শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকা ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৪ কোটি টাকা উধাও

ক্যাশ ইনচার্জসহ দুজন আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকায় ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্টে সংরক্ষিত টাকায় গরমিল এবং ৪ কোটি টাকা কম পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বংশাল শাখার ক্যাশ ইনচার্জসহ দুই কর্মকর্তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ওই দুজন কর্মকর্তা হলেন ক্যাশ ইনচার্জ রিফাতুল হক ও ম্যানেজার (অপারেশন) ইমরান আহমেদ। গতকাল বংশাল থানার ডিউটি অফিসার মাসুম বিল্লাহ জানান, ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ অডিটে টাকার গরমিলের বিষয়টি নজরে আসে। গরমিলে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্যাশ ইনচার্জের বিরুদ্ধে ৫৪ ধারায় প্রাথমিকভাবে থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে পুলিশ তাদের আটক করে। এরই মধ্যে তাদের কোর্টে চালান করা হয়েছে। সূত্রটি জানায়, বৃহস্পতিবার ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্টে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকার হিসাবের গরমিল পায় প্রতিষ্ঠানটির নিরীক্ষা শাখা। তখন তলব করা হয় ব্যাংকের সিনিয়র ক্যাশ ইনচার্জ রিফাতুল হককে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ব্যাংকের অডিট শাখার কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে ক্যাশ ইনচার্জের কথায় অসংলগ্নতা পেলে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তখন বেরিয়ে আসে একই শাখার ম্যানেজার অপারেসন্স ইমরান আহমেদের নাম। পরে শাখা ম্যানেজার আবু বকর সিদ্দিক অভিযুক্ত দুজন কর্মকর্তাকে বংশাল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। ঢাকা ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘যতটুকু মনে হচ্ছে হিসাবের গরমিলের ঘটনা ঘটেছে। তদন্তের জন্য দুজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন মামলাটি তদন্তাধীন আছে।

চুরি বলা যাবে না। হিসাব দিতে পারছে না, তাই থানায় দেওয়া হয়েছে। রাতারাতি এতগুলো টাকা সরিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। নিয়ম হচ্ছে- সারা দিন লেনদেন করে হিসাব মেলাতে হবে। কিন্তু হিসাব না মিললে তো জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবেই।’  এ বিষয়ে ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমরানুল হক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু আমরা জানি, ৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার মতো গরমিল পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্যাশ ইনচার্জ স্বীকারও করেছেন যে, তিনি টাকা সরানোর সঙ্গে জড়িত। পরে ক্যাশ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের যুক্ত করে মামলা করেছি। এখন আমরা টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর