শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০২ জুলাই, ২০২১ আপডেট:

লকডাউনে জিরো টলারেন্স

বিনা কারণে বের হওয়ায় ঢাকায় আটক ৫ শতাধিক, মামলা পৌনে ৩শ গাড়ি, শহর ছিল ফাঁকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
লকডাউনে জিরো টলারেন্স

কঠোর বিধিনিষেধের লকডাউনের প্রথম দিনে জিরো টলারেন্সে ছিল আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। অকারণে বাসাবাড়ি থেকে বের হওয়ায় শুধু রাজধানী ঢাকাতেই আটক হয়েছেন ৫ শতাধিক। জরিমানা করা হয়েছে পৌনে ৩০০ গাড়ির। ঢাকার বাইরেও একইভাবে কঠোর অবস্থানে ছিল পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবি। মোড়ে মোড়ে ছিল চেকপোস্ট। ছিল মোবাইল কোর্ট। রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু প্রাইভেট কার চলতে দেখা গেছে। শহরগুলোতে ছিল রিকশার আধিক্য।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্যানুসারে, গতকাল সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১১৫৩ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫০ জনকে আটক, ২১২ জনকে মোবাইল কোর্টে জরিমানা, ৩৯১ জনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ৬টি গাড়ি।

গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর  কঠোর অবস্থানের চিত্র দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে; চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কাউকে থাকতে দিচ্ছে না তারা। সড়কে থামিয়ে কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন- এমন সব প্রশ্নের পর যৌক্তিক জবাব দিতে পারলেই সাধারণ মানুষকে গন্তব্যে যেতে দেওয়া হচ্ছে। না হয় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সবাইকে। রাস্তায় গণপরিবহন চলছে না। চলছে ব্যক্তিগত, অফিসের গাড়ি। অনেকেই গন্তব্যে যাচ্ছেন পায়ে হেঁটে। রাজধানীর পল্লবী, মিরপুর ১২ নম্বর এলাকা, কালশী, মাটিকাটা এবং বিমানবন্দর সড়ক এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত ছিল। মিরপুর ১২ নম্বর বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা যায়। এসব এলাকার প্রধান সড়কে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বের হতে দেখা যায়নি। আর যারা বের হয়েছিলেন তারা পায়ে হেঁটে এবং রিকশা করে গন্তব্যে যান। কুড়িল-বিশ্বরোড  সড়ক এলাকায় সীমা রানী নামে এক স্বাস্থ্যকর্মী দুপুরে বাড়িতে যাওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত কোনো যানবাহন না পেয়ে একটি পণ্যবাহী পিকআপকে তাকে বাড্ডায় নামিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। মোড়ে মোড়ে রিকশার আধিপত্য থাকলেও বিধিনিষেধ থাকায় বাস, সিএনজি এবং লেগুনার মতো গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। কিন্তু সড়কে পণ্যবাহী পিকআপ ও মোটরসাইকেলের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সড়কে উল্লেখসংখ্যক প্রাইভেট কার থাকলেও এর যাত্রীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পরিচয়পত্র এবং যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে নিজেদের গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। তবে প্রধান সড়কে যান চলাচল কম থাকলেও আবাসিক এলাকার অলিগলির ভিতরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি না থাকায় অনেককেই মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। রাজধানীর খিলক্ষেত ও ভাটারা এলাকার অলিগলিতে খোলা ছিল অধিকাংশ দোকানপাট। মুদিদোকান, ফলের দোকান, কাঁচাবাজার, রেস্তোরাঁর পাশাপাশি খোলা ছিল চায়ের স্টল, হার্ডওয়্যারের দোকান, সেলুন, স্টেশনারি ও কসমেটিক্সের দোকান। দেখা যায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও। দুপুরে কিছু রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খেতে দেখা গেছে অনেককে। এক পাশের ঝাঁপ বন্ধ রেখে বেচাকেনা চলেছে চা-সিগারেট। কিছু দোকানদার সকালে দোকান না খুলে পরিস্থিতি দেখে দুপুরের পর দোকান খুলে বসেন। সকালে বাজারে জনসমাগম অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম থাকলেও দুপুরের পর বাড়তে থাকে। তবে কুড়িল থেকে বাড্ডা পর্যন্ত মূল সড়ক ছিল ফাঁকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলও দেখা গেছে। নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড মোড়ে উভয় দিকে পুলিশের ছিল কড়া পাহারা। মোড়ের সব দিকের সড়কে দেখা গেছে পুলিশ চেকপোস্ট। সাইনবোর্ড থেকে শনির আখড়া পর্যন্ত সড়কে চারটি চেকপোস্ট দেখা গেছে। যদিও এই সড়কে কোনো ধরনের বাস বা গণপরিবহন দেখা যায়নি। রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে সেটাও খুব কম। দুপুর ২টার দিকে পুরো সড়কই ছিল ফাঁকা। কিছু ট্রাক চলাচল করতে দেখা গেছে। শনির আখড়া থেকে গুলিস্তান আসার ফ্লাইওভারের মুখে ছিল আরেকটি পুলিশ চেকপোস্ট। গুলিস্তান পর্যন্ত ফ্লাইওভার ছিল পুরোপুরি ফাঁকা। বঙ্গবাজার থেকে সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট পর্যন্ত যেতেও পুলিশের চেকপোস্ট দেখা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট থেকে কাকরাইল মসজিদ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, অফিসার্স ক্লাবের সামনে হয়ে মগবাজার পর্যন্ত সড়কেও অন্তত তিন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট দেখা যায়। এই সড়কের দুই পাশে ফার্মেসি ও খাবারের দোকান ছাড়া বাকি সব দোকানই বন্ধ দেখা গেছে। যানবাহনও ছিল খুব কম। মগবাজার থেকে হাতিরঝিল, পুলিশ প্লাজা, লিংক রোড হয়ে নতুন বাজার পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানেও চেকপোস্টে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

মহাসড়কগুলোতে কড়াকড়ি : কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গণপরিবহন ছিল না। অল্প কয়েকজন যাত্রীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সাধারণ রিকশায় করে চলতে দেখা গেছে। ছিল সেনাবাহিনীর টহল ও পুলিশ চেকপোস্ট। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নিরাপত্তাচৌকি বসানো হয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে মহাসড়কেও পুলিশ টহল দিচ্ছে। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সকাল থেকে কঠোর অবস্থান নিয়েছে গাজীপুর জেলা ও মহাসড়ক পুলিশ। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সকাল থেকে দুটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। একটি চন্দ্রা ত্রিমোড়ে, অন্যটি খাড়াজোড়া এলাকায়। টঙ্গী জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুৎ মিশ বলেন, লকডাউনকে কেন্দ্র করে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম মাঠে কাজ করছে। দোকানপাট বন্ধ করা, মানুষকে ঘর থেকে বের হতে না দেওয়া এবং গাড়িতে চলাচলকারীদের জন্য বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সব বিষয়ে নজরদারি রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এভাবেই চলবে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক, গার্মেন্টকর্মী বহনকারী কিছু পরিবহন ছাড়া অন্য কোনো পরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।

ঘাটে ফেরি আছে যাত্রী নেই : মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট গতকাল সকাল থেকে ছিল একেবারেই ফাঁকা। চার দিকে সুনসান নীরবতা। ঘাটে মালবাহী কয়েকটি ট্রাক থাকলেও যাত্রী নেই। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে ফেরিতে শুধু পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরি অ্যাম্বুলেন্স, রোগী ও লাশ বহনকারী গাড়ি পার করা হচ্ছে। প্রথম দিন গতকাল পণ্যবাহী গাড়ি ও জরুরি দু-একটি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস ছাড়া রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে অন্য কোনো পরিবহন ছিল না। তবে দু-একজন যাত্রীকে জরুরি প্রয়োজনে ফেরিতে করে ঘাট পার হতে দেখা গেছে।  মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে চাপ নেই, সড়ক-মহাসড়ক ফাঁকা। কঠোর লকডাউন ঘোষণায় পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহন ও সাধারণ যাত্রী একেবারেই নেই। জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করতে এই নৌরুটে প্রয়োজনীয় ফেরি রয়েছে। 

স্থলবন্দরগুলো ছিল স্বাভাবিক : স্বাভাবিক ছিল হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। অন্যান্য দিনের মতোই চলছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও ছাড়করণ কাজ। ফলে বন্দরে পিঁয়াজ, চাল, গম, ভুট্টা, পাথরসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি অব্যাহত রয়েছে।

বিভাগীয় শহরগুলোতেও কঠোর লকডাউন : ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামেও প্রথম দিনে ছিল কঠোর লকডাউন। সকালে নগরের ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে লকডাউন দেখতে আসা এমন ২১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ৫টি গাড়ি জব্দ এবং ১০টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ বলেন, সরকারি নির্দেশনা মতে, লকডাউন বাস্তবায়নে মহানগরীর ৪টি প্রবেশ ও বাহির পথসহ মোট ২০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী লকডাউনে অভিযান চলমান থাকবে। এর বাইরে টহল এবং নগরের দুই প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন দায়িত্বপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে চেকপোস্ট এবং টহল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নগরের প্রবেশপথ কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু ও সিটি গেট মোড়ে অবস্থান করা চেকপোস্ট ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বমোট ২৮টি টহল কাজ করছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে সাতটি টহল টিম এবং দুটি চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সিলেটে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে যান ও জনশূন্য ছিল রাস্তাঘাট। সিলেট জেলায় জেলা প্রশাসনের ৩৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায় নগরে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন অমান্য করায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও যানবাহনের মালিককে জরিমানা করেন। এ ছাড়া মোড়ে মোড়ে ছিল চেকপোস্ট। রাজশাহীতে গতকাল ছিল ভারি বর্ষণ। ভোর রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। ফলে রাজশাহীর রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল। তবে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও তৎপর আছেন। বৃষ্টির কারণে লোকজন বাইরে বের না হওয়ায় তাদের বেগ পেতে হয়নি। রোগী নিয়ে দু-একটি রিকশা হাসপাতালের দিকে গেলেও অন্য কোনো যানবাহন দেখা যায়নি। তবে বৃষ্টি ভেদ করে রাস্তায় টহলে ছিল পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, সেনাবাহিনী এবং আনসার সদস্যদের গাড়ি। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও মাঠে ছিল। রংপুরেও কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। দোকানপাট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি। রংপুরে দুই প্লাটুন বিজিবি ৪টি ভাগে বিভক্ত হয়ে টহল দিচ্ছে। রংপুরের ৮ উপজেলায় ৮টি এবং সিটি করপোরেশনে একটি সেনাবাহিনীর টহল টিম কাজ করছে। এ ছাড়া পুলিশ ও র‌্যাবের জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিংসহ টহল অব্যাহত রয়েছে। সারা দেশের মতো বরিশালেও শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। দূরপাল্লা ও স্থানীয় রুটের লঞ্চ-বাস এবং বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। নগরের মধ্যেও থ্রি হুইলার বন্ধ রয়েছে। প্রথম দিন কিছুসংখ্যক মানুষ রাস্তায় বের হয়েছে। কেউ কেউ জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলেও কিছু মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছে কৌতূহলী হয়ে লকডাউন দেখতে। চায়ের দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সকালের দিকে বাজারে কিছুটা ভিড় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার ফাঁকা হয়ে যায়। সারা দেশের মতো ময়মনসিংহেও লকডাউন কার্যকর করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলায় ২১০টি মামলায় ১ লাখ ৬২ হাজার ৬৯০ টাকা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল খুলনায় কড়াকড়ি লকডাউন পালিত হয়েছে। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশ চেকপোস্ট। নগরীর সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলেই তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে নগরীর ডাকবাংলা ময়লাপোতা সাতরাস্তা মোড়ে ফল ও খাবারের দোকান ছাড়া বাকি সব বন্ধ ছিল। রোগী, বয়স্ক মানুষ ছাড়া কাউকে বের হতে দেয়নি প্রশাসনের সদস্যরা।

সেনা ও নৌবাহিনী মোতায়েন : আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শহরসহ সেনাবাহিনীর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। অপারেশন ‘কভিড শিল্ড-ফেজ ২’ এর আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গত বছরের ন্যায় এ বছরও সাধারণ মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সতর্কতামূলক টহল পরিচালনা করছে। মোতায়েনরত অবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী টহল পরিচালনা এবং চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে চলাচল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রয়োজনে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের মাধ্যমে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে। অন্যদিকে, সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় কাজ শুরু করেছে নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্টসমূহ। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম ও খুলনা নৌ অঞ্চল থেকে ২৩ জন কর্মকর্তাসহ ১৯৬ জন নৌ সদস্যের ৮টি কন্টিনজেন্ট সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকাসমূহে টহল ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল থেকে ১২ জন কর্মকর্তাসহ ১০৮ নৌ সদস্যের ৬টি কন্টিনজেন্ট ভোলা সদর, বোরহান উদ্দিন, দৌলতখান, চরফ্যাশন, মনপুরা, লালমোহন, তজুমুদ্দিন, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, টেকনাফ, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী এলাকায় কাজ করছে। অন্যদিকে খুলনা নৌ অঞ্চল থেকে ১১ জন কর্মকর্তাসহ ৮৮ জন নৌ সদস্যের ২টি কন্টিনজেন্ট মোংলা বাগেরহাট, বরগুনা সদর, আমতলী, বেতাগী, বামনা, পাথরঘাটা এবং তালতলী উপজেলায় কাজ করছে। লকডাউন সম্পর্কে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো বিবরণ অনুযায়ী, বগুড়ায় প্রথম দিনের কঠোর লকডাউনে শহরের সাতমাথায় কোনো মানুষ দেখা যায়নি। মুন্সীগঞ্জে অতি জরুরি কাজ ছাড়া কাউকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হয়নি। অনেকে এই কঠোরতা দেখতে রাস্তায় এসে পুলিশের হাতে মার খেয়েছেন। নাটোরে প্রথম দিনের লকডাউন চলেছে কঠোরভাবে। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় তিন মামলায় ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলেছে কঠোর লকডাউন। সকাল থেকেই বন্ধ ছিল গণপরিবহন, শপিং কমপ্লেক্স, মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকানপাট। নীলফামারীতে সকাল থেকেই প্রধান সড়কে গণপরিবহনের দেখা মেলেনি। তবে সকাল ৮টার পর থেকে কিছু মানুষের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। বাগেরহাটে লকডাউনের প্রথম দিনে দূরপাল্লার পরিবহনসহ জেলার অভ্যন্তরীণ ১৬টি রুটে সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস, দোকানপাট, নৌযান, সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ ছিল। ঝিনাইদহেও চলেছে কঠোর লকডাউন। লক্ষ্মীপুরের সড়কগুলো ছিল জনশূন্য। যশোরে মানুষের চলাচল ছিল একেবারেই কম। লক্ষ্মীপুরে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেই জরিমানা করা হয়েছে। মাদারীপুরে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে রাস্তা-ঘাট ছিল পুরো ফাঁকা। জামালপুরে লকডাউনের কারণে সকাল থেকেই শপিং কমপ্লেক্সসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। দিনাজপুরের বিরামপুরে ‘হোসেন আলী সরকার মেমোরিয়াল স্কুল’ নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লকডাউনের মধ্যে কোচিং পরিচালনা করায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। চাঁপাইনবাবগঞ্জে সকাল থেকে সব বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস, সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ ছিল। গোপালগঞ্জে রাস্তায় অন্যান্য দিনের তুলনায় মানুষ ও যানবাহনের চলাচল কম ছিল। রাঙামাটিতে মার্কেট, দোকান পাঠ বন্ধ থাকার কারণে একেবারে ফাঁকা ছিল শহর। চলাচল করেনি কোনো প্রকার যানবাহন।

স্বাভাবিক চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম : কঠোর লকডাউনে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে কনটেইনার বহনকারী ট্রাক-লরি এবং কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কনটেইনার হ্যান্ডলিং করবে শ্রমিক-কর্মচারীরা। বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিতরা থাকবে স্বাভাবিক সময়ের মতোই। পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত গাড়ি নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে বন্দরের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে স্টিকার।  চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে সরকার এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শুরু করেছে। এই সময়ের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। গত এক বছরে রেকর্ড পরিমাণ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারের কঠোর লকডাউনেও আমরা প্রস্তুতি মতে কাজ করে যাচ্ছি। করোনার মধ্যেও বন্দরে কনটেইনার, কার্গো হ্যান্ডলিং ও জাহাজ আসার সংখ্যা স্বাভাবিক আছে।

এই বিভাগের আরও খবর
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় - চীন
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় - চীন
আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের
আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের
তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
সেঞ্চুরিতে শততম টেস্ট রাঙানোর অপেক্ষা
সেঞ্চুরিতে শততম টেস্ট রাঙানোর অপেক্ষা
নারীদের পেছনে রেখে আমরা এগোতে পারব না
নারীদের পেছনে রেখে আমরা এগোতে পারব না
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
ট্রানজিশনাল পিরিয়ডে আছি আমরা
ট্রানজিশনাল পিরিয়ডে আছি আমরা
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
চ্যালেঞ্জ গণভোট আয়োজন
চ্যালেঞ্জ গণভোট আয়োজন
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রাজনীতিতে উদ্বেগ বাড়ছে
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রাজনীতিতে উদ্বেগ বাড়ছে
সর্বশেষ খবর
খিলগাঁওতে মাইক্লোর শোরুম উদ্বোধন করলেন হাবিব
খিলগাঁওতে মাইক্লোর শোরুম উদ্বোধন করলেন হাবিব

এই মাত্র | কর্পোরেট কর্নার

ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন

১৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাশকতায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : অমানউল্লাহ আমান
নাশকতায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : অমানউল্লাহ আমান

১৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা শহর লন্ডন
২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা শহর লন্ডন

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম
স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম

২৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

৩২ মিনিট আগে | রাজনীতি

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা
মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক
এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক

৩৭ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান
ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেলজিয়ামে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট
বেলজিয়ামে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়

৪৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে সাড়ে ৩ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে সাড়ে ৩ হাজার নিবন্ধন

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‌্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবি
টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইন্টারডিসিপ্লিনারি সায়েন্স র‌্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবি

৫৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের অভিযান, নিহত ৩০
আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের অভিযান, নিহত ৩০

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দিতে সরকারের আচরণ অস্বাভাবিক: আমজনতার দল
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দিতে সরকারের আচরণ অস্বাভাবিক: আমজনতার দল

৫৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

এরশাদ হাসানের একক অভিনয়ে নতুন নাটক
এরশাদ হাসানের একক অভিনয়ে নতুন নাটক

৫৮ মিনিট আগে | শোবিজ

সাভারে চালু হচ্ছে বায়োজিনের নতুন শাখা
সাভারে চালু হচ্ছে বায়োজিনের নতুন শাখা

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

গাজীপুরে তরুণদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিএনপির উদ্যোগে ম্যারাথন
গাজীপুরে তরুণদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিএনপির উদ্যোগে ম্যারাথন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ
ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বরফ গলল তবে, ট্রাম্প-মাস্কের খুনসুটি
বরফ গলল তবে, ট্রাম্প-মাস্কের খুনসুটি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চবিতে চীনের অর্থায়নে কনফুসিয়াস সেন্টার স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
চবিতে চীনের অর্থায়নে কনফুসিয়াস সেন্টার স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সমালোচনার জবাব দিলেন রামচরণের স্ত্রী
সমালোচনার জবাব দিলেন রামচরণের স্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ‘সহনশীল রূপান্তর’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী
রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ‘সহনশীল রূপান্তর’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা