এক দফা দাবি আদায়ে আজকের মহাসমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো প্রকার উসকানিতে পা দেবে না বিএনপি। সরকারের পক্ষ থেকে বাড়াবাড়ি করলে, বাধা দিলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রের সব সমস্যার মূল নির্বাচন কেন্দ্র করে। দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে না। তাই অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। সে সরকারই স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। কেবল সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তিনি বলেন, এসব দাবির জন্য শনিবার (আজ) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ হবে।
ফখরুল বলেন, এক দফা দাবি আদায়ে ইতোমধ্যে আমরা অনেক সভা-সমাবেশ করেছি শান্তিপূর্ণভাবে। সরকারের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ এ সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন ধরনের উসকানি দেওয়া হচ্ছে। পাড়ামহল্লা, জেলা-উপজেলা নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। সরকার আদালতকে ব্যবহার করে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মামলা নিষ্পত্তি করছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্য ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করবে। তিনি বলেন, পুরো জাতি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে। এবারের নির্বাচন ’১৮ আর ’১৪ সালের মতো হবে না। জনগণ তা মেনে নেবে না। এজন্যই জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে। তিনি বলেন, সরকার চায় না অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ কারণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায়। তবে অতীতের মতো আর সে সুযোগ পাবে না। সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। সরকার নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে বারবার ক্ষমতায় টিকে থাকছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাছির উদ্দিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
