সোমবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

নেপালে বিমান বিধ্বস্ত নিহত ৬৮

রানওয়েতে পৌঁছানোর আগ মুহূর্তে দুর্ঘটনা, আরোহী ছিলেন ৭২ জন হতাহতের মধ্যে নেই বাংলাদেশি

প্রতিদিন ডেস্ক

নেপালে বিমান বিধ্বস্ত নিহত ৬৮

নেপালে বিধ্বস্ত যাত্রীবাহী বিমান -এএফপি

রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২৫ মিনিট দূরত্বের পর্যটন কেন্দ্র পোখারায় যাওয়ার পথে নেপালের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ইয়েতি এয়ারলাইনসের এ বিমানটি পোখারায় অবতরণের আগ দিয়ে যান্ত্রিক গোলযোগের শিকার হয় এবং এটি পাহাড়ি এলাকার মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে মোট ৭২ আরোহীর মধ্যে ৬৮ জন যাত্রী এবং বাকিরা ক্রু ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন বিদেশি নাগরিক। তাদের মধ্যে পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রুশ, দুজন দক্ষিণ কোরীয় এবং একজন করে ছিলেন আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার। যাত্রীদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি ছিলেন না। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, উদ্ধার কাজ অব্যাহত ছিল এবং এ সময় পর্যন্ত ৬৮ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, কাঠমান্ডু পোস্ট, আনন্দবাজার,   এনডিটিভি। নেপালি পুলিশের কর্মকর্তা অজয় কেসি সর্বশেষ খবর দিয়ে বলেন, ‘আমরা ৩১টি লাশ হাসপাতালে পাঠিয়েছি এবং আরও ৩৭টি লাশ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করেছি।’ এদিকে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি অবতরণের সময় হঠাৎ কাত হয়ে সরাসরি মাটির দিকে নেমে আসতে থাকে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কৃষ্ণ ভান্ডারি বলেছেন, উড়োজাহাজটি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। পাহাড়ি এলাকায় যেখানে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখান থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েক শ উদ্ধারকর্মী সেখানে কাজ করছেন। তবে জায়গাটি দুর্গম গিরিখাদ হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই সেখানে পৌঁছান অরুণ তামু নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, দুই টুকরো হয়ে যাওয়া উড়োজাহাজটির অর্ধেকটা পড়ে পাহাড়ের মধ্যে। বাকিটা পড়ে সেতি নদীর খাড়িতে। নেপালের বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি খারাপ আবহাওয়ার কারণে নয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। বিমানটি রানওয়েতে পৌঁছার ঠিক আগের মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে। এ সময় আবহাওয়া খারাপ ছিল না। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) জানিয়েছে, পোখারা বিমানবন্দরের রানওয়ে পূর্ব-পশ্চিম দিক বরাবর। প্রাথমিকভাবে পাইলটকে পূর্ব দিকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে যদিও পাইলট পশ্চিম দিকে নামার জন্য এটিসির কাছে অনুমতি চান। তাকে নামার জন্য অনুমতিও দেওয়া হয়। কিন্তু রানওয়ে  ছোঁয়ার আগেই সেটি ভেঙে পড়ে।

বিমান দুর্ঘটনা তদন্তের জন্য নেপাল সরকার পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে। একই সঙ্গে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর