শবনম
অভিনেত্রী শবনম এখন স্বামী প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক রবীন ঘোষকে নিয়ে সুখে আছেন। থাকেন বারিধারার পার্ক রোডে। টিভি দেখে, বাগান পরিচর্যা এবং রান্না-বান্না করে সময় কাটে তার। সময় সুযোগ পেলে কলকাতায় বোন আর মামাবাড়ি বেড়িয়ে আসেন। ভালো গল্প-নির্মাতা আর কাঙ্ক্ষিত চরিত্র পান না বলে অভিনয় করেন না। সর্বশেষ ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন নব্বই দশকের শেষ দিকে কাজী হায়াৎ-এর 'আম্মাজান' চলচ্চিত্রের জন্য।
খলিল
অভিনেতা খলিল বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মোহাম্মদপুরের বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি কিডনি জটিলতাসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন।বাংলাদেশ প্রতিদিনকে খলিল বলেন, আমি মোটেও ভালো নেই। ১০ মে আমার বড় ছেলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে।সে সংসার চালাত। প্রধানমন্ত্রী এখন আমার দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন। সপ্তাহে দুই বার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হয়। সব মিলিয়ে বড় দুঃসময় যাচ্ছে আমার।
রাণী সরকার
অভিনেত্রী রাণী সরকার চরম মন্দাবস্থায় মোহাম্মদপুরের ভাড়া বাসায় দিন কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, অসুস্থতা এবং অভাব আমাকে আর ছাড়ছে না। দীর্ঘদিন ধরে পিত্তথলিতে পাথর, বাতজ্বরসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছি। মাঝেমধ্যে অনেকে সাহায্য-সহযোগিতা করলেও চলচ্চিত্রের লোকজন আমাকে কোনো কাজ দেয় না বা খবর নেয় না। হয়তো এভাবেই দুস্থ অবস্থায় শীঘ্রই আমাকে পৃথিবীর মায়া কাটাতে হবে।
বনশ্রী
নায়িকা বনশ্রী একমাত্র শিশুপুত্রকে নিয়ে সহায় সম্বলহীন অবস্থায় মোহাম্মদপুরের শেখেরটেকের বস্তিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। লিভারের সমস্যাসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি। তিনি বলেন, অনেকেই সাহায্য- সহযোগিতা করেন।কিন্তু তা দিয়ে স্থায়ী কোনো সমাধান হয় না। আমি কাপড় সেলাইয়ের কাজ জানি।যদি সেলাই মেশিন কিনতে পারতাম তা হলে একটি দর্জির দোকান খুলে সন্তানের মুখে অন্ন তুলে দিতাম আর তাকে লেখাপড়া শিখাতাম।
আনিস
কৌতুক অভিনেতা আনিস বলেন, আগের মতো কাজ না পেলেও সৃষ্টিকর্তা আমাকে ভালো রেখেছেন। টিকাটুলির অভয়দাশ লেনের নিজ বাসায় পরিবার নিয়ে বাস করছেন তিনি। তার হাতে রয়েছে ডিএফপির একটি বিজ্ঞাপন, একটি খণ্ড নাটক, একটি ছবি এবং বাংলাদেশ বেতারের পরিবার পরিকল্পনা সেলের একটি ধারাবাহিক নাটকের কাজ।
সাত্তার
ঢালিউডের রঙিন নায়কখ্যাত সাত্তার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। ২০১১ সালে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তার শরীরের বাম পাশ সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলেন। এখন নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে শয্যাশায়ী। তাকে থেরাপি নিতে প্রতি মাসে কয়েকবার ঢাকার উত্তরায় আসতে হয়। তিনি জানান, সংসার চালানোর খরচই জোটে না, তার ওপর চিকিৎসার খরচ জোটানো যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। তিনি বলেন, ১ লাখ ১০ হাজার টাকা হলে একটি থেরাপি মেশিন কিনতে পারতাম। তাহলে দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হতো।