৮ জুলাই, ২০২২ ১৩:২৪

সরগরম হয়ে উঠেছে নীলফামারীর কামার পল্লী

নীলফামারী প্রতিনিধি

সরগরম হয়ে উঠেছে নীলফামারীর কামার পল্লী

চলছে ভাঁতি টানা, পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে লোহা। ঘামছে কামার, তৈরি হচ্ছে চাকু, ছুরি-বঁটি-দা চাপাতিসহ মাংস কাটার ধারালো হরেক রকম অস্ত্র। ভাঁতির ফাসফুস আর হাতুড়ি পেটার টুংটাং শব্দে সরগরম হয়ে উঠেছে কামার পল্লীগুলো। সেই সাথে ঈদকে ঘিরে এসব অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর কামার শিল্পীরা।

ভাঁতি থেকে বেরিয়ে আসা বাতাস আর লোহা পেটানোর শব্দ জানান দিচ্ছে কোরবানির ঈদ। বিশেষ করে বছরের অন্য সময় ব্যবসায় টানা-পোড়ান চললেও ঈদকে ঘিরে চলে নানা আয়োজন। বিভিন্ন সাইজের কাটারি, চাকু, বটি, চাপাতি, বড় সাইজের ছুরি বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন। সেই সাথে অনেকে পুরনো দা, বটি, চাকু সান দিচ্ছেন।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পশ্চিম চিকনমাটি মোল্লা পাড়ার দুলাল হোসেন বলেন, সারা বছর যত লোহা সামগ্রী বিক্রি হয়। এই ঈদে বিক্রি হয় তার চেয়ে অনেক বেশি। কারণ পশু জবাই করার জন্য ধাঁড়ালো অস্ত্রের প্রয়োজন।

জলঢাকা উপজেলার পুরাতন গরুর হাট এলাকার মশিয়ার রহমান বলেন, অনেকে এ পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকলেও পূর্বপুরুষের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছি অনেকেই।

ডোমার বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাবেদুল ইসলাম সানবীম বলেন, জ্বালানি কয়লার দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বেড়েছে লোহার দামও। লোহা ও কয়লার দাম বাড়লেও সে তুলনায় কামার শিল্পীদের তৈরী পণ্যের দাম বাড়েনি। এ শিল্প টিকিয়ে রাখতে হলে দরকার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর