শিরোনাম
রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

কাশিমপুরে মহিলা কারাগারে ঐশী

বয়স বিতর্ক অবসানের পর অবশেষে কারাগারেই ঠাঁই হলো প্রাপ্তবয়স্ক ঐশী রহমানের। বাবা-মাকে খুনের পর আদালতে দায় স্বীকার করা ঐশীকে গাজীপুরের কোনাবাড়ির কিশোরী উন্নয়ন (সংশোধন) কেন্দ্র থেকে গতকাল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে নেওয়া হয়। কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র ও কারা সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গাজীপুরের সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক লুৎফুন্নেসা বলেন, গতকাল সকালে আদালতের আদেশের কপি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পৌঁছার পর পনের মিনিটের মধ্যে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ঐশীকে ঢাকার উদ্দেশে পাঠানো হয়। গাজীপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঐশীকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে আসে। সাদা ওড়না, চেক শার্ট ও জিন্স প্যান্ট পরা অবস্থায় ঐশী ওই উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে বের হন। ঐশী ওই কেন্দ্রে আসার সময় যে পোশাক পরিহিত ছিলেন সে পোশাক পরেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। জানা গেছে, ঐশীকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ঐশীকে কেন্দ্র থেকে নেওয়ার সময় সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক ও তদন্ত সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী জানান, বেলা ১২টা ১০ মিনিটে ঐশীকে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। তাকে কাশিমপুরে মহিলা কারাগারে পাঠানোর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত। সন্ধ্যার পর ঐশীকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের একমাত্র কন্যা ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ওই সময় তার বয়স মামলার কপিতে ১৭ বছর লেখা থাকায় আদালত তাকে কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু পরে সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন কর্মকর্তা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঐশী প্রাপ্তবয়স্ক বলে জন্মবৃত্তান্ত উপস্থাপন করেন। গত বৃহস্পতিবার জন্ম সংক্রান্ত নথি দেখে আদালতের বিচারক ঐশীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চামেলীবাগের ৬তলার ৫/বি নম্বর ফ্লাট থেকে গত ১৬ আগস্ট পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের লাশ উদ্ধার করা করে পুলিশ। গত ১৪ আগস্ট বাবা-মাকে খুন করে মেয়ে ঐশী পালিয়ে যান। ১৭ আগস্ট নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দেন। এ ঘটনায় পুলিশ কাজের মেয়ে সুমি ও ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকেও গ্রেফতার করে। রিমান্ড শেষে ঐশী ও সুমি দোষ স্বীকার করে আদালতে খুনের দায় স্বীকার করেন। রনিকে আবারও রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী হত্যকাণ্ডে ঐশীর বন্ধু জনি হচ্ছে উৎসাহদাতা। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

 

 

সর্বশেষ খবর