বড্ড দেরিতে হলেও অবশেষে ঋণ পুনঃ তফসিলের নীতিমালা জারি করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটা অনেক ব্যবসায়ীকেই ঋণখেলাপির নেতিবাচক তকমা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক কমিটি গঠন করে ঋণ পুনঃ তফসিলের পুরো ক্ষমতা ব্যাংকের ওপর ছেড়ে দিলে আরও ভালো হতো। পরিশোধের শর্ত ও মেয়াদ গ্রাহক-ব্যাংকার সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ধারণের সুযোগ দেওয়াই উচিত। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ১০ থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ১৫ বছর করে দিলে শিল্পবাণিজ্য এবং ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য অধিক ইতিবাচক হতো বলে মনে করে অবহিত মহল। মঙ্গলবার এক সার্কুলার জারি করে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতা ব্যবসায়ীদের ঋণ পুনঃ তফসিল, পুনর্গঠন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিয়োগহারজনিত ক্ষতি এবং এককালীন ঋণ পরিশোধে এক্সিট সুবিধা নেওয়ার সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছর আগস্টে স্বৈরসরকার পতনের পর, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে, নানা কারণে সাভার, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে প্রায় ৪০০ শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তাতে কাজ হারিয়েছেন প্রায় সোয়া লাখ শ্রমিক। নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির বর্তমান সময়ে পরিবারগুলোতে নেমে এসেছে দুর্বিষহ দুর্ভোগের দিনযাপন। এসব শিল্পমালিকের ভাষ্য-ব্যাংকঋণ সুদে কড়াকড়ি, শ্রমিক অসন্তোষসহ বিভিন্ন কারণে দেশে শিল্পকারখানা বন্ধ হচ্ছে। চরম সংকট, শ্রমিক অসন্তোষ, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ইত্যাদি কারণেই তারা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হন। যা হোক এমন একটা হতাশার মঞ্চে দাঁড়িয়েও, কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতা ব্যবসায়ীদের জন্য উল্লিখিত ইতিবাচক সিদ্ধান্তটা নিল; এটা নতুন করে আশা জাগাল। এখন ঋণ পুনঃ তফসিলের বিষয়টা ব্যাংকই দেখবে। সারা বিশ্বে এটাই নিয়ম। সংশ্লিষ্টদের মতে, সিদ্ধান্তটা নেওয়া হলো অর্থনীতির ভয়াবহ ক্ষতি হওয়ার পর। এক বছর আগে এ সিদ্ধান্ত হলে জাতীয় অর্থনীতির ক্ষতি অনেকটাই কম হতো। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো গতিশীলভাবে চালু থাকত। বেকারত্বের বোঝা এতটা ভারী হতো না। এ বিষয়ে শুভ সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটাই দেরি হয়ে গেল। তারপরও বলতে হয়, সেই বহুল উচ্চারিত প্রবচন, ‘না হওয়ার চেয়ে দেরিতে হলেও ভালো।’ এখন ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের উচিত, ঝাঁপিয়ে পড়ে দ্রুত সুযোগটা গ্রহণ ও তার সর্বোত্তম ব্যবহার করা। স্থবিরতার ‘শীতনিদ্রা’ ভেঙে পূর্ণোদ্যমে সব শিল্পকারখানা চালু করে, বিপুল বিক্রমে উৎপাদনে যাওয়া। তাদের নব উদ্যমে গতিশীল হোক শিল্পোৎপাদন। সমৃদ্ধ হোক জাতীয় অর্থনীতি এবং লাখো কর্মহীন জনশক্তি কাজ ফিরে পেয়ে নিশ্চিত করুক পরিবার-পরিজনের ন্যূনতম আহার-বাসস্থান। স্বস্তির আবহ সৃষ্টি হোক সমাজে।
শিরোনাম
- ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুদের নিয়ে স্বপ্নের মেলা অনুষ্ঠিত
- ছাত্র প্রতিনিধিদের সরকারে আসাটা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয় না : সালাহউদ্দিন
- যারা নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চাচ্ছে, তারা অশুভ শক্তি : আযম খান
- মেহেরপুর সীমান্তে গাঁজাসহ আটক ৩
- যুক্তরাষ্ট্রের ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত আহ্বান ভেনিজুয়েলার
- গাজা সিটিতে ‘নজিরবিহীন শক্তি’ প্রয়োগের হুমকি ইসরায়েলের
- হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন এরদোয়ান
- পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা
- টিকটক ইস্যুতে অগ্রগতির দাবি ট্রাম্পের, চীন সফরের ঘোষণা
- নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে উচ্চ সতর্কতা জারি কানাডার
- ভারত হামলা করলে আমাদের পাশে থাকবে সৌদি আরব : পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
- ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন
- বাংলাদেশসহ ৯ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরব আমিরাতের
- ইসরায়েলকে আরও ৬৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প
- অবশেষে সেই ব্রিটিশ দম্পতিকে মুক্তি দিল তালেবান
- ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যেখানে ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী
- লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২
- এবার এস্তোনিয়ায় ঢুকল রাশিয়ার তিন যুদ্ধবিমান
- জয়পুরহাটে নিখোঁজের তিন দিন পর শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার
বিলম্বিত সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি
পুষিয়ে নিতে হবে নব উদ্যমে
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর