গোরক্ষার নামে গুজরাট থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় দলিত ও মুসলিমদের ওপর লাগাতার নির্যাতন চলার পর অবশেষে গো-রক্ষকদের বিরদ্ধে মুখ খুললেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার দিল্লিতে টাউন হলে এক অনুষ্ঠানে গো-রক্ষকদের সমাজবিরোধী বলে অভিহিত করেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘একদল মানুষ সারারাত ধরে সমাজবিরোধী কাজকর্ম করে, আর দিনের বেলায় আইনের হাত থেকে বাঁচতে গো-রক্ষার জামা গায়ে জড়ায়। রাতে চোর আর দিনে সাধু। গরু রক্ষার নামে তারা দোকান খুলে বসেছে’।
এব্যাপারে সমস্ত রাজ্যগুলোকে এই গো-রক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মোদি বলেন, ‘সেই কারণে আমি সমস্ত রাজ্যকে অনুরোধ করছি, যাতে তারা তাদের রাজ্যে যারা একরম গো-রক্ষার নামে বাড়াবাড়ি করছে তাদের একটা গোপন রিপোর্ট তৈরি করুক। দেখা যাবে এদের অনেকই সমাজবিরোধী। গো-ভক্ত, গো-সেবক আলাদা। কিন্তু এরা কেউ সেরকম নয়। এরা বেশিভাগ আসলে ধান্দাবাজ’।
দেশজুড়ে সম্প্রতি হিন্দুত্ববাদীদের অতি সক্রিয়তায় রাজনৈতিক দিক থেকে বিজেপি’র ওপর বড়সড় একটা চাপ ছিল। বিশেষ করে গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে গো-রক্ষার নামে যেভাবে দলিত অত্যাচার বাড়ছে তার জেরে বিজেপির বিরুদ্ধে দলিত বিরোধী দলের প্রচারও জোরদার হচ্ছিল। কংগ্রেসসহ বিরাধী রাজনৈতিক দলগুলো মোদির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সেই প্রেক্ষিতে অবশেষে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এই বিবৃতির ফলে গো-রক্ষার নামে রাজ্যে রাজ্যে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের অতি উৎসাহে অনেকটাই ভাটা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব