শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ আপডেট:

সাক্ষাৎকার - ড. বদিউল আলম মজুমদার

মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে ক্লাবে পরিণত সংসদ

নির্বাচন কমিশন সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, ধ্বংস করেছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা
গোলাম রাব্বানী
প্রিন্ট ভার্সন
মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে ক্লাবে পরিণত সংসদ

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, যে নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর করবে না, সে নির্বাচন অসাংবিধানিক। যে নির্বাচন আমাদের গণতন্ত্র সুসংহত করবে না; গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করবে সেটা সংবিধানের লঙ্ঘন। বিগত তিনটি নির্বাচন কমিশন গঠনে ত্রুটি ছিল। তারা পাতানো-একতরফা নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। সংবিধান লঙ্ঘন করেছে।

রাজনৈতিক দল, অংশীজনের সহযোগিতা ছাড়া সবচেয়ে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দিয়েও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি সংবিধান সংশোধন করে গণভোটের বিধান চালু করার পরামর্শ দেন।

গত শুক্রবার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন। এ সময় রাষ্ট্র সংস্কার, সংবিধান সংশোধন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ, নির্বাচনি আইন সংস্কার বিষয়ে কথা বলেন তিনি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে ইতোমধ্যে ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে অবাধ-নিরপেক্ষ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কী কী সংস্কার প্রয়োজন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান।

আগামী সংসদ নির্বাচন কবে হবে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট জমা হওয়ার পর সাত দিন ধরে একটি সংলাপ হবে এবং কী কী করতে হবে। সবার সম্মতির ভিত্তিতেই কখন নির্বাচন হবে তা নির্ধারিত হবে। এটা ঐকমত্যের বিষয়। রাজনৈতিক দল ও সরকারের। এ ক্ষেত্রে সরকারসহ সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হবে। এটাই হচ্ছে কাক্সিক্ষত।

সুজন সম্পাদক বলেন, আমাদের দেশে পরপর তিনটি নির্বাচন হয়েছে জালিয়াতির মাধ্যমে। একতরফা নির্বাচন হয়েছে। সেটা গণতান্ত্রিক নির্বাচন নয়। গণতান্ত্রিক নির্বাচন হলো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। নির্বাচন মানে হলো, বিকল্প থেকে বেছে নেওয়া। তাই বিকল্প থাকতে হবে। তবে সেটাও হতে হবে যথার্থ বিকল্প। বিকল্প থেকে যাতে মানুষ ভিন্নমত, ভিন্নপথ বেছে নিতে পারে। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, তার কী পরিণতি-আমরা অতীত থেকে দেখেছি। গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন হওয়ার পরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা জনগণের স্বার্থে কাজ করার কোনো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। কারণ তাদের ভোটের দরকার ছিল না। যারা তাদের ক্ষমতায় এনেছে, টিকিয়ে রেখেছে তারা তাদের সঙ্গে কাজ করেছে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, তাহলে দায়বদ্ধতা কাঠামো ভেঙে যায়। পাঁচ বছর পরপর জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা করার মাধ্যমে জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হয়। জনগণের সঙ্গে তাদের কাজ করতে হয়, তা না হলে কিন্তু জনগণ লাল কার্ড দেখাতে পারে। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে যারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন, তারা বিতর্কিত হন। তাদের নিয়ে যারা সরকার গঠন করবে তারা জনগণের শাসন নিশ্চিত করবে না।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ১ অক্টোবরের আগেই পুরোপুরি গঠন হবে বলে আশা করছি। আমরা যাতে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করতে পারি। নির্বাচন সংস্কার কমিটির সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিটির কাজের সম্পৃক্ততা রয়েছে। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন পদ্ধতি হবে কি না-এ ব্যাপারে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা চলছে। অনেক দলও এটা নিয়ে আলোচনা করছে। বাম দলগুলো আলোচনা করছে। এটা করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সংবিধান সংস্কার কমিটির সঙ্গে একত্রে কাজ করার চেষ্টা করব আমরা। আবার দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হবে কি না? আমাদের টাইম লিমিট থাকবে কি না? আবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে হয়তো কিছু কিছু পরিবর্তন করতে হবে।

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য কী কী বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক কাজ আছে যা সংবিধান সংশোধন কমিটির মধ্যে পড়ে। ছয়টি যে কমিটি করা হয়েছে সেগুলো রয়েছে। আরও কিছু সংস্কার আমাদের প্রয়োজন রয়েছে। যেমন স্থানীয় সরকার বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। সামরিক বাহিনীর কিছু সংস্কার প্রয়োজন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের জন্য একটি আইন করা দরকার। অনেক দেশে রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সংবিধানের বিধান রয়েছে। এটা ইসির পলিটিক্যাল পার্টি নিবন্ধনের মধ্যে আসতে পারে। যেমন জার্মানিতে রাজনৈতিক দল সম্পর্কিত বিষয় রয়েছে সংবিধানে। বর্তমানে একজন উপদেষ্টা বলছেন যে রাজনৈতিক দলের জন্য অ্যাক্ট করার বিষয়টি ভাবা যেতে পারে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য অনেক অংশীজন থাকে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। তারা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এজন্য নির্বাচন কমিশনকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। তাদের চাকরির সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে গঠিত হয়নি। বিগত তিনটি নির্বাচন কমিশন গঠনে ত্রুটি রয়েছে। আগের দুটি কমিশন গঠিত হয়েছে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে। আগে একটি অনুসন্ধান কমিটি হতো। তারা ১০ জনের নাম প্রস্তাব করত। সেখান থেকে পাঁচজনকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিতেন। কিন্তু বিগত সময়ে মূলত প্রধানমন্ত্রী তাদের নিয়োগ দিতেন। প্রধানমন্ত্রী দলীয় তাই তিনি তাঁর অনুগতদের নিয়োগ দেবেন এটাই স্বাভাবিক। এটাই হয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, যে নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর করবে না সে নির্বাচন অসাংবিধানিক। যে নির্বাচন আমাদের গণতন্ত্র সুসংহত করবে না তা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করবে। সেটা সংবিধানের লঙ্ঘন। এজন্যই আমাদের আউয়াল কমিশন সংবিধানের লঙ্ঘন করেছে। নূরুল হুদা কমিশন লঙ্ঘন করেছে। তারা পাতানো নির্বাচন করেছে। একইভাবে রকিব কমিশনও আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এটা করতে গিয়ে তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। তারা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ইসি নিয়োগের আইনে ত্রুটি আছে। ২০২২ সালে যে আইনটি করা হয়েছে সেটা একটা দায়মুক্তির আইন। তা ছাড়া আইনের আওতায় সার্চ কমিটির দুজন ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যারা দলীয়। যেমন বিগত কমিশন নিয়োগের সময় কমিটিতে ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন। তিনি ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। আরও একজন ছিলেন। তিনিও দলীয় কমিটিতে ছিলেন। নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইনটিতেই বড় ত্রুটি রয়েছে। এর পরে যাদের এ আইনের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় তারাও ত্রুটিপূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট। তিনি আরও বলেন, আরেকটি ত্রুটি হচ্ছে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যে হলফনামা জমা দেওয়া হয়, সেগুলোয় ত্রুটি। কেননা হলফনামা যাচাই করার কোনো প্রক্রিয়া নেই। যদিও নির্বাচন কমিশনের এটা যাচাই করার অধিকার রয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলে, তারা আইনগতভাবে যাচাই করতে বাধ্য নয়। এটা কমিশনের অজুহাত মনে হয়। সুষ্ঠু নির্বাচন করার খাতিরে সবকিছু করার অধিকার রয়েছে কমিশনের।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন আইনের মধ্যে আরেকটি ত্রুটি রয়েছে আরপিওতে। আরপিওর বড় ত্রুটি হলো, ছাত্রদের দাবি ছিল লেজুড়ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা। আরপিও অনুযায়ী লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র সংগঠন বেআইনি। কিন্তু আরপিও রাজনৈতিক দল নিবন্ধন অনুচ্ছেদে রয়েছে-নিবন্ধিত দলের গঠনতন্ত্রে কোনো অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন থাকতে পারবে না। তবে এ আইনের ভাষা অনেক দুর্বল। দলগুলো গঠনতন্ত্র থেকে অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন শব্দগুচ্ছ বাদ দিয়েছে, কিন্তু ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বলে রেখে দিয়েছে। এ ত্রুটিটা দূর করা দরকার। আরও একটি ত্রুটি রয়েছে সেটা মূলত প্রয়োগের বিষয়। সেটা হচ্ছে, নিবন্ধিত দলের বিদেশি শাখা থাকতে পারবে না। আমাদের সবকটি রাজনৈতিক দলের বিদেশি শাখা রয়েছে। নির্বাচিত দলের বিদেশি শাখা থাকার কথা নয়। এটা আরও জোরালো আইন করতে হবে এবং চর্চায় আনতে। সুজন সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে আরেকটা বড় ত্রুটি হচ্ছে-আমাদের নির্বাচনে টাকার খেলা হয়। নির্বাচনে টাকার খেলার কারণে ব্যবসায়ীদের আধিক্য দেখা যায় সংসদে। টাকার খেলা বন্ধ করতে হলে আমাদের অনেক কাজ করা দরকার। এজন্য প্রথমেই মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করা দরকার। মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করার কথা বলা সহজ, কিন্তু বাস্তবায়ন কঠিন। মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে আমাদের সংসদটা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অংশবিশেষে পরিণত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য আমাদের মনোনয়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হব। রাজনৈতিক দল যদি প্যানেল তৈরি করে, সে প্যানেল থেকে যদি দলগুলো মনোনয়ন দেয় তাহলে হয়তো কিছুটা বাণিজ্য বন্ধ হবে। জনপ্রিয় ব্যক্তিরা মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আইন সংস্কার করার দরকার যাতে মনোনয়ন বাণিজ্যের লাগাম টানা যায়। তিনি আরও বলেন, আরেকটি হলো নির্বাচনি ব্যয়ের ব্যাপারে মনিটরিং করা দরকার। অনেক দেশে নির্বাচনি ব্যয় প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হয়। নির্বাচনি ব্যয় যখন জমা দেয়, সেটা অডিট করা দরকার। অনেকেই নির্বাচনি ব্যয় জমা দেয় না, যারা বিজয়ী হয় না, তারা জমা দেয় না। আর যারা বিজয়ী হয় তারা যা দেয় তা সত্য নয়। এগুলো যাচাইবাছাই করা দরকার। এ ছাড়া আর একটি ত্রুটি হচ্ছে নারীর অন্তর্ভুক্তি তথা জেন্ডার গ্যাপ। এ ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা করতে হবে। সরকারি দলের লোকজনের বাড়িতে বসিয়ে ভোটার তালিকা করা হতো। তাই এ ত্রুটিগুলো দূর করতে হবে। যুগোপযোগী আইনের মাধ্যমে সঠিক রেল গার্ড তৈরি করতে হবে। কতগুলো বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। যেগুলো মেনে চললে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম হবে। এখানে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, আমাদের আরপিও মোটামুটি গ্রহণযোগ্য। আইনি কাঠামোতে তেমন কোনো দুর্বলতা নেই। বর্তমানে যে আইনি কাঠামো রয়েছে তা দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি এটা মেনে চলে এবং রাজনৈতিক দলগুলো যদি তাদের আচরণ বদলায়। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যদি পরিবর্তন না আসে তবে আইনি কাঠামো পরিবর্তন করে কোনো কাজ হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কিছু অংশীজন থাকে। প্রথম- অংশীজন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এরপর হচ্ছে সরকার। সরকার মানে প্রশাসন, সরকার মানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে। সঙ্গে যাদের পোলিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয় তারা যদি দলীয় হয় তাহলে কোনো লাভ হবে না। এগুলো আইন দিয়ে কিছু করা সম্ভব হবে না। নির্বাচনে দ্বিতীয় অংশীজন রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা যদি টাকার খেলা খেলেন। তারা যদি পেশিশক্তির প্রয়োগ করেন। তাহলেও সুষ্ঠু নির্বাচন সুদূরপরাহত হয়ে যায়। এরপর আরেক অংশীজন হচ্ছে গণমাধ্যম। গণমাধ্যম অন্যায়গুলো তুলে ধরবে। অংশীজন হিসেবে নাগরিক সমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে নির্বাচনে। সব অংশীজন যদি তাদের ভূমিকা নিষ্ঠার সঙ্গে, শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন তাহলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। তারা যদি সদাচরণ না করেন- তবে সবচেয়ে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। কারণ প্রায় ১০ লাখের মতো লোক নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করেন, সবার ওপর নজরদারি করা সম্ভব হবে না। সরকার যদি নিরপেক্ষ হয়, তবে কর্মকর্তা নিরপেক্ষ আচরণ করেন।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, সঠিক নির্বাচন কমিশন গঠন করা গুরুত্বপূর্ণ, আইনি কাঠামো গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করা। দিন বদলের সনদে ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বলেছিল দিন বদল করবে, কোনো দলীয়করণ করবে না। রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন আনবে। কিন্তু কিছুই করেনি। তারা কথা রাখেনি বলেই আজকে এই অবস্থা। আমরা যখন সংস্কারের কথা বলেছি- তখন আমরা সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছি। সংস্কারবাদী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সংস্কারবাদী গালিতে পরিণত হয়েছিল। এখন আমরা সবাই সংস্কার চাই। তখন যদি সংস্কারগুলো আমরা করতাম তাহলে এ অবস্থায় আসতে হতো না। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন বাতিল করার ক্ষমতা রাখে। অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন বাতিল করতে পারে। এ ক্ষমতা তাদের আছে। যদিও আউয়াল কমিশন বলেছে- তাদের সেই ক্ষমতা ছিল না।

বিগত নির্বাচনি অনিয়ম নিয়ে তদন্ত হবে কি না জানতে চাইলে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা তদন্তের লোক না। আমরা তদন্তের সুপারিশ করতে পারি। বিগত তিনটা নির্বাচন নিয়ে আমাদের গবেষণা হওয়া দরকার। তদন্ত হওয়া দরকার। আসলে নির্বাচন কি হয়েছিল? এটা সরকারের পক্ষ থেকে এ তদন্ত করার উদ্যোগ  নেওয়া যেতে পারে। নির্বাচন পদ্ধতি কী হবে প্রশ্নে তিনি বলেন, ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। ইভিএমে ভোটার ভেরিয়েবল পেপার অডিট ট্রেইল বা ভিভিপিএটি যুক্ত ছিল না। ভারতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এটি সংযুক্ত হয়েছে। ইভিএম নিয়ে বিতর্ক রয়েছে ভারতেও। ইভিএমের যে ফলাফল কমিশন ঘোষণা করত সেটাই মেনে নিতে হতো। এখানে রি-কাউন্ট করার কোনো সুযোগ ছিল না। ইভিএম নিয়ে অনেক বাণিজ্য হয়েছে। ব্যাপকভাবে দুর্নীতি হয়েছে। ইভিএম কিনে অপরাধী কর্মকান্ড করেছে বিগত নির্বাচন কমিশনগুলো। ইভিএম ব্যবহারের আগে রাজনৈতিক ঐকমত্য হওয়া প্রয়োজন ছিল। নূরুল হুদা কমিশন বলেছিল যে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করেই এটা করা হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য ছিল না। তবু তারা ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করেছে। আউয়াল কমিশন জোরেশোরে লেগেছিল সব আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে। আবার সংলাপে দলগুলো ইভিএম নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছিল তা পাল্টে দিয়েছিল ইসি। ইভিএমকে ব্ল্যাক বক্স বলা হয়। মানুষের যখন ধারণা থাকে না তখন মানুষের মধ্যে সন্দেহ থাকে। কিন্তু অনেক দেশেই এখনো ইভিএম ব্যবহৃত হয়। তিনি বলেন, আমাদের প্রেক্ষাপটে যদি ইভিএম ব্যবহার করতে হয় তবে উন্নত মানের ইভিএম ব্যবহার করতে হবে। আর ইভিএম শুধু ভোটার শনাক্তের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। ইভিএম ভোট দেওয়ার ব্যাপারে ব্যবহার না করে ডিজিটাল আইডেন্টিফিকেশনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে। আরও অন্য টেকনোলজি রয়েছে। আমাদের অবশ্যই টেকনোলজির দিকে যেতে হবে। অনেক দেশে যেমন ইন্টারনেট ভোটিং হয়।

এ নির্বাচন বিশ্লেষক বলেন, ব্যালটের ব্যাপারেই মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। মানুষের নির্বাচনব্যবস্থার ওপর আস্থা চলে গেছে। পেপার দিয়েই আস্তা ফেরাতে হবে। আমরা যদি ইভিএম ব্যবহার করতে চাই তাহলে আমাদের আস্তে আস্তে সীমিত আকারে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন ছোট নির্বাচনে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। তাহলে পরবর্তীতে সবাই সম্মত হলে এটা ব্যবহার করা যেতে পারে। বর্তমানে ইভিএম থেকে দূরে থাকাই ভালো। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার দলীয় ভিত্তিতে হবে কি না? নাকি নির্দলীয় হবে আবারও। এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে হবে। আবার স্থানীয় সরকার বর্তমানে যেভাবে আছে, বিশেষ করে চেয়ারম্যানসর্বস্ব, মেয়রসর্বস্ব। এভাবে হবে কি না সেগুলোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আবার এসবের বিকল্প হতে পারে। পার্লামেন্টারি সিস্টেম হবে কি না সেটা চিন্তা করতে হবে। এসব নির্বাচন পদ্ধতির দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে। এসব বিষয় আমাদের সুপারিশে আসবে। স্থানীয় এবং জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সবকিছু থাকবে কমিশনের প্রতিবেদনে।

প্রশাসনের বিষয়ে তিনি বলেন, আগে প্রশাসনের মেধা ছিল। সর্বোচ্চ মেধাবীদের নিয়োগ দেওয়া হতো। তারা কতগুলো শৃঙ্খলা মেনে চলত, সততা ছিল তাদের মধ্যে। স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সিভিল প্রশাসন হচ্ছে জনগণের সেবক। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় তাদের স্যার না বললে তারা মাইন্ড করেন। অনেক সময় তাদের প্রধান অতিথি করতে হবে। আসলে তা নয়, তারা সবাই জনগণের সেবক। প্রশাসনে আমাদের প্রভুত্বের কাঠামো ভাঙতে হবে। প্রশাসনে দুর্নীতি ঢুকেছে। চরমভাবে দলীয়করণ এবং দুর্নীতির কারণেই প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। মেধা দিয়ে তারা আসছেন না। দলীয় পরিচয়ে তারা আসছেন। এগুলোতে সংস্কার করা দরকার। আমাদের এতগুলো ক্যাডার আছে। এতগুলো ক্যাডার দরকার আছে কি না সেটা দেখা দরকার। সরকারি কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিত তারা জনগণের সেবক। তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তাদের সেরকম মানসিকতা দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে। জনগণকে সেবা দিতে হবে। প্রভু হওয়া নয়,

জনগণ রাষ্ট্রের মালিক। রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠায় কী করা যেতে পারে প্রশ্নে তিনি বলেন, জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমত- জনগণের মাধ্যমে শাসন করতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার থাকতে হবে। ভোটার অধিকার নিশ্চিত হওয়া দরকার। জনগণ সত্যিকার প্রতিনিধি যাতে নির্বাচিত করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তারা যাতে জনগণের কল্যাণে কাজ করেন। জনপ্রতিনিধিরা অনেকেই বিভিন্ন রকম অপকর্মে জড়িত হবে। তাদের সম্পদের হিসাব দেওয়া দরকার। স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত যাতে হয়। সেটা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। সংবিধান সংশোধন করতে হলে আমাদের আগে গণভোটের বিধান ছিল। এ গণভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা দরকার। তাতে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা দরকার। জনগণের কার্যকর অংশ নিশ্চিত করতে হলে তাদের তথ্য দরকার। তিনি বলেন, সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করবে সরকার, নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট অথরিটি ও রাজনৈতিক দল। এগুলো চর্চার মাধ্যমে বোঝা যাবে। এগুলো কার্যকর হবে কি না। তারা কার্যকর করতে চাইলে করতে পারেন। আইনের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও তাদের সদিচ্ছার মাধ্যমে অনেক কিছু হতে পারে। আমাদের নির্বাচন কমিশনের অগাধ ক্ষমতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের খাতিরে প্রয়োজনে আইন-কানুন বদলাতে পারে। তারা যে বলে তারা নির্বাচন করতে বাধ্য ছিল। এটা আসলে সঠিক না। তারা যদি ওই নির্বাচন না করত তাহলে আমাদের ইতিহাস বদলে যেত।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে সরকারের পতন। ভবিষ্যতে পলিটিক্যাল পার্টিগুলো এ থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করবে বলে আপনি মনে করেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ কথা রাখেনি। আমাদেরও তো কেউ কথা রাখেনি। বিগত নির্বাচনগুলো যদি সঠিক হতো তাহলে এরকম বিয়োগান্তক ঘটনা আমাদের দেখতে হতো না। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে যদি আমাদের একতরফা নির্বাচন না হতো, নির্বাচন কমিশন বলতে পারত যে এর মাধ্যমে সংবিধান গণতন্ত্র রক্ষা হবে না। আমরা নির্বাচন করতে সম্মত না। হয়তো আমাদের ইতিহাস বদলে যেত। একশ্রেণির সরকারি দলের লোকজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তারা সবাই একত্রিত হয়ে আঁতাত করে বিতর্কিত নির্বাচন করেছে। সেসব বিতর্কিত নির্বাচন আমাদের বর্তমান পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

এই বিভাগের আরও খবর
উধাও ৯০০ কেজি মাছ!
উধাও ৯০০ কেজি মাছ!
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের
গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের
নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল
নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
সর্বশেষ খবর
প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার নানা দিক
প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার নানা দিক

২৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

রাজস্থানে শুটিং চলাকালীন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন বিবেক
রাজস্থানে শুটিং চলাকালীন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন বিবেক

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এবার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ককটেল বিস্ফোরণ
এবার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ককটেল বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন
হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই পথচারীর মৃত্যু
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই পথচারীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার
জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন
জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান
পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ
আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল
সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত
রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা
বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের
বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার
রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার
নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ
সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা
বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

১৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা
সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না

প্রথম পৃষ্ঠা

বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে
বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য
পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য

খবর