শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪ আপডেট:

প্রবীণের সম্মান ও ত্যাগের মর্যাদা কে কবে পাবে?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
প্রবীণের সম্মান ও ত্যাগের মর্যাদা কে কবে পাবে?

মুসলিম জাহানের সবচেয়ে পূতপবিত্র মাস মাহে রমজান। পরম দয়াময় আল্লাহর কাছে কায়মনে প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন আমাদের রমজান কবুল ও মঞ্জুর করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে মুসলিম জাহানের রমজানের সিয়াম সাধনা মঞ্জুর করেন এবং সমগ্র বিশ্ববাসীকে রহমত বরকত দান করেন- আমিন।

মার্চ বাঙালি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাস। মার্চ স্বাধীনতার মাস, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাস, বাংলাদেশের জন্মের মাস, বাংলাদেশের জনকের জন্মের মাস। এককথায় এই ভূখন্ডে মার্চের চেয়ে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ আর দ্বিতীয় কোনো মাস আছে বলে আমার মনে হয় না। মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত বাঙালির চিন্তা-চেতনা-চৈতন্যে সবার আগে ছিল ফেব্রুয়ারি। ফেব্রুয়ারিই ছিল আমাদের মুক্তির মাস, রক্তদানের মাস। মুক্তিযুদ্ধের পর সেটা মার্চে গিয়ে ঠেকেছে। একসময় পাঠকদের বলেছিলাম, এ কে খন্দকার বীরউত্তমের ‘‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে” পরতে পরতে শব্দে শব্দে লিখবা মনে হয় তা আর হয়ে উঠবে না। তাই যতটা পারি এই লেখায় তুলে ধরে বাকিটা একটা বই আকারে ছাপার কথা চিন্তা করছি। কারণ সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে এত পাঠক তাগাদা করেন, পাঠকের ইচ্ছা উপেক্ষা করা যায় না বা উচিত না।

৫ মার্চ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন সমাপ্ত হয়েছে। সংসদ নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনার সমাপনী ভাষণে অনেক কিছু থাকলেও এতদিন ধরে রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ প্রস্তাবে তেমন কারও বক্তব্যে খুব একটা সারবত্তা পাওয়া যায়নি। যদিও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ একেবারে একদলীয়। মাত্র ২-৩ জন স্বতন্ত্র এমপি ছাড়া একজনও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি বা ইচ্ছার বাইরে নন। জাতীয় পার্টির ১২-১৩ জন, তারাও বোনের দয়ার দান। এই সংসদে প্রথম একজন মাননীয় সংসদ সদস্য আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী, তার জন্য নির্ধারিত সময় প্রতিবাদ করে সংসদের বাইরে থেকেছেন মানে ওয়াকআউট করেছেন। কাজটা অত্যন্ত ভালো করেছেন। তিনি একজন প্রবীণ নেতা। আমরা অনেকেই তার হাত ধরে তার প্রেরণায় রাজনীতিতে এসেছিলাম। আমি অকপটে স্বীকার করি, তাকে না পেলে গরুর রাখাল অথবা রিকশাচালকের বেশি হতে পারতাম না। তার রাজনীতি অনুসরণ অনুকরণ করে বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর কারণেই দেশমাতৃকাকে হৃদয়ে ধারণ করতে এবং মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম। নিজের জন্য নয়, মানুষের জন্যই যে আমাদের জন্ম সেটা উপলব্ধি করেছিলাম। তার সঙ্গে আমার অনেক মতের পথের চিন্তার দূরত্ব ছিল, এখনো আছে। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে, পিতার মতো বড় ভাই হিসেবে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় কোনো খাদ নেই। আমি গুরুকে গুরুই মনে করি। গুরুকে কখনো গরু ভাবি না। আমি ঘন ঘন মত, পথ বদলাতে পারি না। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আমি অবুঝ হিসেবে জন্ম দেই। বিশেষ করে মানুষ। মুখে তুলে না দিলে অবুঝ শিশু মায়ের দুধ পান করতে পারে না। অনেককে অল্প আয়ুতে নিয়ে যাই, আবার অনেককে লম্বা জীবন দেই। বয়সকালে উল্টে দেই। একসময় তারা শিশুর মতো অবুঝ হয়ে যায়। নিজে থেকে কিছুই করতে পারে না।’ আমাদের সবার ক্ষেত্রেই তেমনি। লতিফ সিদ্দিকীর ৮৪-৮৫ বছর বয়স, আমার ৭৮। আমি তো আর ২৫ বছরের যুবক হতে পারব না, ৫০ কিলোমিটার হাঁটতে পারব না। আমাদের যদি নবীনরা পদে পদে অপমান অপদস্ত করে, শারীরিকভাবে হয়তো আমরা তেমন এসবের প্রতিকারও করতে পারব না। মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা লতিফ সিদ্দিকীকে সেদিন সংসদে ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল। তিনি খুশি হতে পারেননি, ওয়াকআউট করেছেন। কাজটা তিনি অত্যন্ত ভালো করেছেন। কিন্তু ১০ মিনিট সময় দেওয়ার জন্য যে তিনি কথা না বলে মনঃক্ষুণœ হয়ে ওই ১০ মিনিটের জন্য সংসদের কার্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন কথাটা স্পষ্ট হয়নি। আর এর আগেও তিনি অনেকবার সংসদে অংশ নিতে পারতেন। যেমন কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকান্ডে কত মানুষ পুড়ে ছারখার হয়ে গেল তাদের নিয়ে, আরও অনেকগুলো ঘটনা একের পর এক ঘটে গেছে। প্রবীণ নেতা হিসেবে সেসবের ওপর তিনি পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়াতে পারতেন। স্পিকার সময় না দিলে সে ছিল ভিন্নকথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি তার সারাজীবনের চেতনার ওপর অবিচার করেছেন। বয়স হয়েছে তাই পুরনো কথাই বারবার বলতে ইচ্ছা করে। ’৭৩ সালের ঘটনা। তখন তেজগাঁওয়ে সংসদ ভবনে ২-৪ বার গেছি। বঙ্গবন্ধু সন্তানের মতো দেখতেন এটা তো সবারই জানা। এক দিন দর্শক গ্যালারিতে বসেছিলাম। বঙ্গবন্ধু থেকে কত আর হবে ১৫-২০ ফুট দূরে। অন্যদিকে এক দলের এক নেতা সুরঞ্জিত সেন। সংসদ চলছিল। তিনি বারবার কী যেন বলতে গিয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন। কিন্তু স্পিকার সাড়া দিচ্ছিলেন না। মনে হয় ১০-১২ বার দৃষ্টি আকর্ষণ এবং চেঁচামেচি করলে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। তিনি মাননীয় স্পিকারকে বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য কী বলতে চান হাউসকে শুনতে দিন।’ সুরঞ্জিত সেনকে সময় দেওয়া হয়। সবারই জানা, সুরঞ্জিত সেন তুখোড় বক্তা ছিলেন। তিনি প্রথমেই হাউসকে সম্বোধন করে বলেন, ‘আমি একজন একেবারে ক্ষুদ্র সংসদ সদস্য। আমার বড় দল নেই, শক্তি নেই। আমি আজকে অসংখ্যবার মাননীয় স্পিকার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। দয়া করে সংসদ নেতা আপনাকে না বললে আমি হয়তো দাঁড়াতেও পারতাম না। আমি যে বারবার সময় চেয়ে ব্যর্থ হয়ে অসহায়ের মতো বসে ছিলাম, যদি আজকের হাউসের নেতা দেশের নেতা আমার জায়গায় হতেন তিনি বারবার আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যর্থ হতেন আর আমি যদি সংসদের নেতার আসনে থাকতে পারতাম তখন আমাদের এই মহান নেতার মুখটা কেমন বিবর্ণ হতো আমি যদি দেখতে পেতাম তাহলে আমার হৃদয় মন জুড়িয়ে যেত।’ সুরঞ্জিত সেনের কথা শেষ হলে সংসদ নেতা আমাদের পিতা মাননীয় স্পিকারকে বলেছিলেন, ‘শ্রী সুরঞ্জিত সেন এক দলের একজন হোক তাতে কী যায় আসে। তাকে যেন পরিপূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হয়। তিনি যতবার কথা বলতে চাইবেন কার্যপ্রণালি বিধির মধ্যে তাকে সুযোগ দিতে হবে।’ মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে কি তেমন হতে পারত না? বিএনপি আমলে একসময় ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার স্পিকার হিসেবে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আমাকে সময় দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্য আপনাকে ২০ মিনিট সময় দেওয়া হলো। এরপরও আপনার যতটুকু সময় দরকার আপনি বলবেন। সেটা যত লম্বা সময়ই হোক আমার বিবেচনায় তাকে ২০ মিনিটই ধরা হবে। আপনি একজন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। আপনার মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা অনেক বড় অনেক গৌরবের।’ এমনটা কিন্তু মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রেও হতে পারত। বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের কথা শুনেছি। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পঙ্কজ দেবনাথের বক্তব্য শুনলাম। তিনি বলেছেন, ‘স্পিকার হয়তো মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীকে আবার সময় দেবেন।’ না, দেননি। ডিপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু তখন মাননীয় স্পিকারের আসনে ছিলেন। মাননীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর যিনি ওস্তাদ তিনি এখনো লতিফ সিদ্দিকীকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেন। প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, অনেকেই মাননীয় সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী। প্রবীণ হিসেবে তাকে সম্মান দিলে সেটা সংসদের সম্মান হতো, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর সম্মান হতো। এসব ইতিহাসের পাতায় একসময় লিপিবদ্ধ হবে। তাই যা চোখের সামনে পড়ে তা না বলে পারি না। আমাদের টাঙ্গাইলের মেয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপার বক্তব্য বেশ ভালো লেগেছে। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী চট্টগ্রামের বিখ্যাত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বক্তব্য আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছে। চরম দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিরোধ যুদ্ধে মহিউদ্দিন চৌধুরী আমার সঙ্গে ছিলেন। একসময় জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের তুলে দেওয়া হয় তখন মহিউদ্দিন চৌধুরীর বদলে আমি আমার ছোট ভাই বাবুল সিদ্দিকীর তালিকা বদলে দিয়েছিলাম। যা নিয়ে পরিবারে অনেক গালমন্দ শুনতে হয়েছে। কিন্তু এখনো মনে করি আমি সেদিন কাজটি সঠিক করেছিলাম।

৯ মার্চ বেগম রওশন এরশাদের সম্মেলনে গিয়েছিলাম। স্বৈরাচার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আমি খুব একটা পছন্দ করতাম না। এখনো স্বৈরাচার অপছন্দ করি। সারা পৃথিবীর কথা বলতে পারব না। এশিয়া মহাদেশে সেনা শাসক হিসেবে রাজনীতিতে আর কেউ ফিরে আসতে পারে নাই, টিকে থাকে নাই। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই একমাত্র ব্যক্তি যার লক্ষ কোটি দোষ থাকার পরও রাজনীতিতে জনগণের প্রিয় মানুষ হয়েছিলেন। প্রথম জেল থেকে পাঁচ আসনে নির্বাচন করেছিলেন, জয়ী হয়েছিলেন। তার ছেড়ে দেওয়া চার আসনে আমরা উপনির্বাচন করতে গিয়েছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনা রংপুরে ছিলেন চার দিন, আমি ছিলাম ২০ দিন। চারটি আসনেই জাতীয় পার্টির লাঙ্গল জিতেছিল। লাঙ্গল যেখানে ১ লাখ ভোট পেয়েছে, সেখানে নৌকা পেয়েছিল ৬০-৭০ হাজার। যেখানে সোয়া লাখ, সেখানে নৌকা তার ২০-২৫ হাজার পেছনে বা নিচে ছিল। ছেড়ে দেওয়া চারটিতেই লাঙ্গল আবার জিতেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার পরও ধানের শীষ ভোট পেয়েছিল সবকটাতে ৩-৪ হাজারের নিচে। দ্বিতীয়বার পাঁচ আসনে, তৃতীয়বার তিন আসনে। অন্যান্যবার নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করার পরও তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এসব নানা কারণে তিনি আমার কাছে অনেক সম্মানের অনেক প্রিয়। নেতৃত্ব কর্তৃত্বে বোনের ওপর দিয়ে বলব না। কিন্তু তার পরই আমার হৃদয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্থান। বেগম রওশন এরশাদ ফোন করেছিলেন। তাই তাকে সম্মান জানাতে সম্মেলনে গিয়েছিলাম। বিপুল লোকসমাগম হয়েছিল। সাধারণ নেতা-কর্মীদের আমার খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু নেতৃত্বের মধ্যে গণচিন্তা খুব একটা দেখিনি। জনাব কাজী ফিরোজ রশীদ আমার খুবই প্রিয় পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ, অন্যদিকে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। আবু হোসেন বাবলা, তিনি আমাকে কতটা জানেন চিনেন জানি না। আমি তাকে খুবই সম্মান করি। আরও অন্যান্যদেরও। দেখলাম শেখ শহীদকে। বড় ভালো বলেছেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কর্মকান্ড তিনিই তুলে ধরেছেন সব থেকে ভালোভাবে। কিন্তু দ্বিধা ত্রিধা জাতীয় পার্টি দেশবাসীর স্বপ্ন নয়। ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি দেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি সম্ভাবনা। জাতীয় পার্টি ইতোমধ্যে ৫-৭ ভাগ না হলে আওয়ামী লীগ বিএনপির বাইরে তারা একটা জাতীয় চেতনার সৃষ্টি করতে পারতেন। বটগাছের নিচে যে অন্য গাছ হয় না এটা স্বাভাবিক নিয়মেই বোঝা যায়। বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টি আর বেগম রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টি একজন আরেকজনকে তীব্র গালাগাল করলেই কোনো ফল হবে আমার তেমন মনে হয়নি। মুখপোড়া মানুষ হিসেবে কথাটি সম্মেলনে বলেছি। মনে হয়, শতকরা ৯০ জন হাত তুলে করতালি দিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টির প্রত্যাশাকে সমর্থন করেছেন। বেগম রওশন এরশাদকেও সে কথাটি বলেছি। আর কাউকে না বললেও প্রবীণ নেতা আমার পরম আত্মীয় কাজী ফিরোজ রশীদের কাছেও সবাই মিলে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করতে অনুরোধ করেছি। এমন একটি সুগঠিত সুশৃঙ্খল দল হলে, রাজনীতি হলে, সেটা যেমন দেশের জন্য মঙ্গল তেমনি সরকারের জন্যও মঙ্গল। জানি না, আমাদের কথা রাজনীতিকরা বিবেচনায় নেবেন কি না। বিশেষ করে আমার মায়ের মতো বোন এ ব্যাপারে মাথা ঘামাবেন কি না।

সেদিন ২৯ ফেব্রুয়ারি। ২৯ ফেব্রুয়ারি চার বছরে একবার আসে। গিয়েছিলাম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ডা. মো. রসুল আমিন শিপনের ঘরে। রসুল আমিন অসাধারণ মানুষ। মনে হয় সহযোগী অধ্যাপক। জীবনে প্রথম তিনি আমার এনজিওগ্রাম করেছিলেন। সবই নাকি ভালো আছে। এনজিওগ্রামের ফুটোর দাগ নেই। কিন্তু তুলো দিয়ে যেখানে ট্যাপ লাগিয়ে ছিলেন সেখানে চামড়া ছিঁড়ে এখনো দাগ হয়ে আছে। তিনি ইসিজি, ইকো করিয়েছেন। বড় ভালো লেগেছে। বিশেষায়িত ভবনে যন্ত্রপাতি অসাধারণ। সেখান থেকে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের কামরায়। মাঝেসাজে সেখানে যাই। আগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলকে বঙ্গবন্ধুর মনে হতো না। আমাদের প্রিয় প্রাণ গোপাল চলে যাওয়ার পর যারাই এসেছেন তারাই তেমন কিছু করেননি। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। দালানকোঠা, ঘরদুয়ার, যন্ত্রপাতি, পয়পরিষ্কার এবং চিকিৎসা এই ভদ্রলোক আসার পর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মনে হয় চারদিকে বঙ্গবন্ধু ঘুরেফিরে রেড়াচ্ছেন আর আমাদের নানাভাবে সতর্ক করছেন। এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে চারদিকে শুধু বঙ্গবন্ধুকেই দেখা যায়। মনে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর প্রেমে মাতোয়ারা ভদ্রলোক যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন স্বপদে থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন যুদ্ধ করে যাবেন। কিন্তু না, সেদিন শুনলাম তার চাকরি শেষ। জানি এমনই হয়। চাটু মারা লোকের তো শেষ নেই। কারা এসব করে জানি না। বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দিলে শাস্তি বা তিরস্কার আর তার পিন্ডি চটকালে পুরস্কার। এইতো এখন চিরাচরিত নিয়ম। রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রপতি রক্ষার দায়িত্ব ছিল কর্নেল জামিলের। ১৪ তারিখ রাতে নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। ১৫ তারিখ সকালে একা একটা লাল জামা গায়ে দুই দরজার গাড়ি নিয়ে আসতে গিয়ে কলাবাগানে গুলি খেয়ে মরেছেন। একটা রিভলবারও কাছে ছিল না। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে যার মরণোত্তর শাস্তি হওয়ার কথা তার পিতার শহীদ পরিবারের সঙ্গে ছবি দেখে হজম করার চেষ্টা করি। কিন্তু কেন যেন বদহজম হয়। এইতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জে মৃণালকে হারতে দেখলাম। ’৯০-এ যখন দেশে ফিরি তখন আবু জাহিদ সেন্টু, মতিউর রহমান সেন্টু, মৃণাল কান্তি দাস, মাহমুদ আনাম সেন্টু, আরিফ আহমেদ দুলাল, বিজন কুমার সাহা, আইনুল, আবদুস সালাম, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পল্টু, নজীব এদের ধানমন্ডি ৩২-এ বোনের ছায়ার মতো দেখেছি। সবাই রাজনৈতিক না। তাই রাজনৈতিক মাঠে অনেকেই এগোতে পারে নাই। কিন্তু মৃণাল কান্তি দাস অনেক দূর এগিয়েছে। একজন অসাম্প্রদায়িক কর্মী। শুনেছি জনাব মহিউদ্দিনের ছেলে তাকে পরাজিত করেছে। দলীয় প্রার্থী হিসেবে যদি মৃণাল কান্তি সত্যিকার ভোটে পরাজিত হয় আমারই তো সব থেকে বেশি খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু তা নয়। জনাব মহিউদ্দিন পুলিশের এসপি পদমর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষী প্রধান ছিলেন। কই ’৭৫-এর ১৪-১৫ আগস্ট বা তার পরও কোনো দিন তাকে দেখিনি। আমরা এত কষ্ট করলাম। একদিনের জন্য তার নামগন্ধ শুনলাম না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় কয়েক শ লোক নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কামরা দখল এবং ছেলের পক্ষে ফলাফল নিয়ে আসা এতো একেবারে দেউলিয়াপনার শামিল। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার দিন ৫০ জন লোক নিয়ে অথবা ৫০টা অস্ত্র নিয়েও যদি প্রতিবাদ করতেন আমি তার চির গোলাম হয়ে থাকতাম। কিন্তু কেন যেন সব ক্ষেত্রে এই ধরনের মারাত্মক অসংগতি। কীভাবে এসব অসংগতি দূর করব কিছুই বুঝতে পারছি না।

এসব অসংগতি এখনো দূর করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ কী যে হবে কিছুই বুঝতে পারছি না। সরকারি দলের ফ্রিস্টাইল কারবারে একসময়ের সুদৃঢ় সামাজিকতা ভেঙে যাচ্ছে। সরকারি লোকজনের সে যে কী বাড়ন্ত অবস্থা ভাবা যায় না। সেদিন আমার সখীপুরে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খুবই ছোট্ট কারণে এক মহিলা তার বাড়িতে বিচার চাইতে গেলে তাকে নিদারুণভাবে অপমান অপদস্ত করেছেন। কয়েকজনে মিলে মারধর করেছে। বেশ কিছুদিন সে হাসপাতালে পড়ে আছে। টাকা খেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কোর্টে মামলা পাঠিয়ে দিয়েছে। লাথি-গুঁতা চড়থাপ্পর মারলেও মহিলার গায়ে নির্যাতনের নানা চিহ্ন সরকারি হাসপাতাল স্বীকার করলেও সেটা নাকি নারী নির্যাতন হয়নি, সম্মানহানি হয়নি। আমার চোখে কোনো মহিলার শরীরে স্পর্শ করা তো দূরের কথা তার শাড়ির আঁচল বা ওড়না স্পর্শ করা হত্যার সমান অপরাধ। টাকার সে যে কী ক্ষমতা। সখীপুরের কাউকে আমি শত্রু মনে করি না। কিন্ত যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও একজন নারী অপমানিত হয়নি, সেখানে বেঁচে থাকতেই নারীর অপমানের প্রতিকার করতে না পারলে বেঁচে থেকে লাভ কী? তাই স্মারকলিপি দিয়েছি যথাযথ বিচারের জন্য। দেখা যাক কী হয়। না হলে রাস্তায় বসার সুযোগ তো আছেই। আর কিছু না হোক থানার সামনে বসে যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ ততক্ষণ তো থাকতে পারি।

 

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
গুমের দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর
গুমের দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর

৫৭ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

মার্কিন আপত্তি সত্ত্বেও জি-২০ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র গৃহীত
মার্কিন আপত্তি সত্ত্বেও জি-২০ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র গৃহীত

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মীয় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ ছাড়া রাষ্ট্র সমাজ টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্মীয় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ ছাড়া রাষ্ট্র সমাজ টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা

৬ মিনিট আগে | জাতীয়

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শপিং কমপ্লেক্সে অটোরিকশা, আহত ২
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শপিং কমপ্লেক্সে অটোরিকশা, আহত ২

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চুয়াডাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু, আহত ২
চুয়াডাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু, আহত ২

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১৪ মিনিট আগে | অর্থনীতি

৪৯৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, ৩৪২ জনকে হত্যা
৪৯৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, ৩৪২ জনকে হত্যা

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াতের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: ফারুক
জামায়াতের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: ফারুক

১৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

বগুড়ায় হৃদরোগীর চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান
বগুড়ায় হৃদরোগীর চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা দিলেন তারেক রহমান

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা চূড়ান্ত প্রস্তাব নয়!
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা চূড়ান্ত প্রস্তাব নয়!

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১১
পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১১

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৪০ মিনিট আগে | রাজনীতি

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আফ্রিকাকে চরম মূল্য দিতে হবে: গুতেরেস
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আফ্রিকাকে চরম মূল্য দিতে হবে: গুতেরেস

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প সতর্কতা : সিলেটে বন্ধ হলো গ্যাস কূপ খনন
ভূমিকম্প সতর্কতা : সিলেটে বন্ধ হলো গ্যাস কূপ খনন

৫১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে নারী চিকিৎসকের মৃত্যু
কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে নারী চিকিৎসকের মৃত্যু

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

৫৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল
পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত
ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা
কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম
স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন
খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ
কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা
দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা