শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

এই সম্মান উৎসাহ ও দায়িত্ব বাড়িয়ে দিল

সেরাদের অনুভূতি

এই সম্মান উৎসাহ ও দায়িত্ব বাড়িয়ে দিল

২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীরা এই সম্মাননা পেয়ে আনন্দিত ও অভিভূত। কয়েকজন সেরা তারকার অনুভূতির কথা এখানে তুলে ধরেছেন-  শোবিজ প্রতিবেদক

 

রুনা লায়লা

গানের সুরকার হিসেবে এটি আমার প্রথম কাজ। আর এ কাজের জন্য এই প্রাপ্তি অনেক আনন্দের। এ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন আঁখি আলমগীর। আর একই গানের জন্য আঁখি আলমগীর ও আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলাম। এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের।

 

এ টি এম শামসুজ্জামান

মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি শোকরিয়া জানাই। আমি তো প্রায় চলেই গিয়েছিলাম। সৃষ্টিকর্তা আমাকে এখনো বাঁচিয়ে রেখেছেন এবং বেঁচে থাকতেই সারা জীবনের কাজের স্বীকৃতি নিজ হাতে গ্রহণ করতে পারছি এর চেয়ে বড় আনন্দের আর কি হতে পারে।

 

প্রবীর মিত্র

রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেলাম। ভালো লাগছে। অভিনয় করে মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছি। তারই স্বীকৃতি এটি। ইচ্ছা আছে আবারও ভালো কাজ দিয়ে এই শিল্পকে পূর্ণতা দেওয়ার।

 

সুজাতা

মানুষের ভালোবাসাই সেরা পুরস্কার। তারপরও সরকারের পক্ষ থেকে সেরা হওয়ার বিষয়টা অন্যরকম। কিছু আনন্দ আছে, যা বলে বোঝানো যায় না। আমি খুবই আনন্দিত।

 

আলমগীর

যে কোনো পুরস্কারই কাজের প্রতি দায়িত্বটা বাড়িয়ে দেয়। আজীবন সম্মাননা মানে সারা জীবনের কাজের স্বীকৃতি। রাষ্ট্র আমার কাজে সন্তুষ্ট হয়েছে বলেই আমাকে এই সম্মাননার জন্য উপযুক্ত মনে করেছে। এর জন্য রাষ্ট্র ও দর্শকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

 

সাবিনা ইয়াসমিন

গানই আমার প্রাণ। গানের জন্যই রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছি। জীবনে এমন অর্জন আরও কয়েকবার পেয়েছি।

তারপরও প্রতিবারই অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। যতবার এই পুরস্কার পাই, ততবারই নতুন উদ্দীপনা কাজ করে আমার মধ্যে।

 

ফেরদৌস

জীবনের কিছু অর্জন থাকে যা কখনো ভোলার নয়। এমন আনন্দই এটি। এর আগেও একাধিকবার রাষ্ট্রীয় সম্মান পেয়েছি। তবে এই ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে সম্মাননা দেওয়া হলে আনন্দটা একটু কমে যায়।

 

জাহিদ হাসান

জাতীয় পুরস্কার অবশ্যই ভালো লাগার। ১৯৯৯ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলাম। এবার ‘হালদা’র জন্য খল-অভিনেতার পুরস্কার পেলাম। বিষয়টি আমার কাছে ভালো লাগার। কারণ নিজেকে ভর্সেটাইল অভিনেতা হিসেবে প্রমাণ করতে পেরেছি।

 

জয়া আহসান

রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম। এই আনন্দের স্বাদ এর আগেও একাধিকবার পেয়েছি। আজ আমার অভিনীত ছবি ‘কণ্ঠ’ মুক্তি পাচ্ছে। সব মিলিয়ে ভীষণ ভালো লাগছে।

 

নুসরাত ইমরোজ তিশা

টানা দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলাম। ২০১৬ সালে ‘অস্তিত্ব’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর সম্মান পেয়েছিলাম। জাতীয় পুরস্কার অবশ্যই ভালো লাগার ও দায়িত্ববোধের। এই সম্মান পাওয়ার পর শুধু খুশি নয়, দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ালেই এই স্বীকৃতি সার্থক হবে।

 

শাকিব খান

সেরা হওয়ার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সব সময়ই ভালো লাগার। এর আগেও একাধিকবার রাষ্ট্রীয় সম্মান পেয়ে কাজের প্রতি উৎসাহ বহু গুণে বেড়ে গিয়েছিল। তবে এবার যৌথভাবে এই সম্মান পাওয়ায় আনন্দ কিছুটা ফিঁকে হয়ে গেছে। কারণ সেরার পুরস্কার কখনো ভাগাভাগি হয় না।

 

আঁখি আলমগীর

ছোটবেলায় আমজাদ হোসেন আঙ্কেলের ‘ভাত দে’ ছবির জন্য সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলাম। এবার কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির জন্য সম্মান পেলাম। আমি আনন্দিত। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি রুনা লায়লা আন্টি এবং শ্রদ্ধেয় গাজী মাজহারুল আনোয়ার আঙ্কেলের প্রতি আমাকে সাহস ও উৎসাহ দেওয়ার জন্য।

 

বাপ্পা মজুমদার

জাতীয় পুরস্কারে সেরা হওয়াটা সবচেয়ে সুখের সংবাদ। এই পুরস্কার শুধু আমার একার নয়, যারা পেয়েছেন সবার কাজের প্রতি ডেডিকেশন বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করি। আমি আনন্দিত।

 

ইমন সাহা

জাতীয় সম্মাননা হলো কাজের সর্বোচ্চ সম্মান। এই সম্মান পাওয়া মানে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কাজের প্রতি উৎসাহ ও দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দেওয়া। আমার প্রয়াত বাবা সংগীত পরিচালক সত্য সাহা যখন জাতীয় পুরস্কার পেতেন তখন তার মধ্যে একটি অস্থিরতা দেখতাম, সেই অস্থিরতা হলো কাজকে আরও সমৃদ্ধ করার। আমার কাছেও তাই।

 

আরিফিন শুভ

অভিনয়ই আমার পেশা। বিশেষ করে চলচ্চিত্রে অভিনয়টাই আমার কাছে প্রধান। সেখানে সেরাদের তালিকায় নিজের নাম দেখে খুবই ভালো লাগছে। বলতে পারি কাজের প্রতি উৎসাহ, আন্তরিকতা ও দায়িত্ব বহুগুণে বেড়ে গেছে।

 

সাইমন সাদিক

আমার আনন্দের শেষ নেই।। এটি আমার অল্প জীবনের সেরা পাওয়া। চলচ্চিত্রে বলতে গেলে আমি এখনো কিশোর। এই অবস্থায় সিনিয়রদের পাশাপাশি ভালো কাজ করতে পারা এবং রাষ্ট্রীয় সম্মান পাওয়া সত্যিই গর্বের।

 

সেজুল হোসেন

জয় গোস্বামীর একটা কবিতা আছে... ‘শ্রাবণ, সেই মেয়েটির কাছে সন্ধ্যাতারা আছে।’ আর আমার একটা গান আছে। সেই গান মানুষের ভালোবাসা পেয়েছে, পেয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও। তখন সব অনুভূতি ভোঁতা হয়ে কেবল প্রাপ্তির আনন্দটাই মূল হয়ে ওঠে। কৃতজ্ঞতা শ্রোতা-দর্শক আর এই গানের সঙ্গে জড়িত সবার প্রতি।

 

সর্বশেষ খবর