মক্কায় আরাফার ময়দানে হাজির হয়ে ক্ষমালাভের আশায় মহান আল্লাহর দরবারে রোনাজারির মাধ্যমে (৯ জিলহজ) পালিত হয়েছে পবিত্র হজ। ইসলাম ধর্মের প্রধান পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম এ হজ। ৫ জুন সকাল থেকে আরাফার ময়দান মুখরিত ছিল লাব্বাইক ধ্বনিতে। এদিন বাংলাদেশসহ ৫১টি দেশ থেকে আরাফার ময়দানে হাজির হয়েছিলেন ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৩০ জন হাজি সাহেবান। মসজিদে নামিরায় তাঁরা একসঙ্গে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেন। হজের খুতবা শোনেন। অনেকে জাবালে রহমত পাহাড়ে উঠে আল্লাহর দরবারে রোনাজারি করেন। নবীজি (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী দুপুরে সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ার পর আরাফার ময়দানসংলগ্ন মসজিদে নামিরায় হজের খুতবা শুরু হয়। এবার পবিত্র হজের খুতবা দেন মাসজিদুল হারামের প্রধান ইমাম ও মুফতি শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ। খুতবায় তিনি ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য বিশেষ দোয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আরবি ভাষায় দেওয়া এ খুতবা বাংলাসহ বিশ্বের ৩৪টি ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ করে শোনানো হয়। খুতবা শেষে ফিলিস্তিনের মুক্তি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দেড় হাজার বছর আগে এ আরাফার ময়দানে দাঁড়িয়ে মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশে খুতবা দিয়েছিলেন আল্লাহর প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। বিদায় হজের খুতবায় নবীজি (সা.) ঘোষণা করেছিলেন, ‘আজ থেকে ইসলামকে পরিপূর্ণ ধর্ম ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম ইসলাম।’ উম্মতে মুহাম্মদী হিসেবে মদিনা মুনাওয়ারা সফর করে নবীজি (সা.)-এর রওজা মুবারক জিয়ারত করার মাধ্যমে হজ পরিপূর্ণতা লাভ করে। বাংলাদেশ থেকে এবার ৮৭ হাজার ১৫৭ জন পবিত্র হজ পালন করেন।