ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে দুই যুবকের পৈশাচিক হত্যাকান্ডের পর হঠাৎ করে কবি আল মাহমুদের ‘কদর রাত্রির প্রার্থনা’ কবিতার কথা মনে পড়ে গেল। সোনালি কাবিনের কবি আল মাহমুদ বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন। সত্তর দশকে বামঘেঁষা যুবকদের কাছে সোনালি কাবিন ছিল অবশ্য পাঠ্য। এ কাব্যগ্রন্থের ‘আমাদের ধর্ম হোক ফসলের সুষম বণ্টন’ পঙ্ক্তিটি সে সময়কার বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রীদের কাছে মন্ত্র হিসেবে পরিগণিত হতো। বলা হয়, মানুষ মাত্রই পরিবর্তনশীল। আল মাহমুদও নাকি পাল্টে গিয়েছিলেন। আমাদের কারও কারও কাছে তিনি সমালোচনার পাত্রেও পরিণত হন। তবে কবি হিসেবে আল মাহমুদের শ্রেষ্ঠত্ব কখনো প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কও ছিল অটুট। মগবাজারের কাজির অফিস লেনে বাসা নেওয়ার পর আল মাহমুদের নিউ এলিফ্যান্ট রোডের ফ্ল্যাটে প্রায়ই যাওয়া হতো।
কবি আল মাহমুদ ‘কদর রাত্রির প্রার্থনা’ নামের বহুল সমালোচিত এবং প্রশংসিত কবিতায় লিখেন, ‘জানতে সাধ জাগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি ডাকাতদের গ্রাম?/ বাল্যে যেমন কোনো গাঁয়ের পাশ দিয়ে নাও বেয়ে ফিরতে গেলে/ মুরুব্বীরা বলতেন ও পথে যেও না অমুকটা হলো ডাকাতদের গ্রাম।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের গর্বের ধন। বলা যায় বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ পূর্ব বাংলা সফরকালে তাঁকে দেওয়া সংবর্ধনায় বলেছিলেন ‘উর্দু- উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।’ তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই না না ধ্বনিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে বুকের রক্ত ঢেলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। তারপর থেকে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। ’৬৯-এর গণ অভ্যুত্থানের মুখে স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে বাধ্য হন। সেই গণ অভ্যুত্থানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদানও এগিয়ে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কাল রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাতের আঁধারে মেশিনগান, রিকোয়েলস রাইফেল ও ট্যাংক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। বিপুলসংখ্যক ছাত্র নিহত হয় সে হামলায়। আহত ও আটক অনেক ছাত্রকে জীবন্ত কবরও দেওয়া হয়।
১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল দেশ ও জাতির কাছে আলোকবর্তিকা। বিপন্ন মানুষ ছাত্রদের কাছে ছুটে যেত নিরাপত্তা পেতে। যে কোনো অন্যায়ের প্রতিকার পেতে। কিন্তু স্বাধীনতার পর প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে পরিচিত এ বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘ডাকাতদের গ্রাম’ বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৯৭৩ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি ছাড়া দেশের প্রতিটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির কম-বেশি অভিযোগ রয়েছে। এ ভোট ডাকাতির কালচার শুরু হয় ১৯৭৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারপন্থি ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন জোট বেঁধে অংশ নেয়। উদ্দেশ্য ছিল জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগকে ঠেকানো। দিনভর শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়। কিন্তু ভোট গণনার আগেই শুরু হয় ব্যালট বাক্স ছিনতাই।
বলা হয়ে থাকে, ডাকসু নির্বাচনে জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগের নিরঙ্কুশ জয় ঠেকাতে দুর্বৃত্তরা ব্যালট বাক্স ছিনতাইসহ সন্ত্রাসের পথ বেছে নেয়। আগের বছর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর গড়া ছাত্রলীগ আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়। ৮০ শতাংশ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী অবস্থান নেয় বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রপন্থি অংশে। আর ২০ শতাংশ অংশ নেন মুজিববাদী ছাত্রলীগের ছায়াতলে। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুকে প্রধান অতিথি করা হয়। তিনি দুই গ্রুপকে জানিয়ে দেন দ্বিধাবিভক্ত কোনো গ্রুপের সম্মেলনে তিনি যাবেন না। তবে বঙ্গবন্ধু শেষ অবদি তার প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকেননি শেখ মণি গহরহদের চাপে। যে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা তিনি তার বলাকা ভবনের প্রধান কার্যালয়টিও চলে যায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুবাদে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রী অংশের দখলে।
যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সারা দেশের জন্য আলোকবর্তিকা, সেখানে আরম্ভ হয় হানাহানির চর্চা। ১৯৭৪ সালে মুজিববাদী ছাত্রলীগের অন্তর্দ্বন্দ্বে ঘটে ৭ খুনের ঘটনা। তারপর থেকে এ পর্যন্ত শ খানেক খুনের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কারও কারও মতে, এ সংখ্য্যা আরও বেশি। প্রকৃত তথ্য কোনোদিনই উদঘাটিত হবে না। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে তোফাজ্জল নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবককে ফজলুল হক হলে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ডাকাতদের গ্রাম বলায় কবি আল মাহমুদের প্রতি যারা রুষ্ট ছিলেন তাদেরও হয়তো লজ্জা পেতে হয়েছে।
তোফাজ্জল হোসেন এক হতভাগা যুবক। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তিনি পথে পথে ঘুরতেন। সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী বরিশালের বিএম কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষে বঙ্গবন্ধু ল কলেজে পড়াশোনাও করেছেন। বলা হচ্ছে, এক মেয়ের প্রেমে জড়িয়ে পড়ে তোফাজ্জল। প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়াকে তিনি মেনে নিতে পারেননি। সেই সময় থেকে তার মধ্যে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। তোফাজ্জলের জীবনের এমন এক দুর্দিনে তার বাবা মারা যায় ৮ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায়। সেই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতে ৫ বছর আগে লিভার ক্যান্সারে মারা যায় মা। তারপর ভারসাম্যহীন তোফাজ্জলকে দেখাশোনা করতেন বড় ভাই- যিনি ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। গত বছর রোজায় তিনিও মারা যান ক্যান্সারে। ভাই মারা যাওয়ার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হয়ে দাঁড়ায় তোফাজ্জলের বিচরণ ভূমি। তিনি বাংলায় মাস্টার্স করলেও কখনো আল মাহমুদের ‘কদর রাত্রীর প্রার্থনা’ কবিতাটি হয়তো পড়েননি। আর পড়া হলেও মানসিক ভারসাম্য হারানোর কারণে হয়তো তার মনে ছিল না- ডাকাতদের গ্রাম মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্যও নিরাপদ নয়। রক্তের নেশা যাদের, তারা বিনা কারণেই ঝাঁপিয়ে পড়ে যার তার ওপর। একজন মানুষের মতো হাত পা মাথা সবকিছু থাকলেও তারা মানুষ না। কারণ তারা নিজেদের বিবেককে বিক্রি করে দিয়েছে অশুভ শক্তির কাছে। ড্রাকুলার মতো রক্তের পিপাসায় ভোগে তারা।
তোফাজ্জল ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে বুধবার রাতে গিয়েছিল ফজলুল হক হলে। যে যাওয়াই তার কাল হয়ে দাঁড়ায়। মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটেছিল ওই হলে কয়েক দিন আগে। চোর সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তার ওপর চলে পৈশাচিক নির্যাতন। নির্যাতনকারীর সংখ্যা ছিল অন্তত ৩০ জন। যাদের মধ্যে মোহাম্মদ সুমন, ওয়াজিবুল, ফিরোজ ও জালাল নামের চারজন নব্য ড্রাকুলার রক্ত পিপাসা পেয়ে বসেছিল। গেস্ট রুমে বহিরাগত এক যুবকের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে শুনে আবাসিক শিক্ষক ছুটে এলেও তিনি ছাত্র নামধারীদের নিবৃত্ত করতে পারেননি।
তোফাজ্জল একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। ব্যক্তিগত জীবনের বঞ্চনা ও শোক তাকে ভারসাম্যহীন করে তুলেছিল। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বুদ্ধি প্রতিবন্ধী’ ডাকাতরা ছাত্র হিসেবে ঠাঁই পেল কীভাবে? দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় দেশবাসীর ট্যাক্সের টাকায়। এ জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী- সবারই দায় দেশের ১৮ কোটি মানুষের ওপর। কিন্তু এ দায় পূরণে ঘাটতি চলছে যুগের পর যুগ ধরে। সেই পাকিস্তান আমলে আইয়ুব-মোনায়েমের ভাড়াটিয়া ছাত্র সংগঠন এনএসএফের দুর্বৃত্তায়নের শিকার হয়েছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীনতার পর যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে তাদের ছাত্র সংগঠনের দুর্বিনীত সদস্যদের হাতে জিম্মি হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিগত দেড় যুগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিণত হয়েছিল একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের ‘ডাকাতদের গ্রাম’ হিসেবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের ফলে সেই ডাকাতদের হাত থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মুক্ত হলেও নতুন ডাকাতরা যে শূন্যস্থান পূরণে থাবা বিস্তারের চেষ্টা করছে ঢাবি ও জাবির দুই হত্যাকান্ড তারই প্রমাণ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ‘মব জাস্টিস’-এ জড়িত অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য দলীয় রাজনীতি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা আশা করব, ডাকাতদের গ্রাম এ অভিধা মুছে ফেলতে ‘মব জাস্টিসে’ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তোফাজ্জল হত্যার অভিযোগে ছয়জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ ৮ শিক্ষার্থী নামধারীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছেন। আমরা চাই তোফাজ্জল হত্যায় জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক সাজা হোক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কোনো শিক্ষাঙ্গন যাতে ডাকাতদের গ্রাম না হয়ে ওঠে তার নিশ্চয়তা বিধানে এ বিষয়ে সরকার ও প্রশাসনকে কড়া হতে হবে।
পাদটীকা : আমার এক পাঠক মিরপুরের হাবিবুর রহমান শনিবার ফোন করে বলেছিলেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার দিন দুই পক্ষের শক্তি পরীক্ষা নিয়ে লিখতে। সবিনয়ে এ বিষয়ে অপারগতা প্রকাশও করেছিলাম। তবে একই দিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক, আনোয়ার হোসাইন মঞ্জুর ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট হুবহু তুলে ধরার লোভ সংবরণ করতে পারছি না। তবে তার দেওয়া তিনটি ছবি বাদ রেখে।
‘বায়তুল মোকাররমে জিহাদ চর্চা
মুসলমানরা সবসময় জিহাদের জজবা লইয়া থাকে। কারণ “ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হার কারবালা কে বাদ।” গতকাল শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জিহাদের ছোটখাটো ‘তরবিয়ত’ (প্রশিক্ষণ) অনুষ্ঠিত হইয়াছে। জঙ্গে কারবালায় যেমন উভয় পক্ষই ইসলামের তরতাজা যুগের মুসলমান ছিল। রসুল (সা.) এবং চার খলিফার নিঃশ্বাসের সুবাস তখনো আরব জগতের ওপর দিয়া প্রবাহিত হইত। এখন আর সেই সুবাসের ছিটাফোঁটাও কাহারও নাসিকায় প্রবিষ্ট হয় না। মাঝখানে ১৪০০ বছর কাটিয়া গিয়াছে।
অতএব মুসলমানরা যেখানে সুযোগ পায়, জং ধরা তরবারি শান দিয়া জঙ্গের জিকির (অনুশীলন) করে। কারণ এখন ভাঙা কেল্লায় নিশান উড়াইবার জন্য নয়া জামানার দাওয়াত আসিয়াছে। মর্দে মুমিনরা শিরে তাজ বাঁধিয়া “বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনি” শপথে প্রস্তুত।
সকল সংবাদপত্র বায়তুল মোকাররম সমজিদে দীর্ঘ পিরহান পরিহিত, শিরে টুপি শোভিত মুসল্লিরা জুমার খুতবা ও নামাজ ত্যাগ করিয়া জিহাদি জজবা প্রদর্শনের সচিত্র সংবাদ পরিবেশন করিয়াছে। আগ্রহীরা সেই ‘জঙ্গনামা’ পাঠ করিলেই বুঝিতে পারিবেন। আমি কেবল তিনটি চিত্র পরিবেশন করিলাম যে, মহান আল্লাহর একমাত্র মনোনীত দ্বীন ইসলামের পবিত্রতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য উম্মতে মুহাম্মদীরা কীভাবে পবিত্র দেশের পবিত্র মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করিবার উদ্দেশে তাদের পবিত্র পাদুকা বর্ষণ এবং ধাওয়াধাওয়ি করিতেছে। হাতে নাঙা তরবারি থাকিলে দৃশ্যটি আরও দর্শনীয় হইতে পারিত।
সুবহান আল্লাহ।’
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক
ইমেইল : [email protected]