বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বীরের বেশে দেশে মেসিরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বীরের বেশে দেশে মেসিরা

১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনা সর্বশেষ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। দিয়েগো ম্যারাডোনার নেতৃত্বে বিশ্বসেরা হয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা। গোটা আর্জেন্টিনা সেবার উৎসবের দেশে পরিণত হয়েছিল। তখনো লিওনেল মেসির জন্ম হয়নি। পরের বছর,  ১৯৮৭ সালে জন্ম নেন মেসি। জন্মের পর থেকেই শুনে এসেছেন আর্জেন্টিনা দুবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু তিনি যখন ফুটবলার হয়েছেন, তখন থেকে স্বপ্ন দেখেছেন বিশ্বকাপ জয়ের। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপ পর্যন্ত অপেক্ষায় কেটেছে তার সময়। স্বপ্ন দেখেছেন বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার। স্বপ্ন পূরণ হয়নি। অবশেষে কাতার বিশ্বকাপে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি জিতেছে। এই জয়ে মেসি তার ক্যারিয়ারের পূর্ণতা পেয়েছেন। দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্সকে। স্বপ্নের ফাইনালটি নির্ধারিত ১২০ মিনিট পর্যন্ত ড্র ছিল ৩-৩ গোলে। বিশ্ব জয় করে মেসি, আলভারেজ, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া, এমিলিয়ানো মার্টিনেজরা গতকাল বুয়েন্স আয়ার্সে ফিরেছেন। লাখ লাখ আর্জেন্টাইন বিশ্বজয়ী বীর ফুটবলারদের বরণ করে নেন রাজসিক সংবর্ধনায়। ১৯৮৬ সালের পর আরও দুবার বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৯০ সালে বিতর্কিত পেনাল্টিতে হেরে যায় জার্মানির কাছে। ২০১০ সালে মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা সর্বশেষ বিশ্বকাপের ফাইনাল উঠেছিল। কিন্তু সেবারও হতাশায় পুড়েছিলেন আর্জেন্টাইনরা। জার্মানির কাছে হেরে রানার্সআপেই সন্তুষ্ট ছিলেন মেসিরা। এবার আর হতাশায় পুড়তে হয়নি আর্জেন্টিনাকে। সৌদি আরবের কাছে প্রথম ম্যাচ হারের পর টানা জয়ে বিশ্বকাপ জিতেই বাড়ি ফিরেছেন মেসিরা। এর আগে ১৯৭৮ সালে ঘরের মাঠে এবং ১৯৮৬ সালে মেক্সিকোতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার চ্যাম্পিয়ন হলো কাতারে। মেসিদের নিয়ে স্থানীয় সময় রাত আড়াইটায় রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি। এরপর অপেক্ষমাণ জনতার আনন্দ, উল্লাস, উচ্ছ্বাস, উৎসব ছিল দেখার মতো। বিমানবন্দর থেকে ছাদ খোলা বাসে চড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফুটবলাররা এগিয়ে যান লাখ লাখ মানুষের মধ্যদিয়ে। সবার গলায় ছিল বিশ্বকাপের মেডেল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর