সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

তুলার জাত খুঁজতে বিদেশ সফরে ছয় কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

মসলিন কাপড়ের সুদিন ফিরিয়ে আনার জন্য নেওয়া প্রকল্পের আওতায় বিদেশ সফরে গেলেন ছয় কর্মকর্তা। শনিবার তারা রাশিয়া ও মিসর সফরের জন্য রওনা হয়েছেন। এ সফরে যাওয়া তিন কর্মকর্তা আবার গবেষণা সংশ্লিষ্ট নন। গবেষণার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও সহায়তার জন্য এ সফরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ প্রকল্পের নাম বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্যের মসলিন তৈরির প্রযুক্তি ও মসলিন কাপড় পুনরুদ্ধার প্রকল্প। প্রকল্প পরিচালক আয়ুব আলী জানিয়েছেন, এ মাসে নয়, আরও এক মাস আগে গেলে ভালো হতো। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, শনিবার ওই ছয়জন কর্মকর্তা রাশিয়া রওনা হয়েছেন। তারা হলেন তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মকবুল হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি ও এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত পরিচালক আখতারুজ্জামান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এসএম মাজহারুল ইসলাম এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এমদাদুল হক। তাদের মধ্যে মকবুল হোসেন, মাজহারুল ইসলাম ও এমদাদুল হক গবেষক নন। রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মাকসুদা সুলতানাও যাচ্ছেন। তবে তিনি স্বামীর খরচে যাবেন। রফিকুল ইসলাম আগামী ১৫ ডিসেম্বর অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাচ্ছেন। গবেষকরা বলছেন, ফুটিকার্পাস তুলা থেকে মসলিন তৈরি হতো। তারা বাংলাদেশে ছয় জাতেরতুলার খোঁজ পেয়েছেন। তাদের ধারণা, এ ছয় জাতের মধ্যেই ফুটিকার্পাস আছে। তাদের প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশে উৎপাদিত তুলার জাতের মধ্যে মসলিন তৈরির জাত না পাওয়া গেলে বিদেশে যাওয়া যেতে পারে। কিন্তু দেশি তুলার জাত নিয়ে যথাযথ খোঁজ না নিয়েই তারা বিদেশে গেছেন। ২০১৮ সালের ১ জুলাই শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২১ সালের জুনে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কয়েকজন গবেষক বলছেন, রাশিয়া ও মিসরে এখন তুলার মৌসুম নয়। তারা যে কাজে রাশিয়া ও মিসর যাচ্ছেন, তা ভারতে গিয়েও দেখতে পারতেন। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, রফিকুল ইসলাম আগামী ১৫ ডিসেম্বর পিআরএলে যাবেন। নিয়ম অনুযায়ী, পিআরএলে যাওয়ার এক মাস আগেই তার সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে ফিরে আসার কথা। কিন্তু বিদেশ সফরে যাওয়ার জন্য তিনি এক মাস আগে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে যোগ দিচ্ছেন না। আবার চাকরি জীবনের শেষ ছয় মাসে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারপরেও তিনি গেছেন। পাট মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২৪ অক্টোবর ছয় সদস্যের রাশিয়া এবং মিসর সফরের সরকারি আদেশ হয়েছে। সাত দিনের জন্য এ সফরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর