রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিমানবন্দরে আমার জন্য আদালত বসানো হয় : এরশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিমানবন্দরে আমার জন্য আদালত বসানো হয় : এরশাদ

আগামী ৬ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, মহাসমাবেশ থেকে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, আর গৃহপালিত বিরোধী দল হতে চাই না। নিজেরাই ক্ষমতায় যাব। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে দলের তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতাদের যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ আরও বলেন, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি গঠন করে জাপার শাসনামলের উন্নয়ন ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন এরশাদ। তিনি বলেন, আমি নির্যাতিত ব্যক্তি। আমার মতো অবিচার আর কোনো রাজনীতিবিদের প্রতি হয়নি। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আমার জন্য বসানো হয়েছিল বিশেষ আদালত। অত্যাচার করে কি আপনারা ভালো আছেন? দেশ কি ভালো আছে? ক্ষমতা ছাড়ার পর ২৮ দিনও দেশ শান্তিতে ছিল না। শুরু হয় খুন-গুম-সন্ত্রাস। আমরা দেশে আবারও শান্তি ফিরিয়ে দিতে চাই। আমাদের ক্ষমতায় যেতেই হবে। পিছু হটার সুযোগ নেই। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম, শেখ সিরাজুল ইসলাম, মশিউর রহমান রাঙ্গা, মুজিবুল হক চুন্নু, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ইউএনএ জোট নেতা মাওলানা মাহফুজুল হক, এম এ মতিন, মাওলানা জালালুদ্দিন আহমেদ, আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক ও সেকান্দার আলী মনি। সভা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া। যৌথসভা হলেও ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ এমপিসহ সারা দেশের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে জনসভায় রূপ নেয়।

 সকাল ১০টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ৮টার মধ্যেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বর কানায় কানায় পূর্ণ হয় মত্স্যভবন থেকে শিশুপার্ক সড়ক পর্যন্ত। সভায় এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মীর আবদুস সবুর আসুদ, সালমা ইসলাম, পীর ফজলুর রহমান, রত্না আমিন হাওলাদার, সেলিম ওসমান, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল আলম রুবেল, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জিয়াউল হক মৃধা, কাজী মামুন, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, শাহ জামাল রানা নিজ নিজ নির্বাচনী আসন থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভায় যোগ দেন। এ ছাড়া বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, এ কে এম আশরাফুজ্জামান খানের নেতৃত্বে শ্রমিক পার্টিসহ প্রতিটি অঙ্গ-সংগঠন সভায় যোগ দেয়। রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আমরা কারও রক্তচক্ষুর কাছে মাথা নত করব না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে করব, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ। 

বেগম রওশন এরশাদ এমপি বলেন, জাতীয় পার্টির এবারের সংগ্রাম হবে ক্ষমতায় যাওয়া ও উন্নয়নের সংগ্রাম। জি এম কাদের বলেন, আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করলে কত আসন পাব তা আগেই চূড়ান্ত করতে হবে। নির্বাচনে জয়ের পর সরকার গঠনেও আমাদের কী ভূমিকা থাকবে তাও আগে চূড়ান্ত করতে হবে। সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, এরশাদ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউ জোট করলে সেই জোটের ফলাফল হবে বিগ জিরো।

সর্বশেষ খবর