শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

পাঁচ লাখ খরচ করে ফিরলেন শূন্য হাতে

তিন সপ্তাহে সৌদি থেকে ফিরেছেন আড়াই হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভাগ্য ফেরাতে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার সুজন মিয়া পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে গিয়েছিলেন সৌদি আরব। চার মাসের মাথায় গত মঙ্গলবার রাতে তাকে দেশে ফিরতে হলো শূন্য হাতে। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে আটক করে তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয় সৌদি পুলিশ। সুজনের সঙ্গে ফেরত আসতে হয় তার সহোদর মিন্টুকেও। এক দিনেই সৌদি থেকে ফেরত আসতে হয়েছে ২১৭ জন বাংলাদেশিকে। ফেরত আসাদের মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইনসের এসভি ৮০৪ বিমানযোগে ফেরেন ১০৩ জন এবং রাত ১টা ১০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইনসের এসভি ৮০২ বিমানযোগে ১১৪ জন। এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহে আড়াই হাজারের বেশি বাংলাদেশি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরলেন। ফেরত আসাদের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচি থেকে জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়। টাঙ্গাইলের দুই ভাই জানান, সুজন মিয়া চার মাস ও মিন্টু মিয়া ২৩ মাস আগে যান সৌদি আরব। মিন্টুর আকামার মেয়াদ পাঁচ মাস থাকলেও সুজনের আকামা তৈরি করে দেননি নিয়োগকর্তা। কিন্তু দুই ভাইকেই কর্মস্থল থেকে রুমে ফেরার পথে পুলিশ আটক করে। একই জেলার আরেক ফেরত কর্মী লিটন জানান, মাত্র ছয় মাস আগে আড়াই লাখ টাকা খরচ করে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ নিয়ে সৌদি আরব যান। সেখানে গিয়ে কোম্পানিতে কাজ করলেও বেতন পাননি। আকামাও তৈরি করে দেননি নিয়োগকর্তা। কর্মস্থল থেকে পুলিশ গ্রেফতার করলে নিয়োগকর্তা দায়িত্ব নেননি। নড়াইলের সুজন বিশ্বাস জানান, সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ করে তিন মাস আগে সৌদি আরব যান। রিক্রুটিং এজেন্সি তাকে অফিসে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাঠালেও সেখানে গিয়ে কাজ পাননি।

 উল্টো ধরা পড়ে ফিরেছেন শূন্য হাতে। ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, দেশে ফেরত আসা কর্মীদের কথায় স্পষ্ট যে, প্রত্যেককে নানা স্বপ্ন দেখিয়েছিল দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সি। কিন্তু সৌদি আরবে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়েন তারা। অনেকে বেতন পাননি। যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে ফেরত এসেছেন। রিক্রুটিং এজেন্সিকে এর দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। দূতাবাস ও সরকারকেও বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে।

সর্বশেষ খবর