বিয়ের দুই বছর না পেরোতেই হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি স্বামী ব্র্যাড পিটের বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা এনেছেন। কারণ হিসেবে জানান, ব্রাড পিটের অন্য নারীর প্রতি আসক্তির কথা। তাদের বিচ্ছেদের সূত্র ধরে জোলি ও ব্র্যাডের নানা তথ্য এখন আলোচনায়। যার মধ্যে জোলির বৈচিত্র্যময় যৌনজীবন নিয়েও নানা তথ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে ওয়েবে। তারই কিছু চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
• ২০০৭-এই অ্যাঞ্জেলিনা এক পত্রিকাকে জানিয়েছিলেন, কিনডারগার্টেন-এ পড়ার সময়েই তিনি ‘কিসি গার্লস’ নামের এক গ্রুপের সদস্য ছিলেন। নিতান্ত শিশুদের নিয়ে তৈরি এই গ্রুপের কাজ ছিল সহপাঠী ছেলেদের সঙ্গে এমন কিছু খেলায় লিপ্ত থাকা, যার গায়ে যৌনগন্ধ আঁট হয়ে বিরাজ করে।
• মাত্র ১৪ বছর বয়সে অ্যাঞ্জেলিনা তাঁর কুমারিত্ব হারান। আর এ বিষয়ে তার মা সবকিছুই জানতেন। যে সময়ে তিনি তার তৎকালীন বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে দরজা বন্ধ করেছিলেন, সেই সময়ে তার মা পাশের ঘরেই ছিলেন।
• গোটা টিন এজ জুড়ে অ্যাঞ্জেলিনা এক বিচিত্র ফেটিশকে প্রশ্রয় দেন। ছুরি-কে ঘিরে আবর্তিত হতে থাকে তার লিবিডো। তুমুল আশ্লেষের সময়েও তার মনে হতে থাকে কিছুই যথেষ্ট নয়। একদিন নিবিড় মুহূর্তে তার বয়ফ্রেন্ডকে তিনি ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। বয় ফ্রেন্ডও তাকে প্রত্যাঘাত করেন। রক্তপাত তাকে এক বিপুল আনন্দের সন্ধান দেয়। কেটে-কুটে রক্তাক্ত হতে থাকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। কিন্তু শরীরী খেলায় সেই যন্ত্রণা অনুভূত হত না।
• ২০ বছর বয়স নাগাদ এমন কোনও ড্রাগ বাজারে ছিল না, যা অ্যাঞ্জেলিনা নেননি। কোকেন, এলএসডি, হেরোইন— নেশার তুমুল স্রোতে নিজেকে ভাসিয়ে দেন তিনি। তার প্রথম স্বামী জনি লি মিলার তাকে সেই অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন, একথা তিনি আজও মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেন।
• ১৯৯৬-এ তার সঙ্গে আলাপ হয় মডেল-অভিনেত্রী জেনি শিমিজু-র। তার মধ্যে এক পরিপূর্ণ নারী-কে খুজে পান লারা ক্রফ্টের চরিত্রাভিনেত্রী। শুরু হয় এক তুফানি সমকামী রোম্যান্স।
• ২০০০ সালের গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অযাঞ্জেলিনাকে দেখা গিয়েছিল তার নিজের ভাইয়ের সঙ্গে নিবিড় ওষ্ঠচুম্বনে আবদ্ধ হতে। পরে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড-এর রোড কার্পেটেও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল।
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর