মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

জীবিত কাউকেই উদ্ধার করা যায়নি

খতিয়ে দেখা হচ্ছে নেপালে বিমান বিধ্বস্তের কারণ

প্রতিদিন ডেস্ক

জীবিত কাউকেই উদ্ধার করা যায়নি

নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া বিমান থেকে কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার সকালে দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে পাইলট ও অন্যরা মিলিয়ে মোট ৭২ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানটি পর্যটননগরী পোখারায় নতুন উদ্বোধন করা বিমানবন্দরে নামার সময় বিধ্বস্ত হয়। সর্বশেষ খবর দিয়ে গতকাল নেপালের সেনাবাহিনী জানায়, যেখানে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে কোনো আরোহীকে জীবিত পাননি তারা। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখারাগামী অভ্যন্তরীণ রুটের এই বিমানে পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রুশ, দুজন দক্ষিণ কোরীয় এবং আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার একজন করে যাত্রী ছিলেন। উদ্ধারকারীরা উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছে একটি মোবাইল ফোন খুঁজে পেয়েছেন। তাতে উড়োজাহাজটি পড়ে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তের ভিডিও পাওয়া গেছে। এর ব্লাকবক্সও উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে নেপাল সরকার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করেছে এবং আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

স্বামীর ১৬ বছর পর প্রাণ গেল স্ত্রীরও : দুর্ঘটনার শিকার ইয়েতি এয়ারলাইনসের কয়েক টুকরো হয়ে যাওয়া বিমানটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নিহত দুই পাইলটের মধ্যে একজনের নাম অঞ্জু খাতিওয়াদা। ২০০৬ সালে একইভাবে প্রাণ হারান তার স্বামী কো পাইলট দীপক পোখারেল। ঘটনাচক্রে সেটিও ছিল এই ইয়েতি এয়ারলাইনসেরই একটি বিমান। গত রবিবার সকালে কাঠমান্ডু থেকে পর্যটন শহর পোখারার উদ্দেশে উড়াল দেয় ইয়েতি এয়ারলাইনসের ‘৯ এন-এএনসি এটিআর-৭২’ মডেলের উড়োজাহাজ। ক্যাপ্টেন কামাল কেসির সঙ্গে ছিলেন কো-পাইলট অঞ্জু। সকালে উড়োজাহাজটি পোখারা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় সেতি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয়। তখন স্বামীর মতোই একইভাবে প্রাণ যায় এই কো-পাইলট অঞ্জুর। শুধু তাই নয়, স্বপ্নপূরণের মাত্র কয়েক সেকেন্ড আগেই থেমে যায় অঞ্জুর স্বপ্নযাত্রা। কারণ এই যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি সফলভাবে অবতরণ করাতে পারলেই কো-পাইলট থেকে ক্যাপটেন পদে উন্নীত হতেন অঞ্জু, যা ছিল তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। অঞ্জুর আত্মীয়রা জানান, নিহত অঞ্জু এবং দীপক রেখে গেছেন ২২ বছর বয়সী এক মেয়ে সন্তানকে।

সর্বশেষ খবর