আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের সার্বক্ষণিক সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে অশুভ খেলার দুরভিসন্ধি আছে বিএনপির। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শান্তি সমাবেশ করে দেখিয়ে দেব, আমরা অশান্তির বিরুদ্ধে। গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিদেশি বন্ধুদের কাছে আমাদের অপমান করেছে। আমাদের আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য যদি জীবন দিতে হয়, তারপরও আমরা পথ ছাড়ব না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শান্তি সমাবেশ করে দেখিয়ে দেব, আমরা অশান্তির বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। অশান্তি আমরা করতে চাই না। অশান্তি কারা চায়? যারা নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, যারা দেশের নির্বাচন অস্থিতিশীল করতে চায়। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে মুহূর্তে ফ্রি- ফেয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক সেই সময় যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় যারা নিয়ে যেতে চায়, তারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য লড়াই করেছিলাম। বিএনপি ২০০১ এবং ২০০৬ সালে এটিকে বিতর্কিত করেছে। সংবিধান ক্ষতবিক্ষত করেছে বিএনপি। আমরা যা অর্জন করেছিলাম সেটিকে তারা অপমান করেছে, ছোট করেছে। এদের প্রতিহত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশ অস্থিতিশীল করার যে চ্যালেঞ্জ বিএনপি দিচ্ছে সেটিকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। দেশ স্বাধীনতার আদর্শ অনুযায়ী চলবে নাকি ‘৪৭-এর দ্বিজাতি তত্ত্বের মাধ্যমে চলবে তার একটি মীমাংসায় আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে কবরস্থানে পাঠানোর ঘোষণা দেয় তারা। যে দল ’৭৫-এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার- স্লোগান দেয়, তারা কখনো দেশের উন্নয়ন চাইতে পারে না। তাই এই অপশক্তিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না। এই অপশক্তিকে চিরতরে অবসান করতে হবে। এ জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে থাকতে হবে, রাজপথে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা বেঁচে থাকতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিসর্জন দিতে দেব না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে অনির্বাচিতদের হাতে কোনোভাবেই ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পারি না আমরা।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা সবাই নিজে নিজের দায়িত্ব নেবেন। এ যুদ্ধ আমাদের সবার। এটি আমাদের বাংলাদেশের আরেক মুক্তিযুদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ থাকলে শেখ হাসিনার হাত আমরা শক্তিশালী করতে পারব।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মো. ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন প্রমুখ।