সোমবার, ১০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

ঈদের দিনের পুষ্টি ভাবনা

স্বাস্থ্য ডেস্ক

ঈদের দিনের পুষ্টি ভাবনা

ঈদের দিন একটি সাধারণ সমস্যা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। একে তো রোজায় পানি কম পান করা হয়, সবজি কম খাওয়া হয়, ভাজাপোড়া খাওয়া হয় বেশি। উপরন্তু ঈদে মাংস, তেল, চর্বি বেশি খাওয়ায় পানির অভাব আরও বেশি দেখা দেয়। এতে অনেকেই, বিশেষ করে বৃদ্ধরা সমস্যায় পড়েন। এ ক্ষেত্রে ঈদের আগের রাতে বা ঈদের সকালে ইসবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। এর সঙ্গে প্রচুর পানি পান করে নেবেন। ঈদের দিন দুপুর ও রাতে অবশ্যই সবজির একটি প্রকার রাখবেন। আর সব খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পানি বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর পানীয় যেমন লেবুর শরবত পান করতে পারেন। সেমাই ছাড়া ঈদ হয় না। সেমাই, পায়েস ক্যালসিয়ামের উৎস। কারণ এতে দুধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সেমাই-পায়েসের সঙ্গে বাদাম, কিশমিশ যোগ করলে পুষ্টিমান আরও বেড়ে যায়। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সবজি বা টক ফল দিয়ে মজাদার খাবার আগেই বানিয়ে রাখুন। ঈদের দিন দুপুরে পোলাও বা হালকা মসলার খিচুড়ি থাকতে পারে মেন্যুতে। সেইসঙ্গে মাছের কোনো রেসিপি ও সবজি থাকলে ভালো। খাবার তালিকায় মাংস-পোলাও-বিরিয়ানির সঙ্গে রাখুন সবজি ও সালাদ। টক দই, সবজির সালাদ আপনার খাবার হজমে সাহায্য করবে। শসা, টমেটো, লেবু, গাজরের সালাদ এবং আঁশযুক্ত সবজি প্রতি বেলার খাবারের সঙ্গে যেন থাকে সে ব্যাপারে লক্ষ রাখুন। মনে রাখবেন, সালাদ আগে থেকে কেটে রাখবেন না। আগে কেটে রাখলে সালাদের ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। সালাদ এবং আঁশযুক্ত সবজি খাবারের চর্বি শরীরে শোষিত হতে বাধা দেয়। পোলাও-বিরিয়ানি তৈরিতে যথা সম্ভব কম তেল বা ঘি ব্যবহার করুন। ঈদের দিন রাতের খাবার একটু হালকা হলেই ভালো। সারাদিন ভারি খাওয়ার পর মাছ বা মাংসের ভিন্নধর্মী রান্নার সঙ্গে ভাত খেলেও মেন্যুটা স্বাস্থ্যকর হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর