাজনৈতিক না। তাই রাজনৈতিক মাঠে অনেকেই এগোতে পারে নাই। কিন্তু মৃণাল কান্তি দাস অনেক দূর এগিয়েছে। একজন অসাম্প্রদায়িক কর্মী। শুনেছি জনাব মহিউদ্দিনের ছেলে তাকে পরাজিত করেছে। দলীয় প্রার্থী হিসেবে যদি মৃণাল কান্তি সত্যিকার ভোটে পরাজিত হয় আমারই তো সব থেকে বেশি খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু তা নয়। জনাব মহিউদ্দিন পুলিশের এসপি পদমর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষী প্রধান ছিলেন। কই ’৭৫-এর ১৪-১৫ আগস্ট বা তার পরও কোনো দিন তাকে দেখিনি। আমরা এত কষ্ট করলাম। একদিনের জন্য তার নামগন্ধ শুনলাম না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় কয়েক শ লোক নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কামরা দখল এবং ছেলের পক্ষে ফলাফল নিয়ে আসা এতো একেবারে দেউলিয়াপনার শামিল। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার দিন ৫০ জন লোক নিয়ে অথবা ৫০টা অস্ত্র নিয়েও যদি প্রতিবাদ করতেন আমি তার চির গোলাম হয়ে থাকতাম। কিন্তু কেন যেন সব ক্ষেত্রে এই ধরনের মারাত্মক অসংগতি। কীভাবে এসব অসংগতি দূর করব কিছুই বুঝতে পারছি না।

এসব অসংগতি এখনো দূর করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ কী যে হবে কিছুই বুঝতে পারছি না। সরকারি দলের ফ্রিস্টাইল কারবারে একসময়ের সুদৃঢ় সামাজিকতা ভেঙে যাচ্ছে। সরকারি লোকজনের সে যে কী বাড়ন্ত অবস্থা ভাবা যায় না। সেদিন আমার সখীপুরে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খুবই ছোট্ট কারণে এক মহিলা তার বাড়িতে বিচার চাইতে গেলে তাকে নিদারুণভাবে অপমান অপদস্ত করেছেন। কয়েকজনে মিলে মারধর করেছে। বেশ কিছুদিন সে হাসপাতালে পড়ে আছে। টাকা খেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কোর্টে মামলা পাঠিয়ে দিয়েছে। লাথি-গুঁতা চড়থাপ্পর মারলেও মহিলার গায়ে নির্যাতনের নানা চিহ্ন সরকারি হাসপাতাল স্বীকার করলেও সেটা নাকি নারী নির্যাতন হয়নি, সম্মানহানি হয়নি। আমার চোখে কোনো মহিলার শরীরে স্পর্শ করা তো দূরের কথা তার শাড়ির আঁচল বা ওড়না স্পর্শ করা হত্যার সমান অপরাধ। টাকার সে যে কী ক্ষমতা। সখীপুরের কাউকে আমি শত্রু মনে করি না। কিন্ত যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও একজন নারী অপমানিত হয়নি, সেখানে বেঁচে থাকতেই নারীর অপমানের প্রতিকার করতে না পারলে বেঁচে থেকে লাভ কী? তাই স্মারকলিপি দিয়েছি যথাযথ বিচারের জন্য। দেখা যাক কী হয়। না হলে রাস্তায় বসার সুযোগ তো আছেই। আর কিছু না হোক থানার সামনে বসে যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ ততক্ষণ তো থাকতে পারি।

 

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
সর্বশেষ খবর
চিকিৎসকসহ ৫২ জন পেলেন গবেষণা অনুদান
চিকিৎসকসহ ৫২ জন পেলেন গবেষণা অনুদান

১ সেকেন্ড আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু

৬ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লবে প্রবাসীদের ভূমিকা নিয়ে আশিষ কিফায়েতের আমাদ’স ড্রিম
জুলাই বিপ্লবে প্রবাসীদের ভূমিকা নিয়ে আশিষ কিফায়েতের আমাদ’স ড্রিম

১৬ মিনিট আগে | শোবিজ

বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজশাহী জেলার উদ্যোগে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব ও ব্যবহার বিষয়ক আলোচনা সভা
বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজশাহী জেলার উদ্যোগে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব ও ব্যবহার বিষয়ক আলোচনা সভা

১৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

মামলাজট কমাতে সহায়তা করতে পারে গ্রাম আদালত
মামলাজট কমাতে সহায়তা করতে পারে গ্রাম আদালত

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য নতুন সূচনা বয়ে আনবে: প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য নতুন সূচনা বয়ে আনবে: প্রধান উপদেষ্টা

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

মালয়েশিয়ায় ২১তম আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস শুরু
মালয়েশিয়ায় ২১তম আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস শুরু

৩০ মিনিট আগে | পরবাস

কলাপাড়ায় দেড় হাজার তালের বীজ রোপণ
কলাপাড়ায় দেড় হাজার তালের বীজ রোপণ

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে আইসিএসবি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে আইসিএসবি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক উদ্যোগে ওজোন স্তরের ক্ষয় অনেকটাই কমেছে: ডব্লিউএমও
আন্তর্জাতিক উদ্যোগে ওজোন স্তরের ক্ষয় অনেকটাই কমেছে: ডব্লিউএমও

৪০ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ এ উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ অনুশীলন
‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ এ উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ অনুশীলন

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

নড়াইলে ষাঁড়ের লড়াই দেখতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের!
নড়াইলে ষাঁড়ের লড়াই দেখতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের!

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
সিলেটে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

৪৫ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

চকরিয়ায় নবজাতকের লাশ উদ্ধার
চকরিয়ায় নবজাতকের লাশ উদ্ধার

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নড়াইল জেলা ইউনিট কমান্ড বাতিলের দাবি
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নড়াইল জেলা ইউনিট কমান্ড বাতিলের দাবি

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার
সিলেটে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

৫২ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

দিনাজপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের রেল–সড়ক অবরোধ
দিনাজপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের রেল–সড়ক অবরোধ

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‌‘পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে’
‌‘পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে’

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

‘পিআর পদ্ধতির দাবি জনগণের প্রত্যাশার প্রতি মুনাফেকি’
‘পিআর পদ্ধতির দাবি জনগণের প্রত্যাশার প্রতি মুনাফেকি’

৫৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাঙামাটিতে ৪১টি মণ্ডপে উদযাপিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব
রাঙামাটিতে ৪১টি মণ্ডপে উদযাপিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চবিতে সংঘর্ষ, আশঙ্ক্ষাজনক দুইজনই এখন সুস্থ
চবিতে সংঘর্ষ, আশঙ্ক্ষাজনক দুইজনই এখন সুস্থ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল
রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন: আসিফ নজরুল

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাকসু নির্বাচন : ত্রুটিমুক্ত ওএমআর মেশিনে ভোগ গণনা চায় শিবির
রাকসু নির্বাচন : ত্রুটিমুক্ত ওএমআর মেশিনে ভোগ গণনা চায় শিবির

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জলাবদ্ধতা নিরসনে দেবহাটার বিভিন্ন খালে মৎস্য অধিদপ্তরের অভিযান
জলাবদ্ধতা নিরসনে দেবহাটার বিভিন্ন খালে মৎস্য অধিদপ্তরের অভিযান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ নিহত ৪
হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ নিহত ৪

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক
পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?
সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম
ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত
ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন
কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এবার এনবিআরের ৫৫৫ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বদলি
এবার এনবিআরের ৫৫৫ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে বদলি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?
স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ সেপ্টেম্বর)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বগুড়ায় হচ্ছে নদীবন্দর
বগুড়ায় হচ্ছে নদীবন্দর

নগর জীবন

রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি
রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

এটি সরকারি স্কুল!
এটি সরকারি স্কুল!

নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধ এবং এক-এগারোর বিস্ফোরণ
প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধ এবং এক-এগারোর বিস্ফোরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধন ফর্মুলা
চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধন ফর্মুলা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান পাঁচ নেতা
বিএনপির প্রার্থী হতে চান পাঁচ নেতা

নগর জীবন

মাঠে বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা
মাঠে বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা

নগর জীবন

বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে
বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

বেশি কষ্টে নগর দরিদ্ররা
বেশি কষ্টে নগর দরিদ্ররা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধ করা সমর্থন করি না
নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধ করা সমর্থন করি না

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যতিক্রমী ইকোসিস্টেম বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায়
ব্যতিক্রমী ইকোসিস্টেম বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায়

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা
সিলেটে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

পূর্ব-পশ্চিম

অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২
কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২

দেশগ্রাম

ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন

সম্পাদকীয়

সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে

নগর জীবন

রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ
রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ

দেশগ্রাম

এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ
এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ

নগর জীবন

আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে
আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে

নগর জীবন

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ

নগর জীবন

জাতিসংঘের সতর্কবার্তা
জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

নগর জীবন

মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা
মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা

পূর্ব-পশ্চিম

তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত
তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত

নগর জীবন

জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার

নগর জীবন

গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮
গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮

পূর্ব-পশ্চিম

দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক
দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক

নগর জীবন

শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক
শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক

নগর জীবন

দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা
দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা

দেশগ্রাম