লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি (UCLA)-র প্রফেসর উইলিয়াম ক্লুগের খুনিকে বৃহস্পতিবার শনাক্ত করেছে মার্কিন পুলিশ। আততায়ী ভারতীয়, পশ্চিমবঙ্গের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। নাম মৈনাক সরকার। প্রফেসরকে গুলি করে হত্যার পর মৈনাক নিজেও আত্মহত্যা করেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ দপ্তরের মুখপাত্র জেন কিম খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, যে বন্দুকবাজের গুলিতে প্রফেসর খুন হয়েছেন, তার নাম মৈনাক সরকার।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের খবর থেকে জানা গেছে, মৈনাক ওই ইউনিভার্সিটি থেকেই ডক্টরেট করছিল। বুধবার ওই ঘটনার সময় ক্যাম্পাসে বিশেষ কেউ ছিল না। ক্যাম্পাসের মধ্যে এমন ঘটনায় স্তম্ভিত সবাই। প্রশ্ন উঠেছে- কেনই বা ছাত্র শিক্ষককে গুলি করলো, কেনই বা সে আত্মঘাতী হলো?
UCLA-র ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, নিহত ক্লুগ ছিলেন মেকানিক্যাল ও অ্যারেস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রফেসর। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের প্রধান শার্লি বেক জানিয়েছেন, ক্যাম্পাস চত্বর থেকে একটি বন্দুক ছাড়াও সুইসাইড নোট মিলেছে। বুধবার UCLA -এর ইঞ্জিনিয়ারিং বিল্ডিং থেকেই দু'জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, যেকোনো কারণেই হোক ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কে তিক্ততা এসেছিল।
১০ মার্চে লেখা নিজের একটি ব্লগে উইলিয়াম ক্লুগকে 'অসুস্থ ব্যক্তি' বলে উল্লেখ করে মৈনাক। UCLA-তে পড়তে আসা নতুন ছাত্রছাত্রীরা যাতে এই অধ্যাপকের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলেন, সেই আর্জিও জানায় এই ভারতীয় গবেষক। মৈনাক নিজেও একসময় ওই ব্যক্তির পিএইচডি'র ছাত্র ছিল বলে জানায়। ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত দূরত্বের কথা জানিয়ে মৈনাক ব্লগে লেখেন, চালাকি করে উইলিয়াম তার যাবতীয় কোড হাতিয়ে নিয়ে অন্য এক ছাত্রকে দিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত যা জানা গেছে, খড়গপুর আইআইটির প্রাক্তন ছাত্র মৈনাক ক্যালিফোর্নিয়ায় বায়ো মেকানিক বিভাগে গবেষণা করছিলেন।
খড়গপুর আইআইটি থেকে ২০০০ সালে পাশ করার পর, বেঙ্গালুরুতে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এর পর স্নাতকোত্তর করতে ২০০৩ সালে স্ট্যানফোর্ডে ভর্তি হন। স্নাতকোত্তর শেষ করে UCLA-তে ডক্টরেট ছাত্র হিসেবে নাম নথিভুক্ত করান। সেখানে ক্লুগ ছিলেন তার উপদেষ্টা।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ