ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকার প্রশ্নে ব্রিটেনে ঐতিহাসিক গণভোটের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তা চলবে স্থানীয় সময় ২২টা পর্যন্ত। গণভোটে ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৩৭ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে যা দেশটির ইতিহাসে ভোটার সংখ্যার দিক দিয়ে রেকর্ড। ব্রিটেনের ইতিহাসে এটি তৃতীয় জাতীয় গণভোট। খবর বিবিসির
ব্রিটেন ২৮টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নে গত ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে সংযুক্ত রয়েছে। বিভিন্ন ইস্যু বিশেষ করে অভিবাসন ইস্যুতে দেশটির জনগণের মধ্যে চরম বিভক্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এটিই গণভোটের ফলাফলের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক ইস্যুও রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিন ব্রিটেনের ইইউতে থাকার পক্ষে 'রিমেইন ক্যাম্পে'র হয়ে জোরালো প্রচারণা চালিয়েছেন। আর 'লিভ ক্যাম্পের' নেতৃত্বে আছেন লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন। তবে লন্ডনের বর্তমান মেয়র সাদিক খান 'রিমেইন ক্যাম্পে'র সমর্থক।
গত চার মাসের জোরালো প্রচারাভিয়ান ও বিতর্ক শেষে আজ এ ঐতিহাসিক গণভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর ফলাফলের দিকে পুরো বিশ্ব তাকিয়ে আছে কারণ ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে না থাকাটা পশ্চিমা বিশ্বের অবয়বে বড় ধরনের পরিবর্তন বয়ে আনবে। তাই বিশ্ব নেতারা দেশটির ইইউতে থাকার পক্ষেই তাদের মতামত দিয়েছেন। সেইসঙ্গে জোটটি থেকে বেরিয়ে গেলে ব্রিটেনের সম্ভাব্য সমস্যার কথাও তুলে ধরছেন তারা।
এদিকে, সর্বশেষ এক জরিপে দেখা গেছে, ইইউ ছাড়ার পক্ষের 'লিভ ক্যাম্প' জনমত জরিপে ২ পয়েন্ট বেশি পেয়ে এগিয়ে আছে। ২,৩২০ জন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্রিটিশ নাগরিকের উপর পরিচালিত এ জরিপে দেখা যায়, তাদের ৪৩ শতাংশ ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। আর ৪১ শতাংশ ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দেবেন। তবে ১৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী কোন পক্ষে ভোট দেবেন এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন বা ভোট না দেয়ার পরিকল্পনা করছেন।
জনমত জরিপে আরো দেখা যায়, ব্রিটেনের এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩৪ শতাংশ মানুষ মনে করে যে ব্রিটেন ইইউতে থাকলে বা না থাকলেও দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা একই থাকবে। আর ৫৫ শতাংশ ব্রিটিশবাসী মনে করে যে ইইউ'র সঙ্গে সংযুক্তি বিবেচনায় নেয়া হোক বা না নেয়াই হোক, তাদের ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থাও এখন যা আছে তা-ই থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ জুন ২০১৬/শরীফ