রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

আতঙ্ক বাড়িয়ে আসছে রিমাল

ঘূর্ণিঝড়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ঝুঁকিতে উপকূলীয় জেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আতঙ্ক বাড়িয়ে আসছে রিমাল

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়। আর সে খবরে আতঙ্ক রয়েছে উপকূলজুড়ে। কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত প্রতিটি জেলাই রয়েছে ঝুঁকিতে। দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে মোতাবেক ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কয়েক ধাপের প্রস্তুতি নিয়েছে উপকূলের জেলাগুলোর স্থানীয় প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়ের আগে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী প্রস্তুতির অংশ নিয়ে রেখেছে মন্ত্রণালয়। খোলা রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র, প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক টিম। এ ছাড়া কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কাজ করবে।

গতকাল রাত ১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপটি  ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর নাম ‘রিমাল’। নামটি ওমানের দেওয়া। রিমাল আরবি শব্দ, এই নামের অর্থ ‘বালু’।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের উপকূল খেপুপাড়া এবং ভারতের সাগর আইল্যান্ডের মাঝ দিয়ে যাবে এই ঘূর্ণিঝড়টি, যা আজ রবিবার সকাল থেকে অগ্রভাগের প্রভাব ফেলবে। তবে মূল ঝড়টি সন্ধ্যা নাগাদ স্থলভাগ অতিক্রম করবে। প্রসঙ্গত, সাগরে কোনো ঘূর্ণিবায়ুর চক্রে কেন্দ্রের কাছে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬২ কিলোমিটারের বেশি হলে তখন তাকে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গতকাল ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের সাত নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে, বাড়ছে শক্তিও। তাই সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত নামিয়ে তোলা হয়েছে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত। নিম্নচাপটি গতকাল দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কিমি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কিমি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিমি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিমি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়।

লঞ্চ চলাচল বন্ধের নির্দেশ : ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) মো. জয়নাল আবেদীন এ তথ্য জানান।

বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এর প্রভাবে নৌপথ উত্তাল হওয়ায় যাত্রী সাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ১০টায় অভ্যন্তরীণ নৌপথের সব লঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে উপকূলীয় এলাকায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিমানের কক্সবাজার ও কলকাতার ফ্লাইট বাতিল : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আজ রবিবার কক্সবাজারের সারা দিনের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

সদরঘাট থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ঢাকার সদরঘাট থেকে সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার রাতে এ তথ্য জানান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নৌপথ উত্তাল হওয়ায় যাত্রী সাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে আজ রাত ১০টা থেকে ঢাকা নদীবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথের সব লঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় তা ঘূর্ণিঝড় রিমালে পরিণত হয়।

ছয় জেলাকে বিশেষ প্রস্তুতির নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের : ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাকে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। গতকাল দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভায় এ নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। সভা শেষে ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। উপকূলবর্তী সব জেলাকে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. আজিজুর রহমান ঘূর্ণিঝড়টি অতি প্রবল আকার ধারণ করে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গতকাল দুপুরে ঢাকার আবহাওয়া অধিদফতরে এক ব্রিফিংয়ে এ আশঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেন, রাতে শক্তি সঞ্চয় করে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরপর রবিবার সকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সাগরের মধ্যভাগ দিয়ে আসছে বলে ঘূর্ণিঝড়টি বেশি শক্তিশালী হতে পারে।

এই আবহাওয়াবিদ বলেন, এটা ভারতের উপকূল ঘেঁষে এলে শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগটা কম পেত। কিন্তু সাগরের মধ্যভাগ দিয়ে আসছে বলে সব দিকে শক্তি সঞ্চয় করার পরিবেশ পাচ্ছে। সুতরাং, এটা আরও শক্তি সঞ্চয় করে ‘সিভিয়ার সাইক্লোনে’ রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেটি রবিবার সকাল নাগাদ হতে পারে।

চট্টগ্রাম : নিম্নচাপের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রেড অ্যালার্ট-৬ জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বন্দর জেটি এবং বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে।

কক্সবাজার : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরের ওপর সতর্ক সংকেত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গতকাল রাতে আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি আটটি বিভাগে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

বাগেরহাট : সর্বোচ্চ ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড় রিমলের প্রভাবে বাগেরহাটের নদনদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। রাতের জোয়ারে স্বাভাবিক অবস্থার দেড় দুই ফুট পানি বাড়ার খবর পাওয়া গেছে। বইতে শুরু করেছে দমকা হাওয়া। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির হরিণ ও বিলুপ্ত প্রজাতির বাটাগুড় বাসকা কচ্ছপ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমনের প্রভাবে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা তিন জেলার মধ্যে বাগেরহাটের জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বরগুনা : বরগুনায় জোয়ারের পানির উচ্চতা রাত ১১টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পিরোজপুর : দুর্যোগ আক্রান্তদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ২৯৫টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ২৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পটুয়াখালী : জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রয়েছে। এসব স্থানে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এ ছাড়া ৩৫টি মুজিব কিল্লায় মোট ১২ হাজার ২৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। মজুদ আছে ৭৩০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য, ১০ লাখ টাকার গোখাদ?্য প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। কলাপাড়ায় ১৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ২০টি মুজিব কিল্লা এবং ৩১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাগেরহাট : জেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষকে নিরাপদ রাখতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্র। এ ছাড়া উপকূলবর্তী উপজেলার দুর্যোগসহনীয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হবে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিপিপি, যুব রেড ক্রিসেন্টসহ ৩ হাজার ৫০৫ স্বেচ্ছাসেবক। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ‘অ্যালার্ট থ্রি’ জারি করে সব বাণিজ্যিক জাহাজকে বন্দর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। সুন্দরবন বিভাগের সব কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের ছুটি বাতিল করে পর্যটকসহ মৌয়াল ও জেলেদের ম্যানগ্রোভ এই বন থেকে লোকালয়ে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহম্মদ আল বেরুনী জানান, জেলার ৩৩৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ১০ কিলোমিটার বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হলে বেড়িবাঁধের এসব ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ভেঙে যেতে পারে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রক্ষায় পাউবোর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে বালুভর্তি পর্যাপ্ত জিওব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

খুলনা : খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানিয়েছেন, জেলার ৬০৪টি আশ্রয় কেন্দ্র ও তিনটি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত থাকবে। জানা গেছে, খুলনার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় প্রায় ২২ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। বাপাউবো খুলনা পওর বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম জানান, কোথাও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে জরুরিভিত্তিতে মেরামতের জন্য জিও ব্যাগ, সিনথেটিক ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে।

মোংলা বন্দরে হারবাড়িয়া ও জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে সরিয়ে চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে নোঙর করতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর