শিরোনাম
শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

বয়স ২৫ হলেই মিলছে করোনার টিকা

গ্রামে গঞ্জে টিকা দিতে সরকারের দুই কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা আরও কমিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ২৫-ঊর্ধ্ব সবাই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস)-এর পরিচালক মিজানুর রহমান গতকাল সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছে। এমনকি সুরক্ষা অ্যাপে এখন ২৫-ঊর্ধ্ব সবাই নিবন্ধনের সুযোগ  পাচ্ছেন। এদিকে গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজার, চায়ের দোকান বা জনসমাগম হয় এমন স্থানে ভিড় পরিহার এবং করোনা টিকা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুটি কমিটির প্রতিটিতে ১৪ জন করে সদস্য রাখা হয়েছে। দেশের সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) বুধবার চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

চলতি বছরের শুরুতে দেশে শুরু হয় করোনারোধী টিকা কার্যক্রম। শুরুতে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয় ৫৫-ঊর্ধ্ব। পরবর্তীতে তা কমিয়ে ৪০ করা হয়। এরপর আরও দুই দফা বয়সসীমা কমিয়ে করা হয় ৩০ বছর। টিকা কার্যক্রমের বিস্তৃতি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

সরকার আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে গণটিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখালে ১৮ বছর বয়সী সবাইকেই টিকা দেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, গত ১০ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভায় কভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রীর সভাপতিত্বে গত ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত সভায় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিটি গঠন করে এ বিভাগকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ইউনিয়ন কমিটি : ইউনিয়ন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে থাকছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া সদস্যসচিব হিসেবে থাকছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সচিব। কমিটির সদস্য হবেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক/স্থানীয় একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি, একজন বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, পরিবারকল্যাণ সহকারী, মাদরাসার একজন শিক্ষক, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত একজন এনজিও প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার, ইউনিয়নের অন্তর্গত বৃহত্তম হাট/বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন প্রতিনিধি।

ওয়ার্ড কমিটি : ওয়ার্ড কমিটিতে সভাপতি থাকবেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য। কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক/স্থানীয় একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি, একজন বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা, মাদরাসার একজন শিক্ষক, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত একজন এনজিও প্রতিনিধি, পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা, স্বাস্থ্য সহকারী, মসজিদের ইমাম, হাট/বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন প্রতিনিধি, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোপ্রাইটর, গ্রামপুলিশ এবং আনসার-ভিডিপির একজন সদস্য।

সর্বশেষ খবর