ভারতবর্ষে হিন্দু ধর্মের মানুষ কমে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে বাড়ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। এ দাবি দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, হিন্দুরা অন্য ধর্মের মানুষকে নিজেদের ধর্মে ধর্মান্তকরণ করে না বলেই কমে যাচ্ছে হিন্দুর সংখ্যা।
সোমবার ট্যুইট করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
দুই দিন আগেই অরুণাচল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি’র তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, ‘বিজেপির শাসনকালে অরুণাচল প্রদেশে আদিবাসীদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ঝুঁকির মুখে পড়েছে।' শুধু তাই নয় নরেন্দ্র মোদির সরকার অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যকে একটি হিন্দু রাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের তরফে ওই অভিযোগের পরই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই ট্যুইট। এদিন একাধিক ট্যুইট করে তিনি আরও জানান, ‘কংগ্রেস কেন দায়িত্বহীনতার মতো এরকম একটি মন্তব্য করেছে? অরুণাচল প্রদেশের মানুষ একে অপরের সাথে খুব শান্তিতে বসবাস করছে’।
আরেকটি ট্যুইটে তিনি জানান, ‘কংগ্রেসের এই ধরনের উত্তেজক বিবৃতি দেওয়াটা উচিত হয়নি। ভারত একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সব ধর্মের মানুষরাই এখানে স্বাধীনতা ভোগ করেন এবং শান্তিতে বসবাস করেন’।
তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই ট্যুইটের পরই ভারতের অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েসি বলেন, ‘তার(কিরেন রিজিজু) মনে রাখা উচিত ছিল যে, তিনি ভারতবাসীর মন্ত্রী, শুধুমাত্র হিন্দুদের নয়’।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী ভারতের মোট জনসংখ্যার ৭৯.৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু, ১৪.২৩ শতাংশ মুসলিম, ২.৩০ শতাংশ খ্রিষ্টান, ১.৭২ শতাংশ শিখ, ০.৭০ শতাংশ বৌদ্ধ এবং ০.৩৭ শতাংশ জৈন।
এর আগে ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী ভারতে হিন্দু ছিল দেশটির মোট জনসংখ্যার ৮০.০৫ শতাংশ। মুসলিম ছিল ১৩.০৪ শতাংশ। ২.০৩ শতাংশ খ্রিষ্টান, ১.৯ শতাংশ শিখ, ০.৮০ শতাংশ বৌদ্ধ এবং জৈন সম্প্রদায়ের মানুষের শতকরা হার ছিল ০.৪ শতাংশ।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ