করোনাভাইরাসের ভুয়া সনদ বা সার্টিফিকেট কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে যে ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে তা পুনরুদ্ধারে সরকারকে এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। অপরাধীদের শাস্তির পাশাপাশি কভিড-১৯ সম্পর্কিত সব ধরনের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতেও যেন করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে দুর্নীতির সুযোগ না থাকে সেসব ব্যবস্থা এখনই নিতে হবে। পাশাপাশি যেসব দেশ প্রবেশের অনুমতি থাকার পরও বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাল তাদের রাষ্ট্রদূতদের তলব করে এর ব্যাখ্যা নেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সবার আগে অতিদ্রুত সব ধরনের প্রতারণা ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। সরকার যে কভিড-১৯ মোকাবিলায় সিরিয়াস তা জানাতে হবে। দল বা গোষ্ঠী দেখে ব্যবস্থা নিলে হবে না। অপরাধীরা যে দলেরই লোক হোক না কেন বা যত কাছেরই মানুষ হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি প্রতারকদের বিষয়ে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলেও বহির্বিশ্বকে আশ্বস্ত করা যাবে। দ্বিতীয়ত, ইতালি থেকে যাদের ফেরত পাঠানো হলো তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। তাদের যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তা পশ্চিমা বিশ্বের কাছে প্রচার করতে হবে। তাহলে তারা বুঝবে ফেরত আসাদের বিষয়েও বাংলাদেশ সরকার কোনো একটা ব্যবস্থা নিয়েছে। তৃতীয়ত, সরকার ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বিদেশে যেতে হলে কভিড-১৯-এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। দেখতে হবে এখন এই নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যেন দুর্নীতি বা প্রতারণার সুযোগ না থাকে। নিয়ম করা হলো কিন্তু দেখা গেল বিদেশে যাওয়ার আগে কভিড-১৯-এর টেস্ট করে নেগেটিভ সনদ পেতে দীর্ঘসূত্রতায় পড়তে হচ্ছে। তেমন হলে দুর্নীতির সুযোগ আবার তৈরি হবে। মানুষও ভোগান্তিতে পড়বে। তাই এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যেন দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা করে সনদ পাওয়া সম্ভব হয়। ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ইতালি ও জাপান থেকে ইতোমধ্যে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। আমি মনে করি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে এ দুই দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা। তাদের যদি কভিড-১৯ থেকেও থাকে তারও সব পারমিট থাকার পরও কেন বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হলো তার ব্যাখ্যা চাওয়া প্রয়োজন। কারণ তাদের কভিড-১৯ পজিটিভ হলে তো সে দেশগুলোরই উচিত ছিল প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা নেওয়া। কিন্তু ফেরত পাঠানো তো কোনো যুক্তি হতে পারে না। এটা বিশ্ব স¦াস্থ্য সংস্থারও নির্দেশনার বাইরে।
শিরোনাম
- ঢাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের আরও ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
- মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২০
- পরিবারসহ কাজী জাফরের আয়কর নথি সিআইডিকে দেওয়ার নির্দেশ
- ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৬৪৯ জন
- চীনে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ জাপানের
- এমবিবিএস ডাক্তারের টেবিলের ড্রয়ারে মিলল ইয়াবা
- সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
- লালমনিরহাটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ
- খুলনার নতুন জেলা প্রশাসক জামশেদ খোন্দকারের যোগদান
- শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা চেয়ে এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি
- মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
- লালমনিরহাটে সাংবাদিকদের সংগঠন ‘প্রেস ফাইভ’-এর আত্মপ্রকাশ
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৩৯৫ মামলা
- পাচারের অভিযোগ, ভারতীয় নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশ বন্ধ করল ইরান
- ছাত্রশক্তির ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেল ঘোষণা, কে কোন পদে লড়ছেন
- মেলবোর্নে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনীতে ১২ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান
- রাজধানীতে অস্ত্র-মাদকসহ একটি চক্রের সবাই গ্রেফতার: ডিবি
- দুই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক
- সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?