ঘরমুখো মানুষ ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপে রাজধানীর পোস্তগোলা ব্রিজে আটকা পড়ে টিসিবি এবং ত্রাণের পণ্যবাহী গাড়ি। টিসিবি ও ত্রাণের পণ্যবাহী যানবাহনে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও যাত্রীচাপের পাশাপাশি যানবাহন কমাতে চাপের মুখে পড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পোস্তগোলা ব্রিজে দেখা যায়, একদিকে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ, অন্যদিকে ঘরমুখো মানুষের ঢল। দীর্ঘ গাড়ির সারিতে আটকা পড়ে থাকে টিসিবি ও করোনায় খাদ্য সরবরাহ কাজের ত্রাণভর্তি যানবাহন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি বাড়িয়ে দেয় ব্যক্তিগত যানবাহনের দিকে। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা ছেড়ে যেতে না পারায় ফেরত আসে গণপরিবহনগুলো। অনুমতি নেই ঢাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার। তার পরেও সেখানে ঢাকা ছেড়ে যেতে মানুষের ঢল নামে। পণ্যবাহী যানবাহনের কয়েকজন চালক বললেন, চেকপোস্টে পুলিশ ব্যক্তিগত সব গাড়ি আটকিয়ে দিচ্ছে। এই কারণে আমরা যানজটের মধ্যে আটকা পড়ে গেছি। ঘরমুখো মানুষদের একজন বললেন, ঢাকায় এখন তো কাজ নেই, তাই চিন্তা করলাম যদি বাড়ি যাওয়া যায়। এখানে থাকলে তো খাওয়া দাওয়ার সমস্যা। বাড়ি গেলে যে করেই হোক খেতে পারব। করোনার কারণে ঝুঁকি আছে, তবুও কি করা যেতে তো হবে। চেকপোস্টে ঘরমুখো মানুষের ঢল থামাতে গতিরোধ করা হয় পণ্যবাহী যানবাহনগুলো। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ব্যক্তিগত ও ঘরমুখী মানুষের গাড়ি পোস্তগোলা ব্রিজে আটকে দিয়ে ইউটার্ন করে দিই। এত পরিমাণ মানুষ আর গাড়ি ছিল যে তাদের আটকাতে গিয়ে পণ্যবাহী গাড়িগুলো যানজটে পড়ে যায়। সেবা সংস্থা ও পণ্য পরিবহনের গাড়ি ছাড়া কেউ ঢাকায় প্রবেশ এবং বাহির হতে পারবেন না। এমন নির্দেশনা আমাদের কাছে রয়েছে।