সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে পূর্বানুমতি কেন সাংঘর্ষিক নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

অভিযোগপত্রের আগে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বিধান সংবিধানের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

একই সঙ্গে ফৌজদারি মামলার আসামি কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিনকে পদায়ন করা থেকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে আদালত। পাশাপাশি এনডিসি এস এম রাহাতুল ইসলামকে বরিশালে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পদায়ন করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। হাই কোর্টে রিটটি দায়ের করেন কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যান। আদালতে তার আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ইশরাত হাসান। রিটকারীর আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান, সংবাদ প্রকাশের জেরে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ মধ্যরাতে অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগানকে হেনস্তা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে বাড়ি থেকে তাকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা। পরে সাংবাদিক আরিফুলের কাছে আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা পাওয়ার অভিযোগ এনে এক বছরের কারাদন্ড দিয়ে মধ্যরাতেই কারাগারে পাঠানো হয়। জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেন। কিন্তু আসামিদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। এমনকি একজনকে বরিশালে পদায়ন করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বলা হয়, এসব কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের আগে অনুমতি লাগবে। পরে এসব বিষয় নিয়ে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪১(১) ও (৩) এর বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর