শিরোনাম
সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু স্থানীয় সরকারের স্থগিত নির্বাচন

পাবনা-৪ ভোট ২৬ সেপ্টেম্বর, ঢাকা-৫ নওগাঁ-৬ ১৭ অক্টোবর, পিছিয়ে গেল ঢাকা-১৮ সিরাজগঞ্জ-১ আসনের ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আটকে থাকা পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন হবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার। গতকাল এ উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচন। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই দুই আসনের ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে করোনা সংক্রমণ ও বন্যার কারণে আপাতত ঢাকা-১৮ এবং সিরাজগঞ্জ-১ আসনের ভোট হচ্ছে না। পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এই দুই আসনে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া আগামী অক্টোবরের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উপনির্বাচন করারও সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ওই সভা শেষে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন এবং অন্যান্য নির্বাচনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। সচিব বলেন, পাবনা-৪ আসনে ব্যালটে ভোট হবে। ঢাকা-৫ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। তিনি বলেন, প্রার্থীরা পথসভা ও জনসভা করতে পারবেন না। তারা মাইকিং করতে পারবেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচার চালাতে পারবেন।

পাবনা-৪ উপনির্বাচন ২৬ সেপ্টেম্বর : পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন হবে ২৬ সেপ্টেম্বর। এ আসনের আগ্রহী প্রার্থীরা ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ৩ সেপ্টেম্বর বাছাইয়ের পর ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। পাবনার এ উপনির্বাচন হবে ব্যালট পেপারে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। গত ২ এপ্রিল এমপি শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে পাবনা-৪ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার কথা থাকলেও মহামারীর কারণে তা সম্ভব হয়নি। রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে এ উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাবনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব। ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ উপনির্বাচন ১৭ অক্টোবর : ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর জানান, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচন ১৭ অক্টোবর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সে জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জ-১ ও ঢাকা-১৮ আসনের ভোটগ্রহণ পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে হবে। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৬ মে হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫ আসন এবং ২৮ জুলাই ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে নওগাঁ-৬ আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া ১৩ জুন মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে সিরাজগঞ্জ-১ আসন এবং ৯ জুলাই সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে ঢাকা-১৮ আসন শূন্য হয়। নির্বাচন কমিশন বলছে, আসন শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে এ দুটি উপনির্বাচন করা সম্ভব হবে না। নির্বাচনের আয়োজন করা হবে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় বলা হয়েছে- সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে তার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এ নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে। এর আগে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনেও প্রথম ৯০ দিনে না পারায় পরের ৯০ দিনে উপনির্বাচন করেছিল ইসি। গত ১৪ জুলাই ওই দুটি আসনে উপনির্বাচনে যশোর-৬ আসনে ভোট পড়ে ৬৩.৫ শতাংশ। আর বগুড়া-১ আসনে ভোট দিয়েছেন ৪৫.৫ শতাংশ ভোটার। মার্চের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর ২১ মার্চ তিনটি উপনির্বাচন হয়। তখন গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল যথাক্রমে ৬০ ও ৬৯ শতাংশ। অবশ্য ঢাকা-১০ আসনে ইভিএমে মাত্র ৫% ভোট পড়ে।

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হচ্ছে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন : আগামী অক্টোবরের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্থগিত উপনির্বাচন। গতকাল ইসির সভা শেষে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, কমিশন সভার সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী অক্টোবর মাস থেকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শুরু করা হবে। আর নভেম্বর অন্যান্য নির্বাচন শুরু করা হবে। এসব নির্বাচনের জন্য আর সময়ক্ষেপণ করা হবে না। সচিব বলেন, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অক্টোবরের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান আগে শূন্য হয়েছে সেগুলো অক্টোবরের প্রথম, এরপরের ধাপে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ভোট হবে। তবে কতগুলো উপজেলা, জেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হবে তা প্রকাশ করেননি তিনি। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে তালিকা চূড়ান্ত হবে বলে জানান সচিব। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৪৫ দিন সময় রেখে এ সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে। এ বিষয়ে ইসির সচিব বলেন, প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই যাতে নির্বাচিত মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন সেভাবে ভোট হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর