বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

লালমাই পাহাড়ে তৈরি হচ্ছে হাজারো দক্ষ জনশক্তি

লালমাই পাহাড় আর সমতলের ৩৫ একর ভূমিতে সিসিএন শিক্ষা পরিবার।

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

প্রাচীন শিক্ষানগরী শালবন বৌদ্ধ বিহার। ১৪০০ বছর আগে এখানে গড়ে ওঠে শিক্ষাঙ্গন। সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ ও কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এখানে কর্মমুখী শিক্ষার নতুন আয়োজন করেছে সিসিএন শিক্ষা পরিবার। কোটবাড়ি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিসিএন মডেল কলেজ ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কোর্স।

প্রতিষ্ঠানের সূত্রমতে, এখানে তৈরি হচ্ছে হাজারো দক্ষ জনশক্তি। শিক্ষার্থীদের কারিগরি ও গবেষণামূলক শিক্ষা প্রদান করে দেশের সম্পদে পরিণত করা হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শালবন বৌদ্ধ বিহারের মসজিদের দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে রাস্তা প্রবেশ করেছে পাহাড়ের দিকে। পাশে শালবন সুন্দরের পসরা বসিয়েছে। পথে লালমাই উদ্ভিদ উদ্যান। উদ্যানের পরে রাস্তার দুই পাশে টিলা। লালমাই পাহাড় আর সমতলের ৩৫ একর ভূমিতে সিসিএন শিক্ষা পরিবার। কানে এসে লাগে পাখির কিচিরমিচির শব্দ। বাতাসে বন্য ফুলের ঘ্রাণ। একই ক্যাম্পাসে সব প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের কক্ষে কর্মমুখী শিক্ষার নানা উপকরণ। সূত্রমতে, বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলে সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রথম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠানটি নগরীর রামঘাটলায় ২৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ২০১৫ সালে এই অঞ্চলে প্রথম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। এ ছাড়া ২০১৮ সাল থেকে এসইআইপি প্রজেক্টের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা হচ্ছে। পলিটেকনিক থেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পাস করে বের হয়েছেন। তাদের ৯৬ ভাগ কর্মে যোগ দিয়েছেন। তারা কর্মরত ছিলেন পদ্মা সেতু প্রকল্পে, মেট্রোরেল প্রজেক্টে, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে, দেশের বাইরে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, আমেরিকা, ইতালি, নিউজিল্যান্ড ও সৌদি আবরসহ বিভিন্ন দেশে। সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাংকে, আইন পেশায় নিযুক্ত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিকা ত্রিপুরা, কাউসার আহমেদ ও ফারিয়া আক্তার বলেন, এখানে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠায় আমরা শিক্ষার সুযোগ পেয়েছি। বিশেষ করে খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের সুবিধা হয়েছে। সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মতো আমরাও শিক্ষার্থীদের কারিগরি ও গবেষণামূলক শিক্ষা প্রদান করে দেশের সম্পদে পরিণত করার কাজ করছি।

সর্বশেষ খবর