রবিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

কড়া নিরাপত্তায় আজ নোয়াখালী পৌর নির্বাচন

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী পৌরসভায় আজ নির্বাচন। ভোট গ্রহণ করা হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। পুলিশ আট স্তরের নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দিয়েছে গোটা পৌর এলাকা। প্রতিটি কেন্দ্রে বসানো হয়েছে চেক পোস্ট। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। ৩৪টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে। ১৯৭৬ সালের প্রতিষ্ঠিত এ পৌর সভায় এবার ভোটার ৭৫ হাজার ৭২৬।

জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম গতকাল দুুপুরে নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্রিফিংয়ের পর কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয় ভোট গ্রহণের বিভিন্ন সামগ্রী। নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন মোট সাতজন। এর মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সহিদ উল্যাহ খান সোহেল (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেনিন (মোবাইল প্রতীক) ও বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম কিরণ। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হওয়ার দল তাকে অব্যাহতি দিয়েছে।

ভোটারদের মধ্যে তীব্র জল্পনা : মেয়র পদের জন্য এ তিনজনের মধ্যে লড়াই হবে ত্রিমুখী। আবার এমন জল্পনাও শোনা যায়, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে সোহেল ও লেনিনের মধ্যে। এবারের নির্বাচনের কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হলো, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের জন্য ১৭ জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেনিন গত বৃহস্পতিবার রাতে লইয়ার্স কলোনি, লক্ষ্মীনারায়ণপুর, মহিলা কলেজ সড়ক এলাকায় তার সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগ করেন। বিকালে তিনি তার সমর্থক ও নির্বাচনের কেন্দ্রের এজেন্ট নিয়ে নির্বাচনের দিন করণীয় বিষয়ে ব্রিফিং করেন। জানতে চাইলে প্রার্থী লেনিন বলেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকারদলীয় প্রার্থী বিভিন্ন স্থানে তার সমর্থকদের হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে তার নির্বাচন কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে, তার সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে। লেনিন বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তিনি জয়ী হবেন।

জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী শহিদ উল্যাহ খান সোহেল তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, লেনিন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন। তিনি বলেন, সাড়ে পাঁচ বছর পৌরবাসীর সেবা করেছি। ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আশাকরি পৌরবাসী এর প্রতিদান দেবেন। সোহেলও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আজ ভোট গ্রহণের সময় ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৮০০ পুলিশ সদস্য ছাড়াও তিন প্লাটুন বিজিবি ও তিন প্লাটুন র‌্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণে তারা বদ্ধপরিকর। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর