প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, চীন থেকে বিশ্বের অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়ছে নোবেল করোনাভাইরাস। প্রতিবেশী দেশ আক্রান্ত হওয়ায় আমরাও ঝুঁকিতে রয়েছি। ভাইরাস মোকাবিলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আপাতত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বরং সুস্থ থাকতে সতর্কতা এবং সচেতনতা জরুরি। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরও বলেন, ভাইরাসবাহী রোগ প্রথমে প্রাণী থেকে মানুষে ছড়িয়েছে। এরপর মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি, থুথু থেকে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাস। তাই মুখ ঢেকে হাঁচি দেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। টিস্যুর মধ্যে হাঁচি দিলে সেটা ডাস্টবিনে ফেলতে হবে, পারলে আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। হাতের মধ্যে হাঁচি দিলে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে, রুমাল হলে সেটাও ধুয়ে দিতে হবে। ফলমূল, শাক-সবজি ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে, খাওয়ার আগে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে হবে। খাবার পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে এবং মাংস একটু বেশি সময় সিদ্ধ করে খেতে হবে। ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, যেখানে-সেখানে থুথু ফেলা যাবে না। প্রতিটি হাঁচির সঙ্গে অজস্র জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো সচেতনতা নেই। সচেতন না হলে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। সুঅভ্যাস গড়ে তুললে শুধু করোনাভাইরাস নয়, অন্য অনেক রোগের কবল থেকে নিরাপদ থাকা যাবে।