ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা আট বছর আগে খ্রিস্টান ত্যাগ করে থেকে ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করেন। ২০০৯ সালে ইহুদি তরুণ জারেড কুশনারকে বিয়ে করার জন্য তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একজন প্রভাবশালী ইহুদি ধর্মগুরুর মাধ্যমে ইভাঙ্কা ইহুদি হন।
গত জুলাই মাসে ইসরাইলের সরকারি ধর্মীয় আদালত তার ধর্মান্তরকরণের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ইসরাইলের প্রভাবশালী ধর্মীয় গোষ্ঠী তাকে ইহুদি হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না বলেও দাবি করা হয়। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর গত ডিসেম্বরে সুর বদলায় ইসরাইল।
দেশটির প্রধান ধর্মীয় গুরু জানান, বিদেশে ইহুদি ধর্মান্তকরণকে স্বীকৃতি দিতে বিদ্যমান বিধান পরিবর্তনের জন্য কাজ করছেন তারা। এমনকি ইভাঙ্কার ধর্মান্তকরণের বিষয়টি তারা আলাদা করে বিবেচনা করছেন। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ইভাঙ্কার ধর্মান্তকরণের বিষয়টি বাড়তি কোনো যাছাই ছাড়া স্বীকৃতি পাবে।
ইসরাইলি অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, হঠাৎ করে ধর্মান্তকরণের এই নীতি পরিবর্তন করা হয়েছে মূলতঃ চাটুকারিতা করে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুগ্রহ পাওয়ার জন্য। ইভাঙ্কার স্বামী জারেড কুশনার এরইমধ্যে ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়া দেখভাল করবেন।
ধর্মান্ততকরণ নীতি নিয়ে কথা বলতে ইতিমধ্যে ইসরাইলের ধর্মীয় গুরুরা বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন। এই পদক্ষেপের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বলে মনে করছেন অ্যাক্টিভিস্টরা। ধর্মান্তরের মাধ্যমে ইহুদি হিসেবে ধর্মীয় গুরুদের কাছ থেকে স্বীকৃতি প্রার্থীদের সংগঠন আইটিআইএম'র পরিচালক সেথ ফারবারের মতেও ধর্মান্তকরণ নীতি পরিবর্তনের সময়টি সন্দেহজনক।
তিনি বলেন, আমার বড় ভয় হয় যে, ধর্মীয় গুরুরা যেকোনো একটি উপায় খুঁজে নিয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প কুশনারকে ইহুদি হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। কিন্তু আরও হাজার হাজার ধর্মান্তরিতকে যথেষ্ট ইহুদি নয় বলে স্বীকৃতি দেয়া হবে না।
তবে ইসরাইলের প্রধান ধর্মীয় গুরুদের অন্যতম পিনচেশ টেনেনবাউম বলেছেন, অনেক দিন ধরেই ধর্মান্তকরণ নীতি পরিবর্তন করার কথা হচ্ছিল। ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কারণে এ পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। এমনকি ইভাঙ্কা ইহুদি হওয়ার আগেই এ নিয়ে আলাপ হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭/ফারজানা