দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল থেকে চালু হয়েছে অফিস। লকডাউন খোলার পর প্রথম দিনেই রাজধানীতে কিছু গণপরিবহনে শুধু শারীরিক দূরত্বে বসার মাধ্যমেই স্বাস্থ্যবিধি সীমাবদ্ধ ছিল। আর বেশিরভাগ গণপরিবহনে সেটিও মানা হয়নি। বিশেষ করে সরকারি পরিবহনে সিট ফাঁকা রেখে বসতে দেখা যায়নি কাউকে। বাসে ছিল না হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা জীবাণুনাশকের মতো কোনো সুরক্ষা সামগ্রী। যেটুকু সতর্কতা ছিল তা শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে। গতকাল সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ফকিরাপুল মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, একের পর এক সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাস আসছে। বাসগুলোর অধিকাংশেই ছিল না সামাজিক দূরত্ব। পাশাপাশি দুটি করে আসন দেখা গেলেও প্রতিটি আসনেই যাত্রী বসা ছিলেন। গাড়ির প্রবেশ মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক রাখার কথা থাকলেও তা দেখা যায়নি। এই সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ১১-০৩০৬ নম্বর গাড়িটিতে দেখা গেছে, প্রতিটি আসনেই যাত্রী রয়েছে। কোনো আসন ফাঁকা রাখা হয়নি। একই সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি স্টাফ বাসেও একই চিত্র দেখা গেছে। আবার ব্যতিক্রমও দেখা গেছে কিছু গাড়িতে। তবে তাতে শুধু আসন ফাঁকা ছাড়া অন্য স্বাস্থ্যবিধির উপস্থিতি ছিল না। এক যাত্রী জানান, তিনি সচিবালয়ে যাবেন। বাসগুলোতে আসন ফাঁকা ছিল না। রিকশায়ও ভাড়া অনেক। লেগুনাতে তো পা রাখারও জায়গা ছিল না। স্বাস্থ্যবিধি বলতে একটা যে বিধান রয়েছে তা যেন কেউ জানেও না। সরকারের তদারকিও ছিল না। এদিকে সকাল ১০টা পর্যন্ত নগরীর সড়কে গণপরিবহন সংখ্যা ছিল খুবই কম। গণপরিবহনে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি চিন্তা করে কর্মজীবী মানুষের অনেককেই রিকশা ও সিএনজিতে অফিসে যেতে দেখা গেছে। তাদের দাবি, বাসে মানুষের উপস্থিতি বেশি। রিকশায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত হয়। তবে জীবাণুনাশক না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন অনেকেই। তারা নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সরকারের পক্ষ থেকে জীবাণুনাশক রাখার দাবি জানিয়েছেন, যাতে রিকশা সিএনজিগুলোতে স্প্রে করা হয়। খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় দেখা গেছে, গণপরিবহনের সংখ্যা খুবই কম। তবে যে কয়টি ছিল সেগুলোর আসন ভর্তি। এই অবস্থায়ও পরিবহনগুলোর হেলপাররা যাত্রী ডাকতে থাকলেও সাধারণ মানুষকে বাসগুলোতে উঠতে কম দেখা যায়। তুলনামূলক অল্প দূরত্বে অনেকেই হেঁটে অফিসের উদ্দেশে যাত্রা করেন। আবার কেউ কেউ রিকশা কিংবা সিএনজিতে অফিসের উদ্দেশে যাত্রা করেন। বাসাবো এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কর্মজীবীরা পরিবহনের জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করছেন। এই এলাকাটি থেকে শহরের রাজারবাগ, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা ও গুলিস্তান রুটে ছোট লেগুনা চলাচল করে। এই গাড়িগুলোতে কোনো জায়গা ফাঁকা নেই। যাত্রীরা গাদাগাদি করে বসেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন ফাঁকা রেখে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে আগের থেকে দ্বিগুণ।
শিরোনাম
- আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
- গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
- গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
- স্বর্ণের দাম কমেছে
- ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
- ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া
- রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
- বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
- আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
- দুর্গাপূজা ঘিরে স্বৈরাচারের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে : তারেক রহমান
- র্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু
- ‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
- শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
- ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
- ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ এ উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ অনুশীলন
- ‘পিআর পদ্ধতির দাবি জনগণের প্রত্যাশার প্রতি মুনাফেকি’
- ফেব্রুয়ারিতেই স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
- দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের হুমকি নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা