মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সক্রিয় সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ষষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেন। দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ ২৫টি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিসহ হাইব্রিড ফরমেটে এতে বিভিন্ন দেশের দেড় শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। আজ সম্মেলনের শেষ দিন। সম্মেলনে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ হওয়া সত্ত্বেও মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাকে বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে তাদের বোঝা টানা আর সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় সমুদ্র বিষয়ে বিপুল সম্ভাবনা থাকার পরও ভারত অঞ্চল অবহেলিত বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন রাষ্ট্রকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় দেশগুলোকে অংশীদারির ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালালে দেশগুলো সমুদ্রসম্পদ ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আরও উপকৃত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সম্মেলন আয়োজনে সহযোগিতা করায় ভারতের প্রতি ধন্যবাদ। বর্তমান বিশ্বের ৬০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথে পরিচালিত হচ্ছে। গত ১৫ বছরে সমুদ্রপথে বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এই বিপুল সম্ভাবনা এখনো অনেকটাই অব্যবহৃত রয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য শান্তি, অংশীদারি এবং সমৃদ্ধি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে ওই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে অভ্যাগত অতিথিদের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (আইওসি) ২০১৬ সালে শুরু হয়েছিল এবং গত ছয় বছরে এটি আঞ্চলিক বিষয়ে এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য একটি ফ্ল্যাগশিপ পরামর্শমূলক ফোরাম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইওসির মোট পাঁচটি সম্মেলন হয়ছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরে, ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায়, ২০১৮ সালে ভিয়েতনামে, ২০১৯ সালে মালদ্বীপে এবং ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সম্মেলন হয়েছে। কভিড-পরবর্তী অবস্থা এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এবারের কনফারেন্সের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও অংশীদারি’। এর আগে সম্মেলনবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করছি এ কনফারেন্স থেকে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলো যে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, তা মোকাবিলায় কিছু সুপারিশ আসবে, যা এ এলাকার ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
শিরোনাম
- চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
- আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি
- দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি
- আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা
- এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
- পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
- বাবার হাত ছেড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় সন্তানের মৃত্যু
- বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিড নিক্ষেপ, দুই নারী ও শিশু দগ্ধ
- এনএসডিএ'র নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন রেহানা পারভীন
- নারী পাচারে টোপ ‘ভালো চাকরি’
- মুগদায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি, হাসপাতালে তরুণের মৃত্যু
- মাতুয়াইলে ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
- জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম
- জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
- ফ্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ
- শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত
- এবার ‘ট্রাম্প সুগন্ধি’ বাজারে, বিতর্ক
- মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৮ ডাকাত গ্রেফতার
- পারমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত ইরানের
- তিতাসে পাওনা টাকা নিয়ে রাজমিস্ত্রিকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ২
রোহিঙ্গাদের বোঝা টানা সম্ভব হচ্ছে না
ঢাকায় ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর